নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীর অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক সুপারিশ পেশ করেছে। শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৬০০ করে তার মধ্যে ৩০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সব ধর্মের নারীর জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিতে অভিন্ন পারিবারিক আইন চালুর প্রস্তাব করেছে কমিশন। তবে এই আইন আপাতত ঐচ্ছিকভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ধর্ষণ আইনে সংশোধন, বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ, যৌনপেশাকে অপরাধ হিসেবে না দেখা, যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করাসহ মোট ৪৩৩টি সুপারিশ রয়েছে।
কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক জানান, নারীকে সংসদে পুরুষের সমান প্রতিনিধিত্ব দিতে হলে সাহসী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, “৬০০ আসন উদ্ভট কিছু নয়, বরং প্রয়োজনীয়।”
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন, এবং মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির নিশ্চয়তা দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীর অধিকার রক্ষায় ঐতিহাসিক সুপারিশ পেশ করেছে। শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৬০০ করে তার মধ্যে ৩০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব আসনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নারী প্রতিনিধি নির্বাচিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সব ধর্মের নারীর জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিতে অভিন্ন পারিবারিক আইন চালুর প্রস্তাব করেছে কমিশন। তবে এই আইন আপাতত ঐচ্ছিকভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে ধর্ষণ আইনে সংশোধন, বৈবাহিক ধর্ষণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ, যৌনপেশাকে অপরাধ হিসেবে না দেখা, যৌনকর্মীদের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করাসহ মোট ৪৩৩টি সুপারিশ রয়েছে।
কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক জানান, নারীকে সংসদে পুরুষের সমান প্রতিনিধিত্ব দিতে হলে সাহসী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, “৬০০ আসন উদ্ভট কিছু নয়, বরং প্রয়োজনীয়।”
প্রতিবেদনে গণমাধ্যমে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নেতিবাচক উপস্থাপন বন্ধ, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে শক্তিশালী আইন প্রণয়ন, এবং মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটির নিশ্চয়তা দেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।