alt

জাতীয়

পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা

সাঈদের বাসায় বসে পরিকল্পনা, অংশ নেয় ৫ জনের ‘কিলার গ্রুপ’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ

রাজধানীর গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় মেহেদী ও রবিন নামের দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য গঠন করা হয় পাঁচজনের একটি ‘কিলার গ্রুপ’। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ মার্চ সুমনকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমন দৌড়ে পালানোর সময় সন্ত্রাসীরা তাকে আরও কয়েকটি গুলি করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী এলাকায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওয়াসির মাহমুদ ওরফে সাঈদ (৫৯) ও মামুন ওরফে বেলালকে (৪২) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র?্যাব। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে র‌্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার জানানো হয়।

র?্যাব জানায়, মেহেদী নামের এক ব্যক্তি মো. ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে কয়েক বছর ধরে গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে বিদেশে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদা সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তখন অন্য একটি সন্ত্রাসী দল রবিন গ্রুপের হয়ে ভুক্তভোগী সুমন গুলশান বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেন। গুলশান এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ওয়াসির মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও হয়, হামলার ৮ থেকে ১০ দিন আগে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিল্লাল ও মামুনের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি কিলার গ্রুপ গঠন করেন ওয়াসির মাহমুদ। এর পর থেকে তারা সুমনের ওপর নজর রাখা শুরু করে। ঘটনার দিন ২০ মার্চ ওয়াসির মাহমুদের বাসায় সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যান।

রাত ৯টার দিকে সুমনকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে ডাক্তার ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসে থাকতে দেখে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলি লাগার পর সুমন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে আরও কয়েকটি গুলি করা হয়। ঘটনার দিন সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া জানিয়েছিলেন, সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তার বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন সন্ধ্যার দিকে মেহেদী গ্রুপের একটি কিলার গ্রুপ সাঈদের বাসায় মিটিং করে এবং তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যায়। গুলশান এলাকায় গিয়ে সুমনকে গোপনে খুঁজতে থাকে এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বাহিনীর সদস্যরা সুমনকে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার সামনে ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গুলি করে। গুলির পর প্রাণ বাঁচাতে সুমন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে আরও কয়েকটি গুলি করে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, সুমনের মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। আত্মগোপনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার র‌্যাব-১ এর অভিযানিক দল র‌্যাব-৮ এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার

করে। বড় সাঈদের তথ্যে অনুযায়ী এই কিলিং মিশনে মামুন ওরফে বেলালসহ আরও কয়েকজন সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সাঈদের তথ্যমতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম।

ছবি

‘ন্যায়সংগত ও টেকসই জ্বালানি রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা জরুরি’

আহমেদ আকবর সোবহান ও তারিক আহমেদ সিদ্দিককে দুদকে তলব

সাড়ে তিন মাসেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ কলেজছাত্রীর

এনসিপির সততা নিয়ে প্রশ্ন ‘আপ বাংলাদেশ’র

পলাতক লিয়াকত শিকদার, জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

ছবি

বাবুই পাখির ছানা হত্যা, অভিযুক্ত মোবারক আলী গ্রেপ্তার

শূন্য ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল ৪০ হাজার টাকা!

রূপপুর এনপিপির ১৮ কর্মকর্তাকে অপসারণের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ডেঙ্গু: জুন মাসে আক্রান্ত ৫,৯৫১ জন, মৃত্যু ১৯

ছবি

ঢাকার সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ হাইকোর্টের

বায়ুদূষণ রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি সরানোর ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টার

ছবি

সিলেট সীমান্ত দিয়ে বাড়ছে ‘পুশইন’

হাইকোর্টের রুল: আদালত চত্বরে নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী গঠন কেন নয়

‘জুলাই গ্যাং কালচার’ ভিডিও আওয়ামী সমর্থকদের অপপ্রচার: সিএ প্রেস উইং

ইসির খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ, মতামতের সময়সীমা ১০ জুলাই

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবির সাবেক উপাচার্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মুরাদনগর ধর্ষণকাণ্ড: ৪ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন, ফজর হাসপাতালে

ছবি

কাজে যোগ দিয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

পতেঙ্গা টু গোদনাইল: পাইপলাইনে বাণিজ্যিকভাবে ডিজেল পরিবহন শুরু এ মাসেই

ছবি

ব্যাগে পিস্তলের ম্যাগাজিন, ভুলেই নিয়েছেন আসিফ মাহমুদ: জাহাঙ্গীর আলম

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূসের ফোনালাপ, আলোচনায় অর্থনীতি ও ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল

ছবি

ইসির খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ, মতামতের সময়সীমা ১০ জুলাই

