তৎকালীন বিডিআরের (বিজিবি) চাকরিচ্যুত সদস্যদের সচিবালয়মুখী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হয় -সংবাদ
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে তারা সচিবালয়মুখী মিছিল করেছে। সোমবার দুপুরে মিছিলটি সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবনের কাছে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরও আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তখন বিডিআর সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১টার দিকে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা মিছিল নিয়ে বের হয়।
শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদেরকে ব্যারিকেড দেয়। এরপর আন্দোলনকারী সাবেক বিডিআর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় বসে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে অবরোধের পর মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর জল কামান, কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বর দিকে চলে যায়। পরে যান চলাচল শুরু হয়।
বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে ঢামেকে চিকিৎসা দেয়া হয়
আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে: রমনা বিভাগের ডিসি
রাস্তা অবরোধে জনভোগান্তি ঠেকাতে জলকামানের ব্যবহার: ওসি
হাসপাতালের দেয়া তথ্য মতে, শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন। তার মধ্যে ৭ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন ইসমাইল হোসেন, কামরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রতন কুমার দেব, মোতালেব হোসেন, কামরুজ্জামান ও সারোয়ার।
আহতরা উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিল। তারা কোনো ঝামেলা করেনি। আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, জল কামাল ছুঁড়ছে। গুলি ছাড়াও সব কিছুই পুলিশ ব্যবহার করছে বলে বিডিআর সদস্যরা দাবি করছেন। এতে সাবেক বিডিআর সদস্যরা অনেকেই আহত হয়েছে। এর আগে রোববার পিলখানা বিজিবি সদরদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্যরা।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, সচিবালয়মুখী মিছিলের সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল নিক্ষেপ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি জানান, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আক্রমনে তাদের ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে রাখায় জনভোগান্তি প্রতিরোধে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
তৎকালীন বিডিআরের (বিজিবি) চাকরিচ্যুত সদস্যদের সচিবালয়মুখী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হয় -সংবাদ
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে তারা সচিবালয়মুখী মিছিল করেছে। সোমবার দুপুরে মিছিলটি সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবনের কাছে পুলিশ বাধা দেয়। এরপরও আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। তখন বিডিআর সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর ১টার দিকে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা মিছিল নিয়ে বের হয়।
শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদেরকে ব্যারিকেড দেয়। এরপর আন্দোলনকারী সাবেক বিডিআর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তায় বসে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় এক ঘন্টা ধরে অবরোধের পর মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা উত্তেজিত হয়ে যায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এরপর জল কামান, কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। এরপর আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বর দিকে চলে যায়। পরে যান চলাচল শুরু হয়।
বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনকে ঢামেকে চিকিৎসা দেয়া হয়
আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে: রমনা বিভাগের ডিসি
রাস্তা অবরোধে জনভোগান্তি ঠেকাতে জলকামানের ব্যবহার: ওসি
হাসপাতালের দেয়া তথ্য মতে, শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেছেন। তার মধ্যে ৭ জনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন ইসমাইল হোসেন, কামরুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, রতন কুমার দেব, মোতালেব হোসেন, কামরুজ্জামান ও সারোয়ার।
আহতরা উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিল। তারা কোনো ঝামেলা করেনি। আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, জল কামাল ছুঁড়ছে। গুলি ছাড়াও সব কিছুই পুলিশ ব্যবহার করছে বলে বিডিআর সদস্যরা দাবি করছেন। এতে সাবেক বিডিআর সদস্যরা অনেকেই আহত হয়েছে। এর আগে রোববার পিলখানা বিজিবি সদরদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে চাকরিচ্যুত সাবেক বিডিআর সদস্যরা।
পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে বলেন, সচিবালয়মুখী মিছিলের সময় আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল নিক্ষেপ করেছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
শাহবাগ থানার ওসি জানান, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আক্রমনে তাদের ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করে রাখায় জনভোগান্তি প্রতিরোধে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।