যত্রতত্র যাত্রী উঠানো যাবে না: পুলিশ যাত্রীবাহী বাসের ভিডিও করে রাখা যাচ্ছে
রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি অফিস থেকে জানিয়েছেন, মহাসড়কে বাস ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে পথে পথে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ২৫ ফিট লম্বা এই ওয়ার্চ টাওয়ারে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেখানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সংবাদকে জানান, মহাসড়কে চলমান প্রত্যেকটি বাসে ড্রাইভার, হেলাপার থেকে শুরু করে সব যাত্রীদের ছবি ও ভিডিও করে রাখা হচ্ছে। আর যত্রতত্র বাস থামানো নিষেধ ও যাত্রী উঠানো যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামাতে হবে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ঈদ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এই সব প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, নাটোরের বনপাড়া, বগুড়ার লালপুর, পাবনার ইশ্বরদী রোডসহ রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে।
রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান ঈদ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে নাটোরে গেছেন। সেখানে তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও জেলা এসপির সঙ্গে ঈদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ ঈদ নিরাপত্তা দিচ্ছেন। আর ঈদমুখী যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আনতে পুলিশ কাজ করছেন।
হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশে ৩ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ ঈদ নিরাপত্তা দিচ্ছে। মহাসড়ক ও আশপাশের জেলাগুলোতে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত সন্দেহভাজন একহাজার ৪৪৩ ডাকাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে পলাতক ডাকাতদেরকে ধরতে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা চলছে।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম সংবাদকে জানান, ঈদ নিরাপত্তায় মঙ্গলবার থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম, ঢাকা টাঙ্গাইল, ঢাকা সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ কাজ শুরু করছেন। হাইওয়ে পুলিশকে আরও অতিরিক্ত ৭শ’ ফোর্স পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, দেশে ৩ হাজার ৯শ’ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। ঈদে যাত্রা পথে হাইওয়ে পুলিশ হটলাইন চালু করবে। জেলা পর্যায়ে পুলিশের প্যাট্রল টিম রাতে কাজ করছে।
হাইওয়ে পুলিশকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সহায়তা করবেন। আর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অপরাধী চিহ্নিত করতে স্থাপন করা ১৪৭২টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে এখন ১৩৩৯টি ক্যামেরা চালু আছে।
নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের ভূলতা, কাঁচপুর, মোঘরাপাড়া, বিভিন্ন টোল প্লাজা, মাওয়া টোল প্লাজা, আশুগঞ্জ, ভৈরবসহ ঢাকা সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তায় গত ২৪ মার্চ বিকেলে থেকে দায়িত্ব দেয়া শুরু করেছে। চলবে ঈদ পর্যন্ত।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে জনভোগান্তি কমাতে হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও জেলা কাজ করবেন। এর জন্য বাড়তি যানবাহন ও বাড়তি ফোর্সের ব্যবস্থা করছেন পুলিশ সদর দপ্তর। নিরাপত্তায় ২ হাজার ৯শ’ হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও ৭শ’ ফোর্স বাড়তি থাকবে। জেলা পর্যায়ে জেলা পুলিশ হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সম্বনয় করে কাজ করবে।
যে সব ডাকাত আগে মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই করেছে। এমন ডাকাতদের তালিকা সংগ্রহ করে মহাসড়কে ডাকাত চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩ থেকে ৪ জন হলে ছিনতাইকারী বা দস্যুতা। ৫ জনের বেশি হলে বা ৭ থেকে ৮ জন হলে ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে। এই সব ডাকাদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছেন।
মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টি, মলমপার্টি, টিকেট কালোবাজারী বন্ধে গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান।
এ দিকে পুলিশের একজন ডিআইজি জানান, দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ কাজ শুরু করেছেন। এই জন্য এইবার ঈদে ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছেন।
মহাসড়কে যাতে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি না হয় তা বন্ধে পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়ে কাজ করছেন বলে ওই ডিআইজি জানিয়েছেন। তবে বুধবার বাড়তি যানবাহনের কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে এই অবস্থা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যত্রতত্র যাত্রী উঠানো যাবে না: পুলিশ যাত্রীবাহী বাসের ভিডিও করে রাখা যাচ্ছে
