একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ তাদের নিজেদের ‘স্বার্থে প্রভাব সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ‘নতুন বাংলাদেশ’ সৃষ্টির জন্য ‘জনগণের আকাক্সক্ষা’ পূরণ করতে এবং ‘গণতান্ত্রিক ধারা’ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনই শেষ কথা বলে মনে করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এখন যারা সংস্কারের তালিম দিচ্ছে, গত ১৭ বছর তাদের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। শেখ হাসিনা পালানোর পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, সেই সংস্কারের কথা মাথায় রেখেই বিএনপি ৩১ দফা দাবি দিয়েছিল।’
মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন আমীর খসরু। ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক কাজগুলো করে গেছেন উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তিনি (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) কোনো প্রচার প্রচারণায় ছিলেন না। প্রচারণা থাকলে তিনি বিশ্বব্যাপী একজন ভালো মানুষ হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পেছনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ৪২ দলকে ঐক্যবদ্ধ করে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এটাই হাসিনার পতনের মূল কারণ ছিল। অথচ তাকে কেউ স্মরণ করছে না।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন খসরু। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা ফেরাতে গেলে যে কাজগুলো শুরু হওয়া প্রয়োজন, সেগুলোর কিছুই হচ্ছে না।’ ভিন্নরূপে নানা ভঙ্গিতে পুরোনো কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সবাই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, সরকার সেটা জানাচ্ছে না। তারা কেন জানাচ্ছে না? কেউ যদি মনে করে হাসিনার মালিকানা অন্য কারও হাতে গেছে, দেশে কী হবে, সেটার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে এই দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেয়ার একমাত্র মালিক দেশের জনগণ।’
দেশকে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের
অংশ করা হচ্ছে’ অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি অনির্বাচিত সরকার মানবিক করিডোর দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নেই, মানুষের মতামত নেই। এর পেছনে কারা জড়িত, সেটা জনগণ জানতে চায়।’
স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভব নয় উল্লেখ করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যত দিন নির্বাচিত সরকার না আসবে তত দিনে বাংলাদেশে কোনো বিনিয়োগ আসবে না। বিনিয়োগ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের শেষ প্রশ্ন ছিল, দেশের নির্বাচন কবে হবে? কারও চেহারা দেখে দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী দেশে বিনিয়োগ করবেন না।’
পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এগুলো ঠিক হলেই প্রকৃত সংস্কার অর্জিত হবে। দক্ষ প্রশাসক হলে তিন মাসের মধ্যেই এই সংস্কার সম্ভব।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের কথা এই সরকার জানত না, এটা বিশ্বাস করা যায় না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী ও নারী নেত্রী শিরীন হক ছাড়াও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ তাদের নিজেদের ‘স্বার্থে প্রভাব সৃষ্টির’ চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ‘নতুন বাংলাদেশ’ সৃষ্টির জন্য ‘জনগণের আকাক্সক্ষা’ পূরণ করতে এবং ‘গণতান্ত্রিক ধারা’ ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনই শেষ কথা বলে মনে করেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এখন যারা সংস্কারের তালিম দিচ্ছে, গত ১৭ বছর তাদের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। শেখ হাসিনা পালানোর পরবর্তী বাংলাদেশ কেমন হবে, সেই সংস্কারের কথা মাথায় রেখেই বিএনপি ৩১ দফা দাবি দিয়েছিল।’
মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন আমীর খসরু। ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক কাজগুলো করে গেছেন উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তিনি (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) কোনো প্রচার প্রচারণায় ছিলেন না। প্রচারণা থাকলে তিনি বিশ্বব্যাপী একজন ভালো মানুষ হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
আমীর খসরু বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পেছনে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ৪২ দলকে ঐক্যবদ্ধ করে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এটাই হাসিনার পতনের মূল কারণ ছিল। অথচ তাকে কেউ স্মরণ করছে না।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়া কোনো সংস্কার সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন খসরু। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা ফেরাতে গেলে যে কাজগুলো শুরু হওয়া প্রয়োজন, সেগুলোর কিছুই হচ্ছে না।’ ভিন্নরূপে নানা ভঙ্গিতে পুরোনো কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সবাই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, সরকার সেটা জানাচ্ছে না। তারা কেন জানাচ্ছে না? কেউ যদি মনে করে হাসিনার মালিকানা অন্য কারও হাতে গেছে, দেশে কী হবে, সেটার বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবে এই দায়িত্ব কাউকে দেয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেয়ার একমাত্র মালিক দেশের জনগণ।’
দেশকে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের
অংশ করা হচ্ছে’ অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি অনির্বাচিত সরকার মানবিক করিডোর দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের মতামত নেই, মানুষের মতামত নেই। এর পেছনে কারা জড়িত, সেটা জনগণ জানতে চায়।’
স্থিতিশীলতা ছাড়া বিনিয়োগ সম্ভব নয় উল্লেখ করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যত দিন নির্বাচিত সরকার না আসবে তত দিনে বাংলাদেশে কোনো বিনিয়োগ আসবে না। বিনিয়োগ সম্মেলনে বিনিয়োগকারীদের শেষ প্রশ্ন ছিল, দেশের নির্বাচন কবে হবে? কারও চেহারা দেখে দেশি-বিদেশি কোনো বিনিয়োগকারী দেশে বিনিয়োগ করবেন না।’
পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত সংস্কারের আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এগুলো ঠিক হলেই প্রকৃত সংস্কার অর্জিত হবে। দক্ষ প্রশাসক হলে তিন মাসের মধ্যেই এই সংস্কার সম্ভব।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের কথা এই সরকার জানত না, এটা বিশ্বাস করা যায় না।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী ও নারী নেত্রী শিরীন হক ছাড়াও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষে বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যান্সার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও ভাসানী জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।