আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ এবং বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, উপদেষ্টা তাদের আশার বাণী শোনাতে পারেননি। এজন্য ‘আরেকটি জুলাই’ গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করা হবে বলে শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়েছেন।
সোমবার, (২১ এপ্রিল) বেলা ২টার পর একদল শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তারা আওয়ামী লীগসহ দলটির সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ এবং পিলখানা হত্যাকা-, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাসহ সব ‘অপকর্মের’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিজেদের দাবি নিয়ে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক
আলী ইবনে মোহাম্মদ, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান ও রাফিদ এম ভুইয়া।
তারা নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও দলটির নিবন্ধন বাতিল, আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, গুম থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান দেয়া, গত ১৫ বছরের সব রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার, জুলাই আন্দোলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ নয়টি দাবি জানিয়েছেন।
সচিবালয় থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্য মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ইতিবাচক কিছু বলবেন, তারা এমন আশা করেছিলেন। কিন্তু উপদেষ্টা কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি।
মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আলাপ-আলোচনায় মনে হয়েছে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দূতাবাসগুলোর প্রশ্নের মুখোমুখি হাতে চায় না; এজন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছে না।
৫ আগস্ট জনগণ রায় দিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাই কালবিলম্ব না করে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে মুসাদ্দিক বলেন, আরেক জুলাই গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। তারা শিগগিরই এ দাবি আদায়ে মাঠে নামবেন।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা দেশের ‘আনাচ-কানাচে’ তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। সে জন্য আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে।
সংবিধানের ১৩২ ধারা নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী সালেহ মাহমুদ রায়হান বলেন, এই ধারা বাতিলের জন্য উপদেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ধারাটি হলো সরকারি কর্মকর্তাদের নামে মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস কর্মকর্তা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ হলে আইজির অনুমতি লাগে। আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত অনেক মামলার আবেদন হয়েছে। কিন্তু সেগুলো থানায় যায়নি। তাই এই ধারায় সংশোধনী বা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ এবং বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। তাদের দাবি, উপদেষ্টা তাদের আশার বাণী শোনাতে পারেননি। এজন্য ‘আরেকটি জুলাই’ গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করা হবে বলে শিক্ষার্থীরা হুমকি দিয়েছেন।
সোমবার, (২১ এপ্রিল) বেলা ২টার পর একদল শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তারা আওয়ামী লীগসহ দলটির সব অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ এবং পিলখানা হত্যাকা-, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাসহ সব ‘অপকর্মের’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্ম থেকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নিজেদের দাবি নিয়ে সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক
আলী ইবনে মোহাম্মদ, জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান ও রাফিদ এম ভুইয়া।
তারা নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ও দলটির নিবন্ধন বাতিল, আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্যদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত, গুম থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান দেয়া, গত ১৫ বছরের সব রাজনৈতিক সব মামলা প্রত্যাহার, জুলাই আন্দোলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ নয়টি দাবি জানিয়েছেন।
সচিবালয় থেকে বেরিয়ে প্রধান ফটকের সামনে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্য মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ইতিবাচক কিছু বলবেন, তারা এমন আশা করেছিলেন। কিন্তু উপদেষ্টা কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি।
মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, আলাপ-আলোচনায় মনে হয়েছে সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দূতাবাসগুলোর প্রশ্নের মুখোমুখি হাতে চায় না; এজন্য আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছে না।
৫ আগস্ট জনগণ রায় দিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তাই কালবিলম্ব না করে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।
গণ-আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয় মন্তব্য করে মুসাদ্দিক বলেন, আরেক জুলাই গড়ে তুলে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। তারা শিগগিরই এ দাবি আদায়ে মাঠে নামবেন।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাদিক আল আরমান বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা দেশের ‘আনাচ-কানাচে’ তাদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। সে জন্য আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে।
সংবিধানের ১৩২ ধারা নিয়ে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষার্থী সালেহ মাহমুদ রায়হান বলেন, এই ধারা বাতিলের জন্য উপদেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ধারাটি হলো সরকারি কর্মকর্তাদের নামে মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগে। এ ক্ষেত্রে বিসিএস কর্মকর্তা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ হলে আইজির অনুমতি লাগে। আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত অনেক মামলার আবেদন হয়েছে। কিন্তু সেগুলো থানায় যায়নি। তাই এই ধারায় সংশোধনী বা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।