বাসাবাড়িতে রান্নায় মিটারবিহীন গ্রাহকরা মাসে কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন তা যাচাই করার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই এ বিষয়ে বুয়েটকে চিঠি দেয়া হবে। আবাসিকে মিটারবিহীন গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে কম বিল দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ রাষ্ট্রীয় গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর। তবে এসব গ্রাহক কম গ্যাস ব্যবহার করে বেশি বিল দিচ্ছেন এমন তথ্যও রয়েছে।
মিটারবিহীন গ্রাহকদের মাসিক ব্যবহার ও বিল নির্ধারিত
মিটারবিহীন গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে কম বিল দিচ্ছে- দাবি তিতাসসহ কয়েকটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির
এসব গ্রাহক কম গ্যাস ব্যবহার করে বেশি বিল দিচ্ছেন, এমন তথ্যও রয়েছে
রাষ্ট্রীয় ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অধীনে আবাসিকে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে রান্না করেন এমন গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটার আছে এমন গ্রাহক ৬ লাখের মতো; তারা রান্নায় যতটুক গ্যাস ব্যবহার করেন (প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা) ততটুকুর বিল দেন।
বাকী ৩৫ লাখের ৪২ হাজার গ্রাহকের কোনো মিটার নেই। তাদের চুলায় পাইপলাইন থেকে সরাসরি গ্যাস যায়। গ্যাস যে পরিমানই ব্যবহার হোক না কেন বিল নির্দিষ্ট। এক চুলায় (সিঙ্গেল বর্নার) মাসে ব্যবহার ধরা হয় ৫৫ ইউনিট (ঘনমিটার); বিল ৯৯০ টাকা (প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা)। দুই চুলায় (ডাবল বার্নার) মাসে ব্যবহার ধরা হয় ৬০ ইউনিট; বিল ১০৮০ টাকা।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের দাবি, আবাসিকে মিটারবিহীন এসব গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে বিল কম দিচ্ছেন। এতে তাদের সিস্টেম লস বাড়ছে।
ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় তিতাসের মোট আবাসিক গ্রাহক ২৮ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজারের মতো গ্রাহক প্রিপেইড মিটার পেয়েছেন।
মিটারবিহীন গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির (তিতাস গ্যাস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ পারভেজ সংবাদকে বলেন, ‘মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহক অনেক বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন। এক চুলা ৫৫ ঘনমিটারের বিল এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটারের বিল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে মিটার ছাড়া আবাসিক গ্রাহকদের ১০০ ঘনমিটার পর্যন্ত গ্যাস ব্যবহারের রেকর্ড রয়েছে। বেশি ব্যবহার করলেও মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের বিল নির্ধারিত। অপচয় রোধে দাম বাড়ানো উচিত।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি গ্যাস বিতরন কোম্পানির মধ্যে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৯৮ হাজারের মতো। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের গ্রাহক ২ লাখ ২০ হাজার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক ১ লাখ ২৮ হাজারের কিছু বেশি এবং সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৬টি।
এসব কোম্পানির সিংহভাগ গ্রাহকই মিটারবিহীন গ্যাস ব্যবহার করছেন।
বিইআরসি সর্বশেষ গ্যাসের দাম
বৃদ্ধির আদেশ দেয় ২০২২ সালের ৫ জুন। ওই আদেশের পূর্বে গণশুনানি করা হয়। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গড়ে এক চুলা ৪০ এবং দুই চুলা সর্বোচ্চ ৫০ ঘনমিটার ব্যবহার করছে। প্রিপেইড গ্রাহকের ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তখন মিটারবিহীন গ্রাহকের এক চুলায় ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলায় ৭৭.৪১ ঘনমিটার ব্যবহার থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়।
তবে তিতাস গ্যাস কোম্পানির দাবি হচ্ছে, মিটারবিহীন গ্রাহকের ক্ষেত্রে তারা কোথাও কোথাও ৯০ থেকে ১০০ ঘনমিটার ব্যবহারের তথ্য পেয়েছেন। সে কারণে এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ঘনমিটার এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবেদন তারা দিয়েছেন বিইআরসির কাছে।
তিতাস গ্যাসের পাশাপাশি সম্প্রতি শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে চট্টগ্রাম সিটিতে গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর এলাকায় গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে থাকা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ঘুরিয়ে আবাসিকের বিল বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
তারা বলেছে, সব মিটারবিহীন গ্রাহকের আঙ্গিনায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পূর্ব পর্যন্ত গ্যাস বিপণন নিয়মাবলী-২০১৪ অনুযায়ী একক ও দুই চুলার গ্যাস ভোগ নির্ধারণ করা হলে তা প্রকৃত গ্যাস ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
গ্যাস বিপণন নিয়মাবলীতে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার বিলের কথা বলা হয়েছে।
এই প্রস্তাব কার্যকর হলে মিটারবিহীন গ্রাহকদের এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩২১ টাকা এবং দুই চুলা ১৩৯৩ টাকা হবে।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাস গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিতাস গ্যাসের জন্য ১১ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও তিতাস গ্যাস এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে। এছাড়া, অন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর সব গ্রাহককে আবাসিক গ্রাহককে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
বাসাবাড়িতে রান্নায় মিটারবিহীন গ্রাহকরা মাসে কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করছেন তা যাচাই করার দায়িত্ব পাচ্ছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্রে জানা গেছে, শিগগিরই এ বিষয়ে বুয়েটকে চিঠি দেয়া হবে। আবাসিকে মিটারবিহীন গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে কম বিল দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ রাষ্ট্রীয় গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর। তবে এসব গ্রাহক কম গ্যাস ব্যবহার করে বেশি বিল দিচ্ছেন এমন তথ্যও রয়েছে।
মিটারবিহীন গ্রাহকদের মাসিক ব্যবহার ও বিল নির্ধারিত
মিটারবিহীন গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে কম বিল দিচ্ছে- দাবি তিতাসসহ কয়েকটি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির
এসব গ্রাহক কম গ্যাস ব্যবহার করে বেশি বিল দিচ্ছেন, এমন তথ্যও রয়েছে
রাষ্ট্রীয় ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অধীনে আবাসিকে পাইপলাইনের গ্যাস ব্যবহার করে রান্না করেন এমন গ্রাহক সংখ্যা ৪০ লাখ ৪২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রিপেইড মিটার আছে এমন গ্রাহক ৬ লাখের মতো; তারা রান্নায় যতটুক গ্যাস ব্যবহার করেