দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক-জনতা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম কে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাবেশ করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধায় ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বীরগঞ্জের শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়াপাড়া, গড়ফতু ও কাশিমনগর গ্রামের অংশ নিয়ে গড়ে উঠা বলদিয়া পাড়া বালুমহালটি আড়াই বছর আগে স্থানীয়দের জানমাল রক্ষার আন্দোলনের মুখে বাতিল হয়। সেটি আবারো ইজারা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ কৃষকদের মাঝে। আন্দোলনের মুখে গত ২০২২ সালে ইজারা বাতিল হওয়ার পর থেকে নিরাপদেই ছিল স্থানীয় কৃষি ও জীব-বৈচিত্র। আশপাশের চাষিরা নানা ফসল ফলিয়ে আবারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু সেখানে পুনরায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ইজারা প্রদান। স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে প্রশাসনের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী। আর সে কারণেই গত ২০২২ সালের মতো আবারো ফসলি জমি রক্ষায় ইজারা বাতিল দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা।
জানা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়াপাড়া বালু মহালে উত্তোলনের মতো পর্যাপ্ত বালু না থাকলেও সম্প্রতি সেখানে বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। এর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েকটি এলাকায়। আন্দোলন শুরু করেন ভুক্তভোগী কৃষক ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ইতিপূর্বে অপরিকল্পিত ভাবে বালু তোলার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে ড্রেজারের মাধ্যমে গভীর গর্ত করায় আশপাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ যাবত প্রায় ২০০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আর জমি হারাতে চাননা। শেষ সম্বল রক্ষায় বাধ্য হয়ে নেমেছেন আন্দোলনে। এরই অংশ হিসেবে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, উঠান বৈঠক, মার্চ ফর আত্রাই নামে নানান কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছেন কৃষকরা। সর্বশেষ মশাল মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন জনতা।
টানা বেশ কয়েকদিন আন্দোলন করার পর অবশেষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে বালু মহাল ইজারা স্থগিত ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসন, আর সেই খুশিতে ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন জনগন এই সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কৃষকরা জেলা প্রশাসক ইউএনও, এসিল্যান্ড মহোদয় কে ধন্যবাদ প্রদানের পাশাপাশি বেষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকেও তারা ধন্যবাদ জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আশা করছি শুধু স্থগিত নয় জনগনের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ীভাবে এই বালুমহালের ইজারা বাতিল করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক-জনতা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম কে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাবেশ করেছে। গতকাল সোমবার সন্ধায় ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন এলাকাবাসীর ব্যানারে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বীরগঞ্জের শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়াপাড়া, গড়ফতু ও কাশিমনগর গ্রামের অংশ নিয়ে গড়ে উঠা বলদিয়া পাড়া বালুমহালটি আড়াই বছর আগে স্থানীয়দের জানমাল রক্ষার আন্দোলনের মুখে বাতিল হয়। সেটি আবারো ইজারা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ কৃষকদের মাঝে। আন্দোলনের মুখে গত ২০২২ সালে ইজারা বাতিল হওয়ার পর থেকে নিরাপদেই ছিল স্থানীয় কৃষি ও জীব-বৈচিত্র। আশপাশের চাষিরা নানা ফসল ফলিয়ে আবারো স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু সেখানে পুনরায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ইজারা প্রদান। স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে প্রশাসনের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয় এলাকাবাসী। আর সে কারণেই গত ২০২২ সালের মতো আবারো ফসলি জমি রক্ষায় ইজারা বাতিল দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন কৃষকরা।
জানা গেছে, বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়াপাড়া বালু মহালে উত্তোলনের মতো পর্যাপ্ত বালু না থাকলেও সম্প্রতি সেখানে বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। এর পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েকটি এলাকায়। আন্দোলন শুরু করেন ভুক্তভোগী কৃষক ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা। ইতিপূর্বে অপরিকল্পিত ভাবে বালু তোলার ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থানে ড্রেজারের মাধ্যমে গভীর গর্ত করায় আশপাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ যাবত প্রায় ২০০ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আর জমি হারাতে চাননা। শেষ সম্বল রক্ষায় বাধ্য হয়ে নেমেছেন আন্দোলনে। এরই অংশ হিসেবে মানব বন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, উঠান বৈঠক, মার্চ ফর আত্রাই নামে নানান কর্মসূচীর মাধ্যমে আন্দোলন করে আসছেন কৃষকরা। সর্বশেষ মশাল মিছিল করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন জনতা।
টানা বেশ কয়েকদিন আন্দোলন করার পর অবশেষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন সাপেক্ষে বালু মহাল ইজারা স্থগিত ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসন, আর সেই খুশিতে ভুক্তভোগী কৃষক ও সচেতন জনগন এই সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কৃষকরা জেলা প্রশাসক ইউএনও, এসিল্যান্ড মহোদয় কে ধন্যবাদ প্রদানের পাশাপাশি বেষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সমর্থন দিয়েছেন তাদেরকেও তারা ধন্যবাদ জানান। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আশা করছি শুধু স্থগিত নয় জনগনের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ীভাবে এই বালুমহালের ইজারা বাতিল করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।