বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্রিকেট স্টাম্প ও স্কিপিং রোপ দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন আবরার ফাহাদকে। ‘শিবির সন্দেহে’ ডেকে এনে কয়েক ঘণ্টা ধরে তাকে নির্যাতন চালানো হয়।
এরপর ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করা হয়, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স ও অন্যান্য নথি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ হাই কোর্ট রায় বহাল রাখে।
বুয়েট ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ২০ জন এ দণ্ড পেয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা এবং আরও দুইজন।
চারজন আসামি এখনও পলাতক, যাদের মধ্যে অন্যতম মুনতাসির আল জেমি, যিনি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মামলাটির শুনানি দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। হাই কোর্টের রায়ের মাধ্যমে আবরারের পরিবার এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ ন্যায়বিচার পেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাই কোর্ট।
রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্রিকেট স্টাম্প ও স্কিপিং রোপ দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন আবরার ফাহাদকে। ‘শিবির সন্দেহে’ ডেকে এনে কয়েক ঘণ্টা ধরে তাকে নির্যাতন চালানো হয়।
এরপর ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করা হয়, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার ডেথ রেফারেন্স ও অন্যান্য নথি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ হাই কোর্ট রায় বহাল রাখে।
বুয়েট ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ ২০ জন এ দণ্ড পেয়েছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা এবং আরও দুইজন।
চারজন আসামি এখনও পলাতক, যাদের মধ্যে অন্যতম মুনতাসির আল জেমি, যিনি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যান।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর মামলাটির শুনানি দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। হাই কোর্টের রায়ের মাধ্যমে আবরারের পরিবার এবং বিচারপ্রার্থী জনগণ ন্যায়বিচার পেল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।