alt

খরচ, মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দফায় দফায়, শেষ হচ্ছে না খুলনার ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা : সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দফায় দফায় বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ, সঙ্গে লাগামহীন খরচ। তবে শেষ হচ্ছে না কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঠিকাদারের গাফিলতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি সংস্থার তদারকির অভাব, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনসহ নানা জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে খুলনার অন্তত ৩২ উন্নয়ন প্রকল্প।

খুলনা নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে প্রায় ৩০ হাজার বাড়ি থেকে পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য পাইপলাইনে অপসারণের পরিকল্পনা নেয় খুলনা ওয়াসা। ২০২০ সালের ২৮ জুলাই ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সড়কের প্রশস্ততা অনুযায়ী কোথাও সড়ক খুঁড়ে, আবার কোথাও যন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হবে। ওই পাইপের মধ্য দিয়ে পানি ও সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য নগরের ভেতরের আটটি পাম্প স্টেশনে যাবে। সেখান থেকে পাম্প করে বর্জ্যগুলো নগরের বাইরের মাথাভাঙ্গা ও ঠিকারাবাঁধ পরিশোধনকেন্দ্র দুটিতে পাঠানো হবে।

এদিকে প্রায় আট বছর আগে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা নগর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে রাজবাঁধ এলাকায় নির্মিত খুলনা সিটি করপোরেশনের মানববর্জ্য শোধনাগারটিও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অব্যবস্থাপনা আর মানববর্জ্যর অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে আধুনিক এ প্রকল্পটি। ফলে প্রতিনিয়ত নগরের নালা ও আশপাশের খাল ও নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে মানববর্জ্য, বাড়ছে দূষণ। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন নগরবাসী।

‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’ প্রকল্প কর্মকর্তা ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান সেলিম আহম্মদ জানান, মূল সড়ক বাদে অলিগলি ও ছোট সড়কে পাইপলাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরপর মূল সড়কগুলোতে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় প্রায় সাত মাস কাজ বন্ধ ছিল। পরে আবার কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করে ম্যানহোল তৈরিতে ওয়াসার দীর্ঘ সময় লাগছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে রয়েছেন নগরবাসী। দীর্ঘমেয়াদি খোঁড়াখুঁড়িতে নাগরিক দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এতে অনেক স্থানে নতুন তৈরি করা ফুটপাত ও ড্রেন নষ্ট হচ্ছে। সড়কের ওপর ফেলে রাখা পেড়িমাটির স্তূপ, ভারী যন্ত্র ও ঢালাই কাজে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী।

নাগরিক সংগঠন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় কোনো প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে প্রকল্পে অর্থব্যয় বৃদ্ধিসহ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার সমন্বয়হীনতায় দীর্ঘমেয়াদি খোঁড়াখুঁড়িতে একদিকে যেমন প্রকল্পের অর্থ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে ধীরগতির কাজে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সাবেক সভাপতি কুদরত-ই খুদা বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে ধীরে। দফায় দফায় খুলনার উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ বাড়লেও কাজ শেষ হচ্ছে না। এতে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ছে।

অন্যদিকে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ শুরু হয়। প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৮৮ শতাংশ। এখন ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপসা ঘাটসংলগ্ন পাম্প স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ পাম্প স্টেশন নির্মাণের জন্য দুটি শুষ্ক মৌসুম লাগবে। কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, প্রথম দফায় পাম্প নির্মাণকাজে দরপত্র আহ্বান করা হলেও তেমন কেউ অংশ নেয়নি। ফলে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র দেয়া হবে। কাজের মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কিন্তু নগরবাসীর অভিযোগ, এত বিপুল অর্থ খরচ ও কর্মযজ্ঞের পরেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। একটু ভারী বৃষ্টিতে তীব্র জলজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

ছবি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই: উপদেষ্টা

ছবি

মরমী সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন মারা গেছেন

ছবি

দেশে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি ৩৭ হাজার ছাড়াল, চলতি বছর মৃতের সংখ্যা ১৪৭

ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক ডিআইজি ও মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম কারাগারে

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

লন্ডনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজের গাড়িতে ছুঁড়ে মারা হলে ডিম

ছবি

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কিকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

ছবি

কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন ও এনআইডি সেবা চালু

ছবি

পল্লী বিদ্যুতের ‘গণছুটি’ কর্মসূচি স্থগিত, কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান

ছবি

ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই নির্বাচন, এটি আমাদের কমিটমেন্ট: প্রেস সচিব

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গুরুত্ব আরোপ প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের

ছবি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ধর্ম উপদেষ্টার

ছবি

বিদিশার গাড়ি চুরি মামলার আসামিকে নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশ পরিদর্শক কারাগারে

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ আরও বাড়লো

ছবি

ঐকমত্য ছাড়াই ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ শেষ

ছবি

৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল: চিকিৎসক নিয়োগে সুপারিশ পেলেন ৩,১২০ জন

ছবি

নেপালে মারধর ও লুটের শিকার এক বাংলাদেশি পরিবার

ছবি

ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ‘ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে’ কমেছে ভোটকক্ষের সংখ্যা

