প্রাইম এশিয়ার ছাত্র খুন
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম হৃদয় মিয়াজি (২৩)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুল করিম বলেন, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় এনে বনানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, র্যাব হৃদয় মিয়াজিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি যে হৃদয় মিয়াজি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব। তিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাকে পারভেজ হত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেইট
এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। গতকাল সোমবার এই তিনজনকে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। তার মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে ১৯ এপ্রিল বিকেল ৩টায় বন্ধু তরিকুল, সুকর্ণ, ইমতিয়াজসহ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র্যানকন বিল্ডিংয়ের সামনের একটি পুরি-সিংগারার দোকানে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলেন, হাসাহাসি করছিলেন। তাদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুজন ছাত্রী। পারভেজ তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছে কিনা, সেটি জানতে আসেন মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০) ও মাহাথির হাসান (২০) নামের তিনজন।
পরে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। যা দেখা যায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও। পরে এ ঘটনা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস পর্যন্ত গড়ায়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতেই গেটের সামনে পারভেজের ওপর হামলা হয়। তাতে ছুরিকাঘাতে মারা যান পারভেজ।
প্রাইম এশিয়ার ছাত্র খুন
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম হৃদয় মিয়াজি (২৩)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদুল করিম বলেন, প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি হৃদয় মিয়াজিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় এনে বনানী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার বলেন, র্যাব হৃদয় মিয়াজিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি যে হৃদয় মিয়াজি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব। তিনি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাকে পারভেজ হত্যা মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে, ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেইট
এলাকায় অভিযান চালিয়ে পারভেজ হত্যায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)। তবে তারা কেউ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন, মামলার এজাহারেও তাদের নাম নেই। গতকাল সোমবার এই তিনজনকে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারা এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (২৪)। তার মিডটার্ম পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে ১৯ এপ্রিল বিকেল ৩টায় বন্ধু তরিকুল, সুকর্ণ, ইমতিয়াজসহ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে র্যানকন বিল্ডিংয়ের সামনের একটি পুরি-সিংগারার দোকানে দাঁড়িয়ে কথাবার্তা বলছিলেন, হাসাহাসি করছিলেন। তাদের পেছনেই দাঁড়ানো ছিল ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুজন ছাত্রী। পারভেজ তাদের নিয়ে হাসাহাসি করেছে কিনা, সেটি জানতে আসেন মেহেরাজ ইসলাম (২০), আবু জহর গিফফারি পিয়াস (২০) ও মাহাথির হাসান (২০) নামের তিনজন।
পরে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। যা দেখা যায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও। পরে এ ঘটনা প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস পর্যন্ত গড়ায়। শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতেই গেটের সামনে পারভেজের ওপর হামলা হয়। তাতে ছুরিকাঘাতে মারা যান পারভেজ।