ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তার স্ত্রী, ছেলে, ভাই ও ভাতিজার মালিকানায় থাকা ৯৪টি কোম্পানির শেয়ার এবং ১০৭টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার, (৭ মে ২০২৫) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ২৮টি সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানির মালিকানাধীন এবং ৭৯টি সালমান এফ রহমানের ব্যক্তি মালিকানাধীন। তবে এসব কোম্পানিতে তাদের শেয়ার সংখ্যা, বিও হিসাবে তাদের শেয়ার এবং এর মোট পরিমাণের তথ্য আবেদনে
উল্লেখ করা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে ‘প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার’ মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ‘হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সালমানের স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং সোহেলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমান এই অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
দুদকের ভাষ্যানুযায়ী, তারা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে ‘আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার’ করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও বিও হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ২৩ জানুয়ারি সিআইডির আবেদনে সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত।
দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তারা এসব শেয়ার ও বিও হিসাব হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তরের চেষ্টা করছেন, যা সফল হলে মামলা দায়ের, বিচার ও অপরাধলব্ধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে।
এ জন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তার স্ত্রী, ছেলে, ভাই ও ভাতিজার মালিকানায় থাকা ৯৪টি কোম্পানির শেয়ার এবং ১০৭টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার, (৭ মে ২০২৫) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন এসব শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।
বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ২৮টি সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানির মালিকানাধীন এবং ৭৯টি সালমান এফ রহমানের ব্যক্তি মালিকানাধীন। তবে এসব কোম্পানিতে তাদের শেয়ার সংখ্যা, বিও হিসাবে তাদের শেয়ার এবং এর মোট পরিমাণের তথ্য আবেদনে
উল্লেখ করা হয়নি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে ‘প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার’ মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের ‘হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের’ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সালমানের স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ভাই বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং সোহেলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমান এই অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
দুদকের ভাষ্যানুযায়ী, তারা অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে ‘আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার’ করেছেন।
আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও বিও হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে ২৩ জানুয়ারি সিআইডির আবেদনে সালমান এফ রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেয় আদালত।
দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তারা এসব শেয়ার ও বিও হিসাব হস্তান্তর, স্থানান্তর বা রূপান্তরের চেষ্টা করছেন, যা সফল হলে মামলা দায়ের, বিচার ও অপরাধলব্ধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে।
এ জন্য সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেয়ার ও বিও হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।