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি অফিস থেকে জানিয়েছেন, মহাসড়কে বাস ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি ঠেকাতে পথে পথে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ২৫ ফিট লম্বা এই ওয়ার্চ টাওয়ারে ২৪ ঘণ্টা পালাক্রমে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেখানে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও স্থাপন করা হয়েছে।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন সংবাদকে জানান, মহাসড়কে চলমান প্রত্যেকটি বাসে ড্রাইভার, হেলাপার থেকে শুরু করে সব যাত্রীদের ছবি ও ভিডিও করে রাখা হচ্ছে। আর যত্রতত্র বাস থামানো নিষেধ ও যাত্রী উঠানো যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামাতে হবে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ঈদ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ এই সব প্রস্তুতি নিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, নাটোরের বনপাড়া, বগুড়ার লালপুর, পাবনার ইশ্বরদী রোডসহ রাজশাহী বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে।
রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান ঈদ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে নাটোরে গেছেন। সেখানে তিনি পুলিশ কর্মকর্তা ও জেলা এসপির সঙ্গে ঈদের নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ ঈদ নিরাপত্তা দিচ্ছেন। আর ঈদমুখী যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আনতে পুলিশ কাজ করছেন।
হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশে ৩ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ ঈদ নিরাপত্তা দিচ্ছে। মহাসড়ক ও আশপাশের জেলাগুলোতে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত সন্দেহভাজন একহাজার ৪৪৩ ডাকাতকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি অপারেশন শফিকুল ইসলাম। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে পলাতক ডাকাতদেরকে ধরতে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা চলছে।
হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশন) শফিকুল ইসলাম সংবাদকে জানান, ঈদ নিরাপত্তায় মঙ্গলবার থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম, ঢাকা টাঙ্গাইল, ঢাকা সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। এই লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ কাজ শুরু করছেন। হাইওয়ে পুলিশকে আরও অতিরিক্ত ৭শ’ ফোর্স পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, দেশে ৩ হাজার ৯শ’ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কে ৩৪০টি অপারেশন টিম কাজ করছে। ঈদে যাত্রা পথে হাইওয়ে পুলিশ হটলাইন চালু করবে। জেলা পর্যায়ে পুলিশের প্যাট্রল টিম রাতে কাজ করছে।
হাইওয়ে পুলিশকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সহায়তা করবেন। আর ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে অপরাধী চিহ্নিত করতে স্থাপন করা ১৪৭২টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে এখন ১৩৩৯টি ক্যামেরা চালু আছে।
নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জের ভূলতা, কাঁচপুর, মোঘরাপাড়া, বিভিন্ন টোল প্লাজা, মাওয়া টোল প্লাজা, আশুগঞ্জ, ভৈরবসহ ঢাকা সিলেট ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তায় গত ২৪ মার্চ বিকেলে থেকে দায়িত্ব দেয়া শুরু করেছে। চলবে ঈদ পর্যন্ত।
জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে জনভোগান্তি কমাতে হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও জেলা কাজ করবেন। এর জন্য বাড়তি যানবাহন ও বাড়তি ফোর্সের ব্যবস্থা করছেন পুলিশ সদর দপ্তর। নিরাপত্তায় ২ হাজার ৯শ’ হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও ৭শ’ ফোর্স বাড়তি থাকবে। জেলা পর্যায়ে জেলা পুলিশ হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সম্বনয় করে কাজ করবে।
যে সব ডাকাত আগে মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই করেছে। এমন ডাকাতদের তালিকা সংগ্রহ করে মহাসড়কে ডাকাত চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩ থেকে ৪ জন হলে ছিনতাইকারী বা দস্যুতা। ৫ জনের বেশি হলে বা ৭ থেকে ৮ জন হলে ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও আছে। এই সব ডাকাদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছেন।
মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টি, মলমপার্টি, টিকেট কালোবাজারী বন্ধে গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম চালু করার দাবি জানান।
এ দিকে পুলিশের একজন ডিআইজি জানান, দেশের মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের আইনশৃংঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশ কাজ শুরু করেছেন। এই জন্য এইবার ঈদে ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছেন।
মহাসড়কে যাতে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতি না হয় তা বন্ধে পুলিশ হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়ে কাজ করছেন বলে ওই ডিআইজি জানিয়েছেন। তবে বুধবার বাড়তি যানবাহনের কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে এই অবস্থা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।