alt

জাতীয়

গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণই সাংবাদিকদের অধিকারহীনতার মূল উৎস: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংবাদমাধ্যমে যে ধরনের ‘রাজনীতিকরণ হয়েছে’, সেটিকেই সাংবাদিকদের ‘অধিকারহীনতার উৎস’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তার ভাষায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত হত্যা, গুম, খুনের ঘটনাগুলোর জন্য ‘সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে’।

সোমবার রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে ডিএফপির সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পৈশাচিকতার সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র ছিল গণমাধ্যম। এবং গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণই মূলত সাংবাদিকদের শত্রু। সাংবাদিকদের এই কথাটা গুরুত্ব দিয়ে বোঝা উচিত–সংবাদমাধ্যমগুলোর যে রাজনীতিকরণ হয়েছে, এটাই মূলত সাংবাদিকদের অধিকারহীনতার উৎস।

“এই যে মানুষকে হত্যা করা, নির্বিচারে গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা এসব ঘটনা ঘটানোর জন্য সম্মতি উৎপাদনের জন্য গণমাধ্যমকে দরকার ছিল। এবং গণমাধ্যম তৈরি করা হয়েছিল এই উদ্দেশ্যে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুমোদন পাওয়া সংবাদমাধ্যমগুলোকে তদন্তের আওতায় আনার কথাও জানান তিনি।

“কিভাবে ওই গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা ওগুলোর খুব শিগগিরই তদন্ত করব। কখন, কিভাবে এদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এই অনুমোদনের ভিত্তিতে এরা কিভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করেছে,” বলেন মাহফুজ।

পেশাদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনি যদি একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতা, মানসম্পন্ন এবং পেশাদারিত্ব যদি তৈরি করতে চান, আপনাকে ব্যাড অ্যাপলগুলো বাদ দিতে হবে। এবং গুড অ্যাপলগুলো বাদ দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যাদের পত্রিকা বিক্রি হয়, তাদের জন্য সুযোগ বাড়াতে হবে। তাদের জন্য আমরা পত্রিকার সার্কুলেশনের ভিত্তিতে ডিএফপির যে সুবিধা আছে সেগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করব। বিজ্ঞাপনের হার বাড়াব। যাতে পজিটিভ মিডিয়া হবে। প্রফেশনাল মিডিয়া হবে।”

সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই না এই সরকারের পক্ষে আপনারা লেখেন। সরকারকে প্রশ্ন করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরও বেশি কাজ করে। কিন্তু পেশাদারিত্বে জায়গা থেকে প্রশ্ন করা এক জিনিস, কিন্তু সাংবাদিকতাটাকে একটা দলের আদর্শের প্রোপাগাণ্ডা হিসেবে ব্যবহার করা আলাদা জিনিস।

“অবশ্যই এখানে মব ভায়োলেন্স হয়েছে এবং আমরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কোনো সংবাদমাধ্যমে আজ পর্যন্ত কোনো আঘাত করতে দেওয়া হয় নাই এবং সামনেও করতে দেওয়া হবে না।”

হয়রানিমূলক মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, “২৬৬টা মামলার কথা বলা হল। কিন্তু আমি শুধু জানতে চাই গত ১৫ বছরে কয়েক হাজার মামলা হল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, কয়জন সম্পাদক লিখেছেন? কয়টা সম্পাদকীয় বের হয়েছে, কয়টা রিপোর্ট বের হয়েছে, আমরা দেখব। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে।”

তিনি জানান, হয়রানিমূলক মামলা হলে সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“বাংলাদেশে সরকারের যে অবস্থা, এখানে ভরকেন্দ্র একটা না, অনেকগুলো। অনেক রাজনৈতিক দল অনেক শক্তিশালী। এখন যে যেখানে পারছে, মামলা দিচ্ছে। আমরা বলছি, এভাবে যেনতেনভাবে মামলা যাতে না হয় এই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ৪৪ ধাপ পিছিয়েছে। ২০০৯ সালের পর ২০১৬ সাল ছাড়া কখনোই বাংলাদেশ গণমাধ্যমসূচকে উন্নতি করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গোটা সংবাদমাধ্যম জুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিক খুন হন। প্রতি মাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন সংবাদকর্মী হামলা, মামলা, হুমকি, হেনস্তার মুখে পড়েন।”

