জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক টি এম জোবায়েরের ট্রাস্ট ব্যাংকের পাঁচটি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার, (২১ এপ্রিল) এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, এসব হিসাবে ২৬ লাখ ৫ হাজার ৮০১ টাকা রয়েছে। এদিন দুদকের পক্ষে কমিশনের উপ-পরিচালক মনজুর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, টি এম জোবায়েরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সাড়ে ২৯ লাখ পাউন্ডে লন্ডনে বাড়ি কেনাসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
আবেদনে বলা হয়, ট্রাস্ট ব্যাংকের পাঁচ হিসাবের মাধ্যমে টি এম জোবায়ের ও তার স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদ অবৈধ অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। এ কারণে জোবায়েরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। গত বছরের ৬ অক্টোবর টি এম জোবায়ের এবং তার স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুল ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হক ও তার স্ত্রী নূছরাত জাহান মুক্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এদিন আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক আজিজুল হক। এতে বলা হয়, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। হামিদুল সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে দুদক জেনেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার।
১৯৭০ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করা হামিদুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে তিনি কমিশন পান। মেজর জেনারেল হামিদুল হক সর্বশেষ সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সেক্রেটারি এবং গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুবলীগ নেতাসহ তিনজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ক্যান্টনমেন্ট থানা যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দীন, তার স্ত্রী নুরুন নাহার, সহযোগী নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে একই আদালত। দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের ‘ক্যাডার’ আব্বাস উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মাদক ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো প্রয়োজন।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক টি এম জোবায়েরের ট্রাস্ট ব্যাংকের পাঁচটি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার, (২১ এপ্রিল) এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, এসব হিসাবে ২৬ লাখ ৫ হাজার ৮০১ টাকা রয়েছে। এদিন দুদকের পক্ষে কমিশনের উপ-পরিচালক মনজুর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, টি এম জোবায়েরের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সাড়ে ২৯ লাখ পাউন্ডে লন্ডনে বাড়ি কেনাসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
আবেদনে বলা হয়, ট্রাস্ট ব্যাংকের পাঁচ হিসাবের মাধ্যমে টি এম জোবায়ের ও তার স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদ অবৈধ অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। এ কারণে জোবায়েরের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। গত বছরের ৬ অক্টোবর টি এম জোবায়ের এবং তার স্ত্রী ফাহমিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত।
ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি হামিদুল ও স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক হামিদুল হক ও তার স্ত্রী নূছরাত জাহান মুক্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এদিন আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক আজিজুল হক। এতে বলা হয়, হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। হামিদুল সস্ত্রীক দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন বলে দুদক জেনেছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার।
১৯৭০ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করা হামিদুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে তিনি কমিশন পান। মেজর জেনারেল হামিদুল হক সর্বশেষ সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০৩ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সেক্রেটারি এবং গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুবলীগ নেতাসহ তিনজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ক্যান্টনমেন্ট থানা যুবলীগ নেতা আব্বাস উদ্দীন, তার স্ত্রী নুরুন নাহার, সহযোগী নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে একই আদালত। দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের ‘ক্যাডার’ আব্বাস উদ্দিন ও নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মাদক ব্যবসা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো প্রয়োজন।