ছবি

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

হাই কোর্টের আদেশ: পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ স্থগিত

ছবি

কাতারে ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি

জুলাই সনদ: দলগুলোর সঙ্গে ফের বসবে ঐকমত্য কমিশন

ছবি

১৬ বছরেই মিলবে জাতীয় পরিচয়পত্র: ইসি

ছবি

২০ জনের হাত বা পা কাটতে হয়েছিল, ট্রাইব্যুনালে চিকিৎসকের ভাষ্য

ছবি

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রেস উইংয়ের বয়ান

ছবি

নেপাল পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছে ঢাকা, বাংলাদেশীদের বাইরে না বেরুনোর নির্দেশনা

ছবি

‘মঞ্চ ৭১’: এবার গ্রেপ্তার সাবেক সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম

ছবি

দুর্গাপূজা: ৩৩ হাজার পূজা মণ্ডপে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা থাকবে, বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

সাংবাদিকরা স্বাবলম্বী না হলে পাপেট হয়ে যায়: তথ্য উপদেষ্টা

ছবি

জুলাই সনদ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক, ‘বিশেষ আদেশে’ বাস্তবায়নে মত

মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই: সেনাবাহিনী

মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই: সেনাবাহিনী

ছবি

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে গুজবের অভিযোগ অস্বীকার সেনাবাহিনীর

ছবি

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার

ছবি

বদরুদ্দীন উমরের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

ছবি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: ৫২ আসনের সীমানায় ব্যাপক রদবদল

tab

news » national

খরচ, মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দফায় দফায়, শেষ হচ্ছে না খুলনার ৩২ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা

সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দফায় দফায় বাড়ছে প্রকল্পের মেয়াদ, সঙ্গে লাগামহীন খরচ। তবে শেষ হচ্ছে না কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঠিকাদারের গাফিলতি, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি সংস্থার তদারকির অভাব, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনসহ নানা জটিলতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে খুলনার অন্তত ৩২ উন্নয়ন প্রকল্প।

খুলনা নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে প্রায় ৩০ হাজার বাড়ি থেকে পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য পাইপলাইনে অপসারণের পরিকল্পনা নেয় খুলনা ওয়াসা। ২০২০ সালের ২৮ জুলাই ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সড়কের প্রশস্ততা অনুযায়ী কোথাও সড়ক খুঁড়ে, আবার কোথাও যন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হবে। ওই পাইপের মধ্য দিয়ে পানি ও সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য নগরের ভেতরের আটটি পাম্প স্টেশনে যাবে। সেখান থেকে পাম্প করে বর্জ্যগুলো নগরের বাইরের মাথাভাঙ্গা ও ঠিকারাবাঁধ পরিশোধনকেন্দ্র দুটিতে পাঠানো হবে।

এদিকে প্রায় আট বছর আগে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে খুলনা নগর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে রাজবাঁধ এলাকায় নির্মিত খুলনা সিটি করপোরেশনের মানববর্জ্য শোধনাগারটিও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অব্যবস্থাপনা আর মানববর্জ্যর অভাবে ভেস্তে যেতে বসেছে আধুনিক এ প্রকল্পটি। ফলে প্রতিনিয়ত নগরের নালা ও আশপাশের খাল ও নদীতে ছড়িয়ে পড়ছে মানববর্জ্য, বাড়ছে দূষণ। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন নগরবাসী।

‘খুলনা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন’ প্রকল্প কর্মকর্তা ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান সেলিম আহম্মদ জানান, মূল সড়ক বাদে অলিগলি ও ছোট সড়কে পাইপলাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এরপর মূল সড়কগুলোতে পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের ডিসেম্বর। সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় প্রায় সাত মাস কাজ বন্ধ ছিল। পরে আবার কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৬৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করে ম্যানহোল তৈরিতে ওয়াসার দীর্ঘ সময় লাগছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে রয়েছেন নগরবাসী। দীর্ঘমেয়াদি খোঁড়াখুঁড়িতে নাগরিক দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এতে অনেক স্থানে নতুন তৈরি করা ফুটপাত ও ড্রেন নষ্ট হচ্ছে। সড়কের ওপর ফেলে রাখা পেড়িমাটির স্তূপ, ভারী যন্ত্র ও ঢালাই কাজে যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী।

নাগরিক সংগঠন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, ঠিকাদারের গাফিলতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় কোনো প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে প্রকল্পে অর্থব্যয় বৃদ্ধিসহ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার সমন্বয়হীনতায় দীর্ঘমেয়াদি খোঁড়াখুঁড়িতে একদিকে যেমন প্রকল্পের অর্থ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে ধীরগতির কাজে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সাবেক সভাপতি কুদরত-ই খুদা বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে ধীরে। দফায় দফায় খুলনার উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ ও খরচ বাড়লেও কাজ শেষ হচ্ছে না। এতে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ছে।

অন্যদিকে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খুলনা সিটি করপোরেশনের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ড্রেনেজ উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ শুরু হয়। প্রকল্প সূত্র বলছে, প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৮৮ শতাংশ। এখন ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপসা ঘাটসংলগ্ন পাম্প স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ পাম্প স্টেশন নির্মাণের জন্য দুটি শুষ্ক মৌসুম লাগবে। কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, প্রথম দফায় পাম্প নির্মাণকাজে দরপত্র আহ্বান করা হলেও তেমন কেউ অংশ নেয়নি। ফলে দ্বিতীয় দফায় দরপত্র দেয়া হবে। কাজের মেয়াদ ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

কিন্তু নগরবাসীর অভিযোগ, এত বিপুল অর্থ খরচ ও কর্মযজ্ঞের পরেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। একটু ভারী বৃষ্টিতে তীব্র জলজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

back to top