বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর তার কার্যালয়ে সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১০ এপ্রিল এই রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। এ নিয়ে বাংলাদেশের মোট ৬২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে একাধিকবার তলব করছে। তিনি হাজির হয়নি।
গেল বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে। এরপরই বেনজীর আহমেদ কৌশলে বিদেশে পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।
সাবেক এই আইজিপি ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ছিলেন। এর আগে র্যাবের ডিজি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। এআইজি মিডিয়া এনামুল হক সাগর সংবাদকে জানিয়েছেন, ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে অধিকাংশ রেড নোটিশ নিয়ন্ত্রিণ। শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা দেখতে পারে। রেড নোটিশ জারির পর আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার নামও সেখানে দেখা যাবে।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে। এই সব বিষয় এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে।
এ নিয়ে দেশে বাংলাদেশের ৬২ জনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৫৮১ জনের বিরুদ্ধে এ রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ে ও কমে।
পুলিশের একজন সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ সংবাদকে জানান, রেড নোটিশ ইন্টারপোলের সদস্য ভুক্ত দেশগুলোর নজরে আসলে তারা ওই ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হয়। এরপর কোনো দেশ তার অবস্থান নিশ্চিত করলে সেখানে তার সম্পর্কে আরও খোঁজ-খবর নিয়ে রাখেন। কিভাবে ওই দেশে থাকে। তার বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত করে তার ওপর নজরদারি রাখে।
তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টা অনেকটা আইনি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। তিনি ওই দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে বৈধ ভাবে আশ্রয় চেয়ে থাকতে পারে। সরকারও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মিডিয়া ইনামুল হক সাগর তার কার্যালয়ে সংবাদকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত ১০ এপ্রিল এই রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। এ নিয়ে বাংলাদেশের মোট ৬২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
পুলিশসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন ও দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে একাধিকবার তলব করছে। তিনি হাজির হয়নি।
গেল বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে। এরপরই বেনজীর আহমেদ কৌশলে বিদেশে পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।
সাবেক এই আইজিপি ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ছিলেন। এর আগে র্যাবের ডিজি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বেনজীর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক ডজনের বেশি দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক। এআইজি মিডিয়া এনামুল হক সাগর সংবাদকে জানিয়েছেন, ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে অধিকাংশ রেড নোটিশ নিয়ন্ত্রিণ। শুধু আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা দেখতে পারে। রেড নোটিশ জারির পর আরও কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার নামও সেখানে দেখা যাবে।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে। এই সব বিষয় এখনো প্রক্রিয়াধীন আছে।
এ নিয়ে দেশে বাংলাদেশের ৬২ জনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৫৮১ জনের বিরুদ্ধে এ রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই সংখ্যা প্রতিবছর বাড়ে ও কমে।
পুলিশের একজন সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ সংবাদকে জানান, রেড নোটিশ ইন্টারপোলের সদস্য ভুক্ত দেশগুলোর নজরে আসলে তারা ওই ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হয়। এরপর কোনো দেশ তার অবস্থান নিশ্চিত করলে সেখানে তার সম্পর্কে আরও খোঁজ-খবর নিয়ে রাখেন। কিভাবে ওই দেশে থাকে। তার বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা নিশ্চিত করে তার ওপর নজরদারি রাখে।
তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টা অনেকটা আইনি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। তিনি ওই দেশের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে বৈধ ভাবে আশ্রয় চেয়ে থাকতে পারে। সরকারও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।