ছবি

‘ভুলবশত’ ব্যাগে ছিল লাইসেন্স করা অস্ত্রের ম্যাগাজিন: আসিফ মাহমুদ

২৪ ঘণ্টায় ৩৮৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত, হাসপাতালে ভর্তি ১০৯৬ জন

বড় ভাইয়ের লাশ দেখে ফেরার পথে প্রাণ গেল ছোট ভাই ও দুই ভাগ্নের

সাবেক সিইসি আউয়াল কারাগারে

মে মাসে বেড়েছে নারীর প্রতি সহিংসতা: ভাওট্র্যাকার

ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়

ডিজেল-পেট্রোল-অকটেনের দাম অপরিবর্তিত

ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি, শীর্ষ সন্ত্রাসী বাপ্পি গ্রেপ্তার

রেকর্ড গড়লো রেমিট্যান্স, ছাড়ালো ৩০ বিলিয়ন ডলার

ডেঙ্গু: ৩৮৩ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১, করোনায় আরও ১৩ জন শনাক্ত

ছবি

তিন বছরের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশনের অফিস খুলছে বাংলাদেশে

ক্যানটিন দখল নিয়ে মারামারি, সচিবালয়ের আন্দোলনে ভাটা

ছবি

সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রসঙ্গে ঐকমত্য হয়নি: আলী রিয়াজ

tab

জাতীয়

পুলিশ প্লাজার সামনে গুলি করে হত্যা

সাঈদের বাসায় বসে পরিকল্পনা, অংশ নেয় ৫ জনের ‘কিলার গ্রুপ’

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ

রাজধানীর গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় মেহেদী ও রবিন নামের দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসায়ী সুমন মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য গঠন করা হয় পাঁচজনের একটি ‘কিলার গ্রুপ’। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ মার্চ সুমনকে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুমন দৌড়ে পালানোর সময় সন্ত্রাসীরা তাকে আরও কয়েকটি গুলি করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পটুয়াখালী এলাকায় মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওয়াসির মাহমুদ ওরফে সাঈদ (৫৯) ও মামুন ওরফে বেলালকে (৪২) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র?্যাব। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে বলে র‌্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার জানানো হয়।

র?্যাব জানায়, মেহেদী নামের এক ব্যক্তি মো. ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে কয়েক বছর ধরে গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মেহেদী পালিয়ে বিদেশে চলে যান। সেখান থেকে তিনি ওয়াসির মাহমুদের মাধ্যমে গুলশান ও বাড্ডা এলাকার চাঁদা সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তখন অন্য একটি সন্ত্রাসী দল রবিন গ্রুপের হয়ে ভুক্তভোগী সুমন গুলশান বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করেন। গুলশান এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। এই বিরোধের জেরে মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ওয়াসির মাহমুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও হয়, হামলার ৮ থেকে ১০ দিন আগে সুমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিল্লাল ও মামুনের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি কিলার গ্রুপ গঠন করেন ওয়াসির মাহমুদ। এর পর থেকে তারা সুমনের ওপর নজর রাখা শুরু করে। ঘটনার দিন ২০ মার্চ ওয়াসির মাহমুদের বাসায় সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যান।

রাত ৯টার দিকে সুমনকে গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে ডাক্তার ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসে থাকতে দেখে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলি লাগার পর সুমন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকে আরও কয়েকটি গুলি করা হয়। ঘটনার দিন সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই বাদশা মিয়া জানিয়েছিলেন, সুমনের বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তার বাবার নাম মাহফুজুর রহমান। তিনি রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় থাকতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, গুলশান এলাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে মেহেদী গ্রুপের সঙ্গে রবিন গ্রুপের সুমনের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ বিরোধের জেরে মেহেদী গ্রুপের প্রধান মেহেদীর নির্দেশে সুমনকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদ। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন সন্ধ্যার দিকে মেহেদী গ্রুপের একটি কিলার গ্রুপ সাঈদের বাসায় মিটিং করে এবং তার বাসা থেকে অস্ত্র নিয়ে গুলশান এলাকায় যায়। গুলশান এলাকায় গিয়ে সুমনকে গোপনে খুঁজতে থাকে এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার বাহিনীর সদস্যরা সুমনকে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার সামনে ফজলে রাব্বি পার্কের সামনে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে গুলি করে। গুলির পর প্রাণ বাঁচাতে সুমন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে আরও কয়েকটি গুলি করে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম বলেন, সুমনের মৃত্যু নিশ্চিত করে সন্ত্রাসীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। আত্মগোপনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার র‌্যাব-১ এর অভিযানিক দল র‌্যাব-৮ এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার

করে। বড় সাঈদের তথ্যে অনুযায়ী এই কিলিং মিশনে মামুন ওরফে বেলালসহ আরও কয়েকজন সরাসরি অংশগ্রহণ করে। সাঈদের তথ্যমতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং এ ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল করিম।

back to top