অন্তত ৫০টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ মহল গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে। ১৬ বছরের যুদ্ধ ছিল ভোটের অধিকার ফেরানোর, কোনো মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশের মানুষ সংগ্রাম করেনি।’
সোমবার, (২৮ এপ্রিল ২০২৫) বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন। রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিত্র শরিক ন্যাপ-ভাসানী, আমজনতার দল ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে দলটি। দেশে কারা নির্বাচন চায় না সে প্রশ্ন তুলে আমীর
খসরু বলেন, ‘কোনও বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী যদি গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করে সেটি সুখকর নয়। কোনও মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশের মানুষ সংগ্রাম করেনি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, এমন প্রায় ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য। এর সঙ্গে সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে। তবে তিনি এও বলেছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার সেরে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে, তারপরে নয়। গত সপ্তাহে আর্থনা সামিটে অংশ নিতে দোহা সফরে গিয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার রাতে সেই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা যে জনগণের কথা বলেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘এখানে বলা হচ্ছে, জনগণ। জনগণ বলতে কারা? এই জনগণ বলতে কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী, যারা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে।’
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অবস্থার অর্ডারটা, জনগণের ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি থাকবে, সেটা যেই সরকারই হোক। কোনো মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এ দেশের মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করেনি, এত ত্যাগ স্বীকার করেনি। আর কোনো মহামানব দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে, তার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে, সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যারা ফ্যাসিবাদ অবসানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সাথে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে এমন ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে যে, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন দিতে হবে। তারা সাথে সাথে এও বলেছে, যে সংস্কারগুলোতে ঐকমত্য হবে, সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হোক।’
বৈঠকে ন্যাপ-ভাসানীর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন দলটির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান বৈঠকে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া বিপিপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আকতার দলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রথম দুটি বৈঠকে বিএনপির পক্ষে আমীর খসরুর সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ছিলেন। তবে বিপিপির সঙ্গে বৈঠকে আমীর খসরু ও বুলু উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
অন্তত ৫০টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একটি বিশেষ মহল গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে। ১৬ বছরের যুদ্ধ ছিল ভোটের অধিকার ফেরানোর, কোনো মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশের মানুষ সংগ্রাম করেনি।’
সোমবার, (২৮ এপ্রিল ২০২৫) বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন। রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মিত্র শরিক ন্যাপ-ভাসানী, আমজনতার দল ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে দলটি। দেশে কারা নির্বাচন চায় না সে প্রশ্ন তুলে আমীর
খসরু বলেন, ‘কোনও বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী যদি গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে বিরুদ্ধাচারণ করে সেটি সুখকর নয়। কোনও মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য দেশের মানুষ সংগ্রাম করেনি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, এমন প্রায় ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য। এর সঙ্গে সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে। তবে তিনি এও বলেছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার সেরে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে, তারপরে নয়। গত সপ্তাহে আর্থনা সামিটে অংশ নিতে দোহা সফরে গিয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার রাতে সেই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা যে জনগণের কথা বলেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘এখানে বলা হচ্ছে, জনগণ। জনগণ বলতে কারা? এই জনগণ বলতে কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী, যারা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে।’
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অবস্থার অর্ডারটা, জনগণের ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি থাকবে, সেটা যেই সরকারই হোক। কোনো মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য এ দেশের মানুষ লড়াই-সংগ্রাম করেনি, এত ত্যাগ স্বীকার করেনি। আর কোনো মহামানব দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে, তার জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে, সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যারা ফ্যাসিবাদ অবসানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সাথে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে এমন ৫০টি দল পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে যে, ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন দিতে হবে। তারা সাথে সাথে এও বলেছে, যে সংস্কারগুলোতে ঐকমত্য হবে, সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হোক।’
বৈঠকে ন্যাপ-ভাসানীর ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন দলটির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। আমজনতার দলের সভাপতি কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান বৈঠকে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া বিপিপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আকতার দলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রথম দুটি বৈঠকে বিএনপির পক্ষে আমীর খসরুর সঙ্গে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ছিলেন। তবে বিপিপির সঙ্গে বৈঠকে আমীর খসরু ও বুলু উপস্থিত ছিলেন।