কমিশনের লক্ষ্য একটাই জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা: আলী রীয়াজ
যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই যেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে জোর দিয়ে হলেও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কার্যকর সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করি। সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর চেয়েও জাতীয় স্বার্থ ও দেশকে যেন প্রাধান্য দিই। এটা কমিশনের কাছে চাওয়া।’
আর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের লক্ষ্য একটাই জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশে নিয়ে যেতে হবে। ক্ষমতার বিন্যাসের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা ও বাংলাদেশ জাগ্রত হতে পারে সেভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে।’
সোমবার,(২৮ এপ্রিল ২০২৫)জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সংলাপের শুরুতে নরুল হক নূর ও আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। নুরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ১২৭টিতে একমত, ১৫টিতে দ্বিমত এবং ২৩টিতে আংশিকভাবে একমত বলে লিখিত মতামতে জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। কমিশনের সংলাপ বাংলাদেশের আগামীর অগ্রযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নুরুল হক নুর।
গত ১৬ বছরে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন মন্তব্য করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘অনেকেই স্ব স্ব জায়গা থেকে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট এমন ছিল, চাইলেও এ সমস্ত মানুষের ও আমাদের বেশি কিছু করার ছিল না। কিন্তু আমরা একটা
প্রেক্ষাপট তৈরি করেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। আগামীতে যেন কোনো শাসক এ রকম পথ অবলম্বন করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না পারে, সেজন্য কার্যকর সংস্কারের লক্ষ্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কেবল সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশগুলোই যথেষ্ট নয়। এজন্য রাজনৈতিক শক্তির, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে মানুষের ঐক্য প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে রাজপথে। সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে চর্চা ও ঐক্যে এবং সবাই সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে।’
আলোচনায় গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, খালিদ হোসেন, সাকিব হোসেন, শাকিল উজ জামান, ফাতেমা তুজ জোহরা রেসা এবং মুনতাজুল ইসলাম।
কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফার রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
কমিশনের লক্ষ্য একটাই জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা: আলী রীয়াজ
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই যেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে জোর দিয়ে হলেও দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কার্যকর সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করি। সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর চেয়েও জাতীয় স্বার্থ ও দেশকে যেন প্রাধান্য দিই। এটা কমিশনের কাছে চাওয়া।’
আর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের লক্ষ্য একটাই জনগণের গণতান্ত্রিক আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। মানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশে নিয়ে যেতে হবে। ক্ষমতার বিন্যাসের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা ও বাংলাদেশ জাগ্রত হতে পারে সেভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে।’
সোমবার,(২৮ এপ্রিল ২০২৫)জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সংলাপের শুরুতে নরুল হক নূর ও আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। নুরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে ১২৭টিতে একমত, ১৫টিতে দ্বিমত এবং ২৩টিতে আংশিকভাবে একমত বলে লিখিত মতামতে জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। কমিশনের সংলাপ বাংলাদেশের আগামীর অগ্রযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নুরুল হক নুর।
গত ১৬ বছরে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন মন্তব্য করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘অনেকেই স্ব স্ব জায়গা থেকে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট এমন ছিল, চাইলেও এ সমস্ত মানুষের ও আমাদের বেশি কিছু করার ছিল না। কিন্তু আমরা একটা
প্রেক্ষাপট তৈরি করেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘গত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। আগামীতে যেন কোনো শাসক এ রকম পথ অবলম্বন করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে না পারে, সেজন্য কার্যকর সংস্কারের লক্ষ্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে চাই।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কেবল সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন, মতামত বা সুপারিশগুলোই যথেষ্ট নয়। এজন্য রাজনৈতিক শক্তির, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর সঙ্গে মানুষের ঐক্য প্রয়োজন। রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে রাজপথে। সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে চর্চা ও ঐক্যে এবং সবাই সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে।’
আলোচনায় গণঅধিকার পরিষদের প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, আবু হানিফ, হাবিবুর রহমান রিজু, খালিদ হোসেন, সাকিব হোসেন, শাকিল উজ জামান, ফাতেমা তুজ জোহরা রেসা এবং মুনতাজুল ইসলাম।
কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার, সফার রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।