দুই যুগ আগে ২০০১ সালে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় জীবিত ১১ আসামির মধ্যে দশজনেরই সাজা কমেছে। মৃত্যুদণ্ডের এক আসামিকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। যাবজ্জীবনের এক আসামির সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া নয়জনের সাজা কমিয়ে দেয়া হয়েছে দশ বছর করে কারাদণ্ড।
১১ আসামির
মধ্যে দশজনেরই
সাজা কমেছে
যাবজ্জীবনের
এক আসামির
সাজা বহাল
যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুইজনের মধ্যে
একজন পলাতক
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মাওলানা মো. তাজউদ্দিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। আর বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত শাহাদাতউল্লাহ জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান এবং বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত সাব্বির, শেখ ফরিদ ও আবু তাহেরের সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মুফতি হান্নান (সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) এবং বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আবদুর রউফ ও ইয়াহিয়া মারা যাওয়ায় তাদের বিচারিক কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এই মামলায় হাইকোর্টে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এই ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
বিচারিক আদালতের রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তারা হলেন: মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। আর বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়: শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহেরকে।
পরবর্তী সময়ে মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি শেষে আজ উচ্চ আদালত রায় ঘোষণা করল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী বলেন, ‘এটি একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। নববর্ষ একটি সার্বজনীন উৎসব। কিন্তু যারা সভ্যতাকে অস্বীকার সাংস্কৃতিক অধিকারকে স্বীকার করে সেই হুজি-বি ২০০১ সালে ১৪ এপ্রিল রাজধানীর রমনা বটমূলে ন্যক্কারজনভাবে বোমা হামলা করে। ১০ জনের হত্যা এবং শত শত মানুষকে আহত করে। সেই ঘটনার রায়ে ১৪ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড ছিল। আর ছয়জনের যাবজ্জীবন ছিল। হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ দুইজনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছেন। ’
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুইজনের মধ্যে একজন পলাতক। এই মামলায় আমরা বলেছিলাম এই মামলায় এভিডেন্স বলতে কিছু নেই। হাইকোর্টের তিনটি বেঞ্চে ঘুরে চতুর্থ বেঞ্চে ৪৬৭ বার সময় নেওয়ার পর আজকে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
দুই যুগ আগে ২০০১ সালে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় জীবিত ১১ আসামির মধ্যে দশজনেরই সাজা কমেছে। মৃত্যুদণ্ডের এক আসামিকে হাইকোর্ট যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। যাবজ্জীবনের এক আসামির সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া নয়জনের সাজা কমিয়ে দেয়া হয়েছে দশ বছর করে কারাদণ্ড।
১১ আসামির
মধ্যে দশজনেরই
সাজা কমেছে
যাবজ্জীবনের
এক আসামির
সাজা বহাল
যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুইজনের মধ্যে
একজন পলাতক
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মাওলানা মো. তাজউদ্দিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। আর বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত শাহাদাতউল্লাহ জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই, শফিকুর রহমান এবং বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত সাব্বির, শেখ ফরিদ ও আবু তাহেরের সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত মুফতি হান্নান (সিলেটে গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) এবং বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আবদুর রউফ ও ইয়াহিয়া মারা যাওয়ায় তাদের বিচারিক কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এই মামলায় হাইকোর্টে আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ এবং আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন। এই ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।
২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
বিচারিক আদালতের রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। সে রায়ে যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তারা হলেন: মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন, আরিফ হাসান, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। আর বিচারিক আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়: শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আবদুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহেরকে।
পরবর্তী সময়ে মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। শুনানি শেষে আজ উচ্চ আদালত রায় ঘোষণা করল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী বলেন, ‘এটি একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। নববর্ষ একটি সার্বজনীন উৎসব। কিন্তু যারা সভ্যতাকে অস্বীকার সাংস্কৃতিক অধিকারকে স্বীকার করে সেই হুজি-বি ২০০১ সালে ১৪ এপ্রিল রাজধানীর রমনা বটমূলে ন্যক্কারজনভাবে বোমা হামলা করে। ১০ জনের হত্যা এবং শত শত মানুষকে আহত করে। সেই ঘটনার রায়ে ১৪ জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড ছিল। আর ছয়জনের যাবজ্জীবন ছিল। হাইকোর্টে শুনানি শেষে আজ দুইজনের যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছেন। ’
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুইজনের মধ্যে একজন পলাতক। এই মামলায় আমরা বলেছিলাম এই মামলায় এভিডেন্স বলতে কিছু নেই। হাইকোর্টের তিনটি বেঞ্চে ঘুরে চতুর্থ বেঞ্চে ৪৬৭ বার সময় নেওয়ার পর আজকে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।’