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।

ছবি

সিলেট-ময়মনসিংহে নদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা, বন্যা সতর্কতা জারি

ছবি

জুলাইয়ে আহত-কর্মচারীদের সংঘর্ষ: ৪ দিন ধরে বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞানে সেবা, দুর্ভোগে রোগীরা

ছবি

গুরুত্ব হারাল স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপ, সংকেত নামিয়েছে আবহাওয়া অফিস

ছবি

জাপান সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

জাপানের সাথে এ বছরই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা বাংলাদেশের

চেয়ারম্যানকে অপসারণ: সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ

দিনাজপুরে চাঁদাবাজির সময় এনসিপি নেতা আটক

দম্পতিকে হত্যার পর ‘ভিডিও কলে স্বজনদের লাশ দেখায়’ গাউস

রাজধানীতে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ইসলামী ধারার সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সুযোগ নেই: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

কমলগঞ্জ ও জুড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ২৯ জনকে পুশইন

ছবি

আনোয়ারায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তীরে এসে আটকে গেল কয়লাবাহী জাহাজ

ছবি

গভীর নিম্নচাপ: নোয়াখালীর অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন

ছবি

কক্সবাজার উপকূলের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী সেন্টমার্টিন

অন্তর্বর্তী সরকার জামায়াতের স্বার্থকে সংরক্ষণ করেছে, আজহারের মুক্তিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি প্রতিক্রিয়া

চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা

ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক আপাতত বহাল আপিল আদালতে

ছবি

ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের শঙ্কা

একটি দল ছাড়া কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না, তা সঠিক নয়: গণফোরাম

শুল্কহার ঢেলে সাজানো হচ্ছে আগামী বাজেটে

ছাত্র জোটের সমাবেশে হামলা ভিন্নমত দমনে ফ্যাসিবাদী আক্রমণ, বিবৃতি ৩২ নাগরিকের

দেশে একজনই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ‘চান না’: মির্জা আব্বাস

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় মাত্র একটি দল: মুহাম্মদ ইউনূস

নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বাদানুবাদ

ছবি

ভোজ্যতেলের দাম বাড়তি

ছবি

জাপান সফরে বাংলাদেশকে ঘিরে ছয়টি অর্থনৈতিক সহযোগিতা স্মারক সই

ছবি

নিম্নচাপের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, পাঁচ হাজারের বেশি মোবাইল টাওয়ার বন্ধ

ছবি

নিম্নচাপ: ঢাকায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

ছবি

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ পাঁচ বিভাগে দিনভর বৃষ্টির সম্ভাবনা

ছবি

সব দল নয়, একটি নির্দিষ্ট দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে: প্রধান উপদেষ্টা

আরও ৬৮টি সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন

ছবি

আমের বাম্পার ফলন রোয়াংছড়ির মিশ্র বাগানে

লৌহজংয়ের তালতলা-ডহরী খালে চাঁদাবাজি

মেজর সিনহা হত্যা: হাইকোর্টের রায় সোমবার

জুলাই আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলায় জবির সাবেক অধ্যাপক আনোয়ারা কারাগারে

‘বিশেষ কারণে’ হজযাত্রী পরিবহন একদিন সময় বাড়িয়েছে মন্ত্রণালয়

tab

জাতীয়

গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণই সাংবাদিকদের অধিকারহীনতার মূল উৎস: তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংবাদমাধ্যমে যে ধরনের ‘রাজনীতিকরণ হয়েছে’, সেটিকেই সাংবাদিকদের ‘অধিকারহীনতার উৎস’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তার ভাষায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত হত্যা, গুম, খুনের ঘটনাগুলোর জন্য ‘সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে’।

