সিন্দুরখান ইউনিয়নে জঙ্গলবেষ্টিত এলাকায় লাসুবন গিরিখাত -সংবাদ
দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত ও পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীন লাসুবন গিরিখাত।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গল বেষ্টিত পাহাড়ি এলাকা এটি। খাসি ভাষায় লাসুবন শব্দের অর্থ পাহাড়ি ফুল বা জংলি ফুল। লাসুবন গিরিখাত নাম হলেও শ্রীমঙ্গল গিরিখাত নামেই স্থানীয়রা চেনে বেশি। ছোট-বড় অনেক পাথুরে ছড়া আছে এই গিরিখাতে। এই এলাকায় ইতোমধ্যে বড় তিনটি গিরিখাত সম্প্রতি নজরে এসেছে সবার। স্থানীয় খাসি ভাষায় ক্রেম ক্লু, ক্রেম কেরি ও ক্রেম উল্কা নামে বড় তিন গিরিখাত পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ হতে পারে।
লাসুবন গিরিখাতগুলোর কোনোটা এক কিলোমিটার আবার কোনোটা এর চেয়ে কম। কিছু কিছু জায়গা আছে খাড়া পাথরের পাহাড়। গিরিখাত এলাকাটি পড়েছে স্থানীয় নাহার খাসিয়া পুঞ্জির ভেতরে। লাংগুলিয়া ছড়া নামের একটি পাহাড়ি ছড়া ধরে পুরো এলাকাটি ঘুরে আসা যায়। এই লাংগুলিয়া ছড়াটি ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ বেয়ে মিশেছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস ছড়ায়। সাপের মতো আঁকাবাঁকা ছড়ার সঙ্গে মিশেছে আরও প্রায় শ’খানেক ছোট-বড় পাথুরে ছড়া। এর মধ্যে কয়েকটি গিরিখাত রয়েছে। পাহাড় থেকে শ’পাঁচেক ফুট নিচে এসব গিরিখাত কোথাও বড় আবার কোথাও সরু। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টুপ টুপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে। সূর্যের আলো এখানে লুকোচুরি খেলে। একেবারে নিচের বা ভেতরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছানোর সুযোগ নেই। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। রয়েছে ছোট ছোট ঝিরিধারায় অবিরাম জলের শব্দ। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি থাকে পাহাড়ের বুক বেয়ে নেমে আসা এসব ছোট ঝিরিগুলোতে।
লাসুবন যেতে হলে প্রথমে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে সিন্দুরখান যেতে হবে। সিন্দুরখান পৌঁছে হরিণছড়া চা বাগানের কাছে যেয়ে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে লাসুবনের পথ। চাইলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে গাইড হিসেবে। তারপর হেঁটে কয়েক কিলোমিটার যেতে হয়। এই হাঁটার পথটি পুরোটাই পাহাড়ি ছড়া ও খাড়া পাহাড়-টিলাবেষ্টিত।
সিন্দুরখান ইউনিয়নে জঙ্গলবেষ্টিত এলাকায় লাসুবন গিরিখাত -সংবাদ
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
দেশ-বিদেশে চায়ের রাজধানী হিসেবে খ্যাত ও পর্যটন নগরী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীন লাসুবন গিরিখাত।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সীমান্তবর্তী সিন্দুরখান ইউনিয়নের ঘন জঙ্গল বেষ্টিত পাহাড়ি এলাকা এটি। খাসি ভাষায় লাসুবন শব্দের অর্থ পাহাড়ি ফুল বা জংলি ফুল। লাসুবন গিরিখাত নাম হলেও শ্রীমঙ্গল গিরিখাত নামেই স্থানীয়রা চেনে বেশি। ছোট-বড় অনেক পাথুরে ছড়া আছে এই গিরিখাতে। এই এলাকায় ইতোমধ্যে বড় তিনটি গিরিখাত সম্প্রতি নজরে এসেছে সবার। স্থানীয় খাসি ভাষায় ক্রেম ক্লু, ক্রেম কেরি ও ক্রেম উল্কা নামে বড় তিন গিরিখাত পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ হতে পারে।
লাসুবন গিরিখাতগুলোর কোনোটা এক কিলোমিটার আবার কোনোটা এর চেয়ে কম। কিছু কিছু জায়গা আছে খাড়া পাথরের পাহাড়। গিরিখাত এলাকাটি পড়েছে স্থানীয় নাহার খাসিয়া পুঞ্জির ভেতরে। লাংগুলিয়া ছড়া নামের একটি পাহাড়ি ছড়া ধরে পুরো এলাকাটি ঘুরে আসা যায়। এই লাংগুলিয়া ছড়াটি ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ বেয়ে মিশেছে শ্রীমঙ্গলের বিলাস ছড়ায়। সাপের মতো আঁকাবাঁকা ছড়ার সঙ্গে মিশেছে আরও প্রায় শ’খানেক ছোট-বড় পাথুরে ছড়া। এর মধ্যে কয়েকটি গিরিখাত রয়েছে। পাহাড় থেকে শ’পাঁচেক ফুট নিচে এসব গিরিখাত কোথাও বড় আবার কোথাও সরু। বৃষ্টি নেই তবুও অনবরত টুপ টুপ করে পানির বড় বড় ফোঁটা পাথরের গা থেকে নিচে পড়ছে। সূর্যের আলো এখানে লুকোচুরি খেলে। একেবারে নিচের বা ভেতরের অংশে সূর্যের আলো পৌঁছানোর সুযোগ নেই। স্থানীয়রা এটিকে উল্কা বলে ডাকেন। রয়েছে ছোট ছোট ঝিরিধারায় অবিরাম জলের শব্দ। তবে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবাহ বেশি থাকে পাহাড়ের বুক বেয়ে নেমে আসা এসব ছোট ঝিরিগুলোতে।
লাসুবন যেতে হলে প্রথমে শ্রীমঙ্গল শহর থেকে জিপ বা মোটরসাইকেল নিয়ে সিন্দুরখান যেতে হবে। সিন্দুরখান পৌঁছে হরিণছড়া চা বাগানের কাছে যেয়ে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দিবে লাসুবনের পথ। চাইলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে গাইড হিসেবে। তারপর হেঁটে কয়েক কিলোমিটার যেতে হয়। এই হাঁটার পথটি পুরোটাই পাহাড়ি ছড়া ও খাড়া পাহাড়-টিলাবেষ্টিত।