সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পরও আলোর মুখ না দেখায় হাইকোর্ট আবারও ছয় মাস সময় দিল তদন্তে নিয়োজিত টাস্কফোর্সকে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ আদালতে নয় মাস সময় চেয়ে বলেন, “তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট ডিবি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কিছু রেকর্ড পুড়ে গেছে, যার ফলে সময় লাগছে।”
তবে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। তদন্তের ‘গোপনীয়তা’র অজুহাতে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে সন্দেহ ও ক্ষোভ তৈরি হয়। আমরা তিন মাস সময় দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তবু আদালত ছয় মাস সময় দিয়েছেন।”
তবে ডিবি অফিসে নথি পোড়ার দাবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে টাস্কফোর্সের অধীনে তদন্ত পরিচালনাকারী সংস্থা পিবিআই জানায়, “নথি পোড়ার খবর সঠিক নয়। আসলে অধিকাংশ তদন্ত কর্মকর্তার বদলির কারণে পুরোনো ডকুমেন্ট খুঁজে পেতে সময় লাগছে।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শুরুর পর একে একে দায়িত্ব পায় থানা পুলিশ, ডিবি, র্যাব এবং সর্বশেষ পিবিআই। র্যাব তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায় র্যাব। কিন্তু এতদিনেও তার ফল প্রকাশ করা হয়নি।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পরও আলোর মুখ না দেখায় হাইকোর্ট আবারও ছয় মাস সময় দিল তদন্তে নিয়োজিত টাস্কফোর্সকে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ আদালতে নয় মাস সময় চেয়ে বলেন, “তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তবে ৫ আগস্ট ডিবি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কিছু রেকর্ড পুড়ে গেছে, যার ফলে সময় লাগছে।”
তবে আদালত ছয় মাস সময় মঞ্জুর করেন। তদন্তের ‘গোপনীয়তা’র অজুহাতে রাষ্ট্রপক্ষ এদিন কোনো অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, “বারবার সময় নেওয়া হলে জনমনে সন্দেহ ও ক্ষোভ তৈরি হয়। আমরা তিন মাস সময় দেওয়ার কথা বলেছিলাম। তবু আদালত ছয় মাস সময় দিয়েছেন।”
তবে ডিবি অফিসে নথি পোড়ার দাবি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে টাস্কফোর্সের অধীনে তদন্ত পরিচালনাকারী সংস্থা পিবিআই জানায়, “নথি পোড়ার খবর সঠিক নয়। আসলে অধিকাংশ তদন্ত কর্মকর্তার বদলির কারণে পুরোনো ডকুমেন্ট খুঁজে পেতে সময় লাগছে।”
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শুরুর পর একে একে দায়িত্ব পায় থানা পুলিশ, ডিবি, র্যাব এবং সর্বশেষ পিবিআই। র্যাব তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পরীক্ষার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বটি, পরিধেয় কাপড়সহ বেশ কিছু বস্তু পরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবেও পাঠায় র্যাব। কিন্তু এতদিনেও তার ফল প্রকাশ করা হয়নি।