সোমবার রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে ডিএফপির সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পৈশাচিকতার সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র ছিল গণমাধ্যম। এবং গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণই মূলত সাংবাদিকদের শত্রু। সাংবাদিকদের এই কথাটা গুরুত্ব দিয়ে বোঝা উচিত–সংবাদমাধ্যমগুলোর যে রাজনীতিকরণ হয়েছে, এটাই মূলত সাংবাদিকদের অধিকারহীনতার উৎস।

“এই যে মানুষকে হত্যা করা, নির্বিচারে গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা এসব ঘটনা ঘটানোর জন্য সম্মতি উৎপাদনের জন্য গণমাধ্যমকে দরকার ছিল। এবং গণমাধ্যম তৈরি করা হয়েছিল এই উদ্দেশ্যে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুমোদন পাওয়া সংবাদমাধ্যমগুলোকে তদন্তের আওতায় আনার কথাও জানান তিনি।

“কিভাবে ওই গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল, আমরা ওগুলোর খুব শিগগিরই তদন্ত করব। কখন, কিভাবে এদের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং এই অনুমোদনের ভিত্তিতে এরা কিভাবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করেছে,” বলেন মাহফুজ।

পেশাদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনি যদি একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতা, মানসম্পন্ন এবং পেশাদারিত্ব যদি তৈরি করতে চান, আপনাকে ব্যাড অ্যাপলগুলো বাদ দিতে হবে। এবং গুড অ্যাপলগুলো বাদ দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যাদের পত্রিকা বিক্রি হয়, তাদের জন্য সুযোগ বাড়াতে হবে। তাদের জন্য আমরা পত্রিকার সার্কুলেশনের ভিত্তিতে ডিএফপির যে সুবিধা আছে সেগুলো বাড়ানোর চেষ্টা করব। বিজ্ঞাপনের হার বাড়াব। যাতে পজিটিভ মিডিয়া হবে। প্রফেশনাল মিডিয়া হবে।”

সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই না এই সরকারের পক্ষে আপনারা লেখেন। সরকারকে প্রশ্ন করেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার আরও বেশি কাজ করে। কিন্তু পেশাদারিত্বে জায়গা থেকে প্রশ্ন করা এক জিনিস, কিন্তু সাংবাদিকতাটাকে একটা দলের আদর্শের প্রোপাগাণ্ডা হিসেবে ব্যবহার করা আলাদা জিনিস।

“অবশ্যই এখানে মব ভায়োলেন্স হয়েছে এবং আমরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কোনো সংবাদমাধ্যমে আজ পর্যন্ত কোনো আঘাত করতে দেওয়া হয় নাই এবং সামনেও করতে দেওয়া হবে না।”

হয়রানিমূলক মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, “২৬৬টা মামলার কথা বলা হল। কিন্তু আমি শুধু জানতে চাই গত ১৫ বছরে কয়েক হাজার মামলা হল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে, কয়জন সম্পাদক লিখেছেন? কয়টা সম্পাদকীয় বের হয়েছে, কয়টা রিপোর্ট বের হয়েছে, আমরা দেখব। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে।”

তিনি জানান, হয়রানিমূলক মামলা হলে সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“বাংলাদেশে সরকারের যে অবস্থা, এখানে ভরকেন্দ্র একটা না, অনেকগুলো। অনেক রাজনৈতিক দল অনেক শক্তিশালী। এখন যে যেখানে পারছে, মামলা দিচ্ছে। আমরা বলছি, এভাবে যেনতেনভাবে মামলা যাতে না হয় এই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ ৪৪ ধাপ পিছিয়েছে। ২০০৯ সালের পর ২০১৬ সাল ছাড়া কখনোই বাংলাদেশ গণমাধ্যমসূচকে উন্নতি করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গোটা সংবাদমাধ্যম জুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিক খুন হন। প্রতি মাসে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন সংবাদকর্মী হামলা, মামলা, হুমকি, হেনস্তার মুখে পড়েন।”

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এই সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, দৈনিক সংগ্রামের সাবেক সম্পাদক আবুল আসাদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।

back to top