জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মিরপুরে হকার সাগর হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) তাকে আদালতে নেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পুলিশ ও আদালত বার্তা পরিবেশক জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার গভীররাতে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। ডিবির মিডিয়া শাখার ডিসি তালেবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে নেয়া হয়। আদালতে ওঠানোর পর ছবি তোলা নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয় হকার মো. সাগর। ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় সাগর বুকে গুলি বিদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় তার মা বিউটি আক্তার ওই দিন মিরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাগরের লাশ খুঁজে
পেয়েছে। ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২৫০ থেকে ৪শ’ জন। এই মামলায় ৪৯ নম্বর আসামি মমতাজ বেগম। তার বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জেও একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিল্পী মমতাজ বেগম আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের সদস্য হন। পরে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একাধিক মামলায় আসামির তালিকায় তার নাম রয়েছে। সম্প্রতি মমতাজ বেগমের ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মমতাজ বেগমকে আদালতে ওঠালে সেখানে হট্টগোল হয়েছে। সেই সময় পুরো এজলাস কক্ষ পরিপূর্ণ ছিল। তখন সেখানে হট্টগোল হয়েছে। তবে আইনজীবীরা সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন।
শুনানির সময় মমতাজের হেলমেট খোলা হয়। তখন আইনজীবীরা তার মুখ থেকে মাস্ক খোলার দাবি তোলেন। দাবি মেনে মাস্ক খোলেন মমতাজ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ডের শুনানি করেন। মমতাজ জনগণের ভালোবাসাকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। মমতাজ তার গানের ভালোবাসা দিয়ে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করতে গিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শেষে আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনতে চান আদালত। আসামিপক্ষের তিনি কোনো বক্তব্য দেয়নি। এরপর আদালত মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত থেকে মমতাজকে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে নামানোর দাবিতে এজলাসের সামনে ভিড় করেন বিএনপি সমর্থক কিছু আইনজীবী। ওই সময় পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম আদালতকে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আসামিকে কাঠগড়ায় কিছুক্ষণ রাখা হোক। এরপর আদালত বলেন, আপনি পারলে লিফটে নামিয়ে নিয়ে যান। এরপরও আদালতে কয়েকজন আইনজীবী চিৎকার করে বলতে থাকেন মমতাজ বিচারককে গান শোনাবেন।
তখন আদালত আইনজীবীদের এজলাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এরপর আইনজীবীরা এজলাস ত্যাগ করে গেইটের সামনে অবস্থান করেন। এর বেশ কিছুক্ষণ পর কড়া নিরাপত্তায় তাকে লিফটে তুলে নিচে নামানো হয়।
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মিরপুরে হকার সাগর হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার, (১৩ মে ২০২৫) তাকে আদালতে নেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
পুলিশ ও আদালত বার্তা পরিবেশক জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার গভীররাতে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি। ডিবির মিডিয়া শাখার ডিসি তালেবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় তাকে আদালতে নেয়া হয়। আদালতে ওঠানোর পর ছবি তোলা নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয় হকার মো. সাগর। ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। ওই সময় সাগর বুকে গুলি বিদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় তার মা বিউটি আক্তার ওই দিন মিরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে সাগরের লাশ খুঁজে
পেয়েছে। ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।
এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২৫০ থেকে ৪শ’ জন। এই মামলায় ৪৯ নম্বর আসামি মমতাজ বেগম। তার বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জেও একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শিল্পী মমতাজ বেগম আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের সদস্য হন। পরে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একাধিক মামলায় আসামির তালিকায় তার নাম রয়েছে। সম্প্রতি মমতাজ বেগমের ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মমতাজ বেগমকে আদালতে ওঠালে সেখানে হট্টগোল হয়েছে। সেই সময় পুরো এজলাস কক্ষ পরিপূর্ণ ছিল। তখন সেখানে হট্টগোল হয়েছে। তবে আইনজীবীরা সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন।
শুনানির সময় মমতাজের হেলমেট খোলা হয়। তখন আইনজীবীরা তার মুখ থেকে মাস্ক খোলার দাবি তোলেন। দাবি মেনে মাস্ক খোলেন মমতাজ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ডের শুনানি করেন। মমতাজ জনগণের ভালোবাসাকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। মমতাজ তার গানের ভালোবাসা দিয়ে ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করতে গিয়ে সরাসরি রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শেষে আসামিপক্ষের বক্তব্য শুনতে চান আদালত। আসামিপক্ষের তিনি কোনো বক্তব্য দেয়নি। এরপর আদালত মমতাজ বেগমের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত থেকে মমতাজকে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে নামানোর দাবিতে এজলাসের সামনে ভিড় করেন বিএনপি সমর্থক কিছু আইনজীবী। ওই সময় পুলিশের প্রসিকিউশন শাখার ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম আদালতকে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আসামিকে কাঠগড়ায় কিছুক্ষণ রাখা হোক। এরপর আদালত বলেন, আপনি পারলে লিফটে নামিয়ে নিয়ে যান। এরপরও আদালতে কয়েকজন আইনজীবী চিৎকার করে বলতে থাকেন মমতাজ বিচারককে গান শোনাবেন।
তখন আদালত আইনজীবীদের এজলাস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। এরপর আইনজীবীরা এজলাস ত্যাগ করে গেইটের সামনে অবস্থান করেন। এর বেশ কিছুক্ষণ পর কড়া নিরাপত্তায় তাকে লিফটে তুলে নিচে নামানো হয়।