সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেছেন, ‘রাজাকাররা এখন ক্ষমতায়, আর মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।’ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
টানা আটবারের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন। তার ভাষ্য, “অবশ্যই নির্বাচন করব।”
এদিন চানখারপুলে ব্যবসায়ী মনির হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক গত ১৩ এপ্রিল এ আবেদন করেন।
আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবারও সাংবাদিকদের উদ্দেশে শাজাহান খান বলেন, “তোমরা কিছু বলো না; শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।” এরপর তিনি আবারও বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে, তাই বলেছি।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী মো. মনির। আন্দোলনের সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। পরে নিহতের স্ত্রী ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শাজাহান খান বর্তমানে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর মাদারীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেছেন, ‘রাজাকাররা এখন ক্ষমতায়, আর মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।’ সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।
টানা আটবারের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন। তার ভাষ্য, “অবশ্যই নির্বাচন করব।”
এদিন চানখারপুলে ব্যবসায়ী মনির হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক গত ১৩ এপ্রিল এ আবেদন করেন।
আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবারও সাংবাদিকদের উদ্দেশে শাজাহান খান বলেন, “তোমরা কিছু বলো না; শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।” এরপর তিনি আবারও বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে, তাই বলেছি।”
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী মো. মনির। আন্দোলনের সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। পরে নিহতের স্ত্রী ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শাজাহান খান বর্তমানে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর মাদারীপুর-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হন।