৭ দল মতামত দিয়েছে, সময় চেয়েছে ১৬ দল বাকি দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করছে কমিশন
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশের ওপর মতামত দিতে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে গত ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।বৃহস্পতিবার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৭টি রাজনৈতিক দলের মতামত পাওয়া গেছে বলে ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েকদিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। অন্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মোট ১৬৬টি সুপারিশ চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ রয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাদের মতামত আমাদের জানাবেন।’
‘জাতীয় সনদ’ যেটি ‘জুলাই সনদ’ হিসেবেও বহুল আলোচিত; আগামী নির্বাচনের আগেই কার্যকর করার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীদের গঠন করা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।শুক্রবার দলের বাংলামোটর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই আল্টিমেটাম দেন।
এর দুই দিন পর সোমবার এলডি হলে ব্রিফিংয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর (মতামদ প্রদানের) ওপর। আমরা চাই- দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে।’
শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
এরমধ্যে গত বছরের অক্টোবরে গঠন সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেয়। এসব সুপারিশ বিবেচনা
ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে ঐকমত্য কমিশন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ঐকমত্য কমিশনেরসহ সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বাকি কমিশনগুলোর প্রধানরাও ঐকমত্য কমিশনের সদস্য। ছয় মাস মেয়াদি এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে।
৭ দল মতামত দিয়েছে, সময় চেয়েছে ১৬ দল বাকি দলগুলোর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করছে কমিশন
বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনে উল্লিখিত সুপারিশের ওপর মতামত দিতে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে গত ৬ মার্চ ৩৭টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।বৃহস্পতিবার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৭টি রাজনৈতিক দলের মতামত পাওয়া গেছে বলে ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬টি রাজনৈতিক দল পূর্ণাঙ্গ মতামতের জন্য অতিরিক্ত কয়েকদিন সময় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। অন্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন পুনরায় যোগাযোগ করছে।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছে একটি ‘জাতীয় সনদ’ তৈরি করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মোট ১৬৬টি সুপারিশ চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত সুপারিশ ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে ২৭টি, বিচার বিভাগ সংক্রান্ত সুপারিশ ২৩টি, জনপ্রশাসন সংক্রান্ত ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ রয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে, আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো তাদের মতামত আমাদের জানাবেন।’
‘জাতীয় সনদ’ যেটি ‘জুলাই সনদ’ হিসেবেও বহুল আলোচিত; আগামী নির্বাচনের আগেই কার্যকর করার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীদের গঠন করা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।শুক্রবার দলের বাংলামোটর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই আল্টিমেটাম দেন।
এর দুই দিন পর সোমবার এলডি হলে ব্রিফিংয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার পরের ধাপ নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর (মতামদ প্রদানের) ওপর। আমরা চাই- দ্রুত আলোচনা করতে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে।’
শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে।
এরমধ্যে গত বছরের অক্টোবরে গঠন সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কারের জন্যে গঠিত ছয় কমিশন তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন গত ৮ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দেয়। এসব সুপারিশ বিবেচনা
ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে ঐকমত্য কমিশন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ঐকমত্য কমিশনেরসহ সভাপতি হিসেবে আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বাকি কমিশনগুলোর প্রধানরাও ঐকমত্য কমিশনের সদস্য। ছয় মাস মেয়াদি এ কমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে।