জাহাজবাড়িতে ‘জঙ্গিবিরোধী’ অভিযান
‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজন দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার, (৭ মে ২০২৫) বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দিয়ে সময় আবেদন করে।
সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ জুলাই এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দিন ঠিক করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
শহীদুল হক ছাড়া বাকি দুইজন হলেন- ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা।
চলতি মাসের ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে পুলিশের সাবেক এই তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ৯ এপ্রিল পুলিশের এই তিন কর্মকর্তাকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। সেই অনুযায়ী ২০, ২১ ও ২২ এপ্রিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংস্থা।
আদালতে প্রসিকিউশনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্তে এমন কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে যার জন্য তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। আশা রাখেন খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে।’
গত ২৪ মার্চ এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পুলিশের সাবেক এই তিন কর্মকর্তার নির্দেশ ও পরিকল্পনায় জাহাজবাড়ি হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে বলে ওইদিন ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছিলেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম তাজুল ইসলাম।
তাজুল বলেছিলেন, ‘জঙ্গি তকমা দিয়ে জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে এনে এখানে রেখে হত্যা করা হয়। ইসলামি ভাবধারা সম্পন্ন মানুষের ভেতর ভয়ের সংস্কৃতি চালু করতেই এভাবে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে এভাবে হত্যা করা হতো, যাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা যায়।’
গুলশান হামলার ২৫ দিন পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়িটির নাম তাজ মঞ্জিল হলেও ভবনের আকৃতির কারণে স্থানীয়রা একে জাহাজবাড়ি বলেন, আর সেই নামটি গণমাধ্যমেও উঠে আসে।
অভিযান শেষে সন্দেহভাজন ৯ ‘জঙ্গির’ নিহত হওয়ার খবর আসে। হাসান নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন। পালিয়ে যান একজন। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলেই দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওই ঘটনার ভিন্ন ভাষ্য আসতে থাকে।
এর মধ্যে গত ৬ মার্চ ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে ৯ তরুণ হত্যা মামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়।
জাহাজবাড়িতে ‘জঙ্গিবিরোধী’ অভিযান
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরে জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণ হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজন দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার, (৭ মে ২০২৫) বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দিয়ে সময় আবেদন করে।
সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ জুলাই এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দিন ঠিক করে দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
শহীদুল হক ছাড়া বাকি দুইজন হলেন- ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও মিরপুর জোনের সাবেক ডিসি জসিমউদ্দিন মোল্লা।
চলতি মাসের ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে পুলিশের সাবেক এই তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ৯ এপ্রিল পুলিশের এই তিন কর্মকর্তাকে প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। সেই অনুযায়ী ২০, ২১ ও ২২ এপ্রিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংস্থা।
আদালতে প্রসিকিউশনের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্তে এমন কিছু তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে যার জন্য তাদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করা হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, ‘তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। আশা রাখেন খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব হবে।’
গত ২৪ মার্চ এই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পুলিশের সাবেক এই তিন কর্মকর্তার নির্দেশ ও পরিকল্পনায় জাহাজবাড়ি হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে বলে ওইদিন ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছিলেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম তাজুল ইসলাম।
তাজুল বলেছিলেন, ‘জঙ্গি তকমা দিয়ে জাহাজবাড়িতে ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে এনে এখানে রেখে হত্যা করা হয়। ইসলামি ভাবধারা সম্পন্ন মানুষের ভেতর ভয়ের সংস্কৃতি চালু করতেই এভাবে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে সাধারণ মানুষকে এভাবে হত্যা করা হতো, যাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা যায়।’
গুলশান হামলার ২৫ দিন পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাড়িটির নাম তাজ মঞ্জিল হলেও ভবনের আকৃতির কারণে স্থানীয়রা একে জাহাজবাড়ি বলেন, আর সেই নামটি গণমাধ্যমেও উঠে আসে।
অভিযান শেষে সন্দেহভাজন ৯ ‘জঙ্গির’ নিহত হওয়ার খবর আসে। হাসান নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক হন। পালিয়ে যান একজন। তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য বলেই দাবি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পরদিন ২৭ জুলাই রাতে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক মো. শাহজাহান আলম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (২), ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ ধারায় একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওই ঘটনার ভিন্ন ভাষ্য আসতে থাকে।
এর মধ্যে গত ৬ মার্চ ‘জঙ্গি নাটক’ সাজিয়ে ৯ তরুণ হত্যা মামলার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়।