সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যদি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে তিনি দিনাজপুরের বিরলে ব্রি-ধান-৮৮ কর্তনের উদ্বোধন করেন এবং সেখানে সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত এলাকাগুলো সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। ধান কাটায় কৃষকদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কৃষি জমি সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বুধবার শেষ রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়েছেন। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তিনি যেতে পেরেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুইজন আত্মীয়।
তবে সম্প্রতি জুলাইয়ের অভ্যুত্থানচেষ্টায় হতাহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আবদুল হামিদসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার নাম রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ অপ্রত্যাশিত। এতে যারা দায়ী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
সেই সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছিলেন। তারা এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। উপদেষ্টা যখন কার্যালয় ত্যাগ করছিলেন, তখন বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হন এবং তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, “যারা দায়ী, তাদের বিচার হবে।”
এক বিক্ষোভকারী তখন প্রশ্ন করেন, “দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে কী করবেন?” জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “তা নাহলে আমিই চলে যাব।” এরপর বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়ে যান।
আওয়ামী লীগের আমলে দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি প্রথমবার এবং ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হয় এবং মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে বসবাস করছিলেন।
এদিকে, ধান কাটা উদ্বোধন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং উৎপাদন খরচ কমাতে পানির বিল হ্রাসের নির্দেশ দেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালককে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব এমদাদুল্লাহ মিয়ান এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন।
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা আছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, যদি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, তাহলে নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে তিনি দিনাজপুরের বিরলে ব্রি-ধান-৮৮ কর্তনের উদ্বোধন করেন এবং সেখানে সাংবাদিকদের জানান, সীমান্ত এলাকাগুলো সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। ধান কাটায় কৃষকদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কৃষি জমি সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সকালে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বুধবার শেষ রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়েছেন। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তিনি যেতে পেরেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন দুইজন আত্মীয়।
তবে সম্প্রতি জুলাইয়ের অভ্যুত্থানচেষ্টায় হতাহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আবদুল হামিদসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার নাম রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ অপ্রত্যাশিত। এতে যারা দায়ী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
সেই সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করছিলেন। তারা এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিলেন। উপদেষ্টা যখন কার্যালয় ত্যাগ করছিলেন, তখন বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হন এবং তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, “যারা দায়ী, তাদের বিচার হবে।”
এক বিক্ষোভকারী তখন প্রশ্ন করেন, “দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে কী করবেন?” জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “তা নাহলে আমিই চলে যাব।” এরপর বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়ে যান।
আওয়ামী লীগের আমলে দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন আবদুল হামিদ। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি প্রথমবার এবং ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেন। ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তার মেয়াদ শেষ হয় এবং মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। এরপর থেকে আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে বসবাস করছিলেন।
এদিকে, ধান কাটা উদ্বোধন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা কৃষকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং উৎপাদন খরচ কমাতে পানির বিল হ্রাসের নির্দেশ দেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালককে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব এমদাদুল্লাহ মিয়ান এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন।