জলাভূমিতে শতাধিক প্রজাতির পাখি আছে
রাজশাহীতে দেশের প্রথম প্রাণীদের অভয়ারণ্য ঘোষণা -সংবাদ
দেশে প্রথমবারের মতো রাজশাহী জেলার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়য়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার, (৭ মে ২০২৫) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে জারি করা পৃথক দুইটি প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
অভয়ারণ্য ২টি হলো রাজশাহীর তানোয়ার উপজেলার বিলজোয়ানা মৌজার ১ দশমিক ৬৫ একর জলাভূমি এবং গোদাগাড়ি উপজেলার ভিলভালা মৌজার ১৫ দশমিক ৮ একর জলাভূমি।
এই দুইটি জলাভূমিতে শীতকালে দেশি ও পরিযায়ী পাখির অন্যতম আশ্রয়স্থল। এই সব বিলে কালেম, কোড়া, ডাহুক, গুড়গুড়ি, জলপিপি, জলময়ূরসহ দেশি জলচর পাখির পাশাপাশি বালি হাঁস, পাতি সরালি, কড় সরালি, পিয়ং হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভূতিহাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস দেখা যায়।
শতাধিক পাখি ছাড়াও উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস রয়েছে এই সব জলাভূমিতে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানবসৃষ্ট চাপে এই জলাভূমির জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।
অভয়ারণ্য ঘোষণার ফলে এখন থেকে এই এলাকাগুলোতে পাখি ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হবে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী এই ঘোষণা কার্যকর হবে।
বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণী গবেষক আশিকুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলের পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রকৃতিকভাবে সৃষ্টি এই সব জলাভূমিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীও বসবাস করছে। যা এতদিন জানার বাহিরে ছিল।
বন্যপ্রাণী বনে থাকে। কিন্তু জলাভূমিতে এত বন্যপ্রাণী থাকে তা ধারণার বাহিরে ছিল। বন্যপ্রাণী গবেষক আশিকুর রহমান এ নিয়ে রাজশাহী অঞ্চলে কাজ শুরু করেন। তখন স্থানীয় জনগণ তাকে বন্যপ্রাণীর জলশয় বিলের সন্ধান দেয়। সেখানে বিরল ও ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী বসবাস করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এই গবেষক সেখানে বিল দেখতে যান। স্থানীয় ভূমিদস্যুদের কবল থেকে বিল ও জলাভূমি রক্ষায় তার সহযোগিতাও চান। সেখানে গিয়ে এই গবেষক দেখেন কমপক্ষে ১০ প্রজাতির হাঁস রয়েছে। অসংখ্য জলজ পাখিও আছে। তবে নানা প্রতিকূল অবস্থার কারণে
বন্যপ্রাণীগুলোর সংকটাপন্ন অবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের আলামত ও তথ্য, ছবি সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। এরপর গত ডিসেম্বর থেকে মন্ত্রণালয় জলাশয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। ওই সময় মন্ত্রণালয় বন বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপরই স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন। সার্ভে করার পর বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জলাভূমিতে শতাধিক প্রজাতির পাখি আছে
রাজশাহীতে দেশের প্রথম প্রাণীদের অভয়ারণ্য ঘোষণা -সংবাদ
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
দেশে প্রথমবারের মতো রাজশাহী জেলার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমিকে ‘জলাভূমি নির্ভর প্রাণী অভয়য়ারণ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। বুধবার, (৭ মে ২০২৫) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন শাখা-২ থেকে জারি করা পৃথক দুইটি প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
অভয়ারণ্য ২টি হলো রাজশাহীর তানোয়ার উপজেলার বিলজোয়ানা মৌজার ১ দশমিক ৬৫ একর জলাভূমি এবং গোদাগাড়ি উপজেলার ভিলভালা মৌজার ১৫ দশমিক ৮ একর জলাভূমি।
এই দুইটি জলাভূমিতে শীতকালে দেশি ও পরিযায়ী পাখির অন্যতম আশ্রয়স্থল। এই সব বিলে কালেম, কোড়া, ডাহুক, গুড়গুড়ি, জলপিপি, জলময়ূরসহ দেশি জলচর পাখির পাশাপাশি বালি হাঁস, পাতি সরালি, কড় সরালি, পিয়ং হাঁস, খুন্তে হাঁস, ভূতিহাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী হাঁস দেখা যায়।
শতাধিক পাখি ছাড়াও উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বসবাস রয়েছে এই সব জলাভূমিতে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানবসৃষ্ট চাপে এই জলাভূমির জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।
অভয়ারণ্য ঘোষণার ফলে এখন থেকে এই এলাকাগুলোতে পাখি ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ আবাস নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্য শিক্ষাক্ষেত্রে পরিণত হবে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী এই ঘোষণা কার্যকর হবে।
বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণী গবেষক আশিকুর রহমান জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলের পদ্মা ও মহানন্দা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রকৃতিকভাবে সৃষ্টি এই সব জলাভূমিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পাখিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীও বসবাস করছে। যা এতদিন জানার বাহিরে ছিল।
বন্যপ্রাণী বনে থাকে। কিন্তু জলাভূমিতে এত বন্যপ্রাণী থাকে তা ধারণার বাহিরে ছিল। বন্যপ্রাণী গবেষক আশিকুর রহমান এ নিয়ে রাজশাহী অঞ্চলে কাজ শুরু করেন। তখন স্থানীয় জনগণ তাকে বন্যপ্রাণীর জলশয় বিলের সন্ধান দেয়। সেখানে বিরল ও ও বিপন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী বসবাস করছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এই গবেষক সেখানে বিল দেখতে যান। স্থানীয় ভূমিদস্যুদের কবল থেকে বিল ও জলাভূমি রক্ষায় তার সহযোগিতাও চান। সেখানে গিয়ে এই গবেষক দেখেন কমপক্ষে ১০ প্রজাতির হাঁস রয়েছে। অসংখ্য জলজ পাখিও আছে। তবে নানা প্রতিকূল অবস্থার কারণে
বন্যপ্রাণীগুলোর সংকটাপন্ন অবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের আলামত ও তথ্য, ছবি সংগ্রহ করে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন। এরপর গত ডিসেম্বর থেকে মন্ত্রণালয় জলাশয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করেন। ওই সময় মন্ত্রণালয় বন বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এরপরই স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেন। সার্ভে করার পর বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।