নির্বাচন কমিশনে (ইসি) হরেক রকমের নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের হিড়িক পড়েছে। এসব দলের বেশিরভাগেরই নেই সাংগঠনিক কোনো কমিটি। থানা, উপজেলা পর্যায়ে এমনকি জেলা পর্যায়েও নেই তাদের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম। এসব দলের কোনো অফিস বা ঠিকানাও নেই। তারপরেও এসব নামসর্বস্ব দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এমন আবেদনের সংখ্যা ৬৫টি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আরও ৪৬টি দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ইসি সূত্র বলছে, ‘বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি’, ‘বাংলাদেশ শান্তির দল’, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’, ‘জাতীয় ভূমিহীন পার্টি’, ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’, ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি’, ‘জনতার কথা বলে’ এ ধরনের বাহারি নামের অনেক দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, আবার কেউ নিবন্ধনের জন্য সময় আবেদন করেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ নামেও নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন হয়েছে এবং ইসি তা বাতিল করে দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, গত ১০ মার্চ নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। আবেদনের শেষ সময় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫টি দল নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করেছে। এর বাইরে আরও ৪৬টি দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এই দলগুলোর বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। এবারও নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
দল নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসি। আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনকারী দলগুলোর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু দলের পক্ষ থেকেও এই অনুরোধ জানানো হয়। রোববার ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক দলের নিবন্ধনে সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।’
এখন ইসিতে নিবন্ধিত দল আছে ৫০টি। কোনো দলকে দলীয় প্রতীকে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়। এ নিবন্ধন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করার বিধান আছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব শর্ত কিছুটা সহজ করার সুপারিশ করেছে। তবে সে সুপারিশ এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিদ্যমান আইনে অর্থাৎ আগের শর্তেই নিবন্ধনের আবেদন চেয়েছে ইসি।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কিছু শর্তের উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে আছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন (মহানগর) থানায় কার্যালয় থাকতে হবে এবং প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।
এর বাইরে নিবন্ধনের জন্য দলের গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বিধান থাকতে হয়। যেমন কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা, সব পর্যায়ের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারীদের জন্য নির্ধারিত রাখা এবং পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা শ্রমিক ও অন্য কোনো পেশার সদস্যদের সমন্বয়ে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন না থাকা ইত্যাদি।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। তবে বেশিরভাগ দলই ছিল নামসর্বস্ব। প্রাথমিক কাগজপত্র বাছাইয়েই বাদ পড়েছিল ৮১টি দলের আবেদন। প্রাথমিক বাছাই শেষে গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল মাত্র দুটি দলকে। তবে হাবিবুল আউয়াল কমিশন যে দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছিল, সে দুটিও ছিল ভুঁইফোঁড় দল। সে দল দুটি ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। ইসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
যে দলগুলো ইতোমধ্যে নিবন্ধনের জন্য বা সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ সংরক্ষণশীল দল (বিসিপি), জনতা কংগ্রেস দল, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, জাস্টিস পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ), ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, স্বাধীন জনতা পার্টি, আমজনতার দল, সংবিধানবিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), ডেমোক্র্যাটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ গণঅভিযাত্রা দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, ন্যাশনাল লেবার পার্টি, জনতা মহাজোট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনতার ঐক্য, জাতীয় জনতা পার্টি, সাধারণ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জনগণের পার্টি, অহিংস গণ আন্দোলন ইত্যাদি।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) হরেক রকমের নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের হিড়িক পড়েছে। এসব দলের বেশিরভাগেরই নেই সাংগঠনিক কোনো কমিটি। থানা, উপজেলা পর্যায়ে এমনকি জেলা পর্যায়েও নেই তাদের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম। এসব দলের কোনো অফিস বা ঠিকানাও নেই। তারপরেও এসব নামসর্বস্ব দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এমন আবেদনের সংখ্যা ৬৫টি বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আরও ৪৬টি দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
ইসি সূত্র বলছে, ‘বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি’, ‘বাংলাদেশ শান্তির দল’, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’, ‘জাতীয় ভূমিহীন পার্টি’, ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’, ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি’, ‘জনতার কথা বলে’ এ ধরনের বাহারি নামের অনেক দল রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, আবার কেউ নিবন্ধনের জন্য সময় আবেদন করেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ নামেও নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন হয়েছে এবং ইসি তা বাতিল করে দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, গত ১০ মার্চ নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ইসি। আবেদনের শেষ সময় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৫টি দল নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করেছে। এর বাইরে আরও ৪৬টি দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। এই দলগুলোর বেশিরভাগই নামসর্বস্ব। তাদের কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না। এবারও নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ইসি কর্মকর্তারা।
দল নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে ইসি। আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদনকারী দলগুলোর মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু দলের পক্ষ থেকেও এই অনুরোধ জানানো হয়। রোববার ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেক দলের নিবন্ধনে সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।’
এখন ইসিতে নিবন্ধিত দল আছে ৫০টি। কোনো দলকে দলীয় প্রতীকে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হয়। এ নিবন্ধন পেতে কিছু শর্ত পূরণ করার বিধান আছে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন করা নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এসব শর্ত কিছুটা সহজ করার সুপারিশ করেছে। তবে সে সুপারিশ এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিদ্যমান আইনে অর্থাৎ আগের শর্তেই নিবন্ধনের আবেদন চেয়েছে ইসি।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কিছু শর্তের উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে আছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন (মহানগর) থানায় কার্যালয় থাকতে হবে এবং প্রতিটি কার্যালয়ে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।
এর বাইরে নিবন্ধনের জন্য দলের গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বিধান থাকতে হয়। যেমন কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সব কমিটির সদস্য নির্বাচিত করা, সব পর্যায়ের কমিটিতে অন্তত ৩৩ শতাংশ সদস্যপদ নারীদের জন্য নির্ধারিত রাখা এবং পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বা শ্রমিক ও অন্য কোনো পেশার সদস্যদের সমন্বয়ে অঙ্গ বা সহযোগী সংগঠন না থাকা ইত্যাদি।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ৯৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। তবে বেশিরভাগ দলই ছিল নামসর্বস্ব। প্রাথমিক কাগজপত্র বাছাইয়েই বাদ পড়েছিল ৮১টি দলের আবেদন। প্রাথমিক বাছাই শেষে গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টিসহ ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন দেয়া হয়েছিল মাত্র দুটি দলকে। তবে হাবিবুল আউয়াল কমিশন যে দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছিল, সে দুটিও ছিল ভুঁইফোঁড় দল। সে দল দুটি ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। ইসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।
যে দলগুলো ইতোমধ্যে নিবন্ধনের জন্য বা সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ সংরক্ষণশীল দল (বিসিপি), জনতা কংগ্রেস দল, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণময় পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি (বাজাপা), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তি ঐক্যদল, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ নাগরিক আন্দোলন পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জনতা পার্টি, জাস্টিস পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জেনারেল পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন, বাংলাদেশ জনগণের দল (বাজদ), ফরোয়ার্ড পার্টি, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, স্বাধীন জনতা পার্টি, আমজনতার দল, সংবিধানবিষয়ক জনস্বার্থ পার্টি সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), ডেমোক্র্যাটিক লীগ (ডিএল), বাংলাদেশ গণঅভিযাত্রা দল, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, ন্যাশনাল লেবার পার্টি, জনতা মহাজোট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জনতার ঐক্য, জাতীয় জনতা পার্টি, সাধারণ জনতা পার্টি, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জনগণের পার্টি, অহিংস গণ আন্দোলন ইত্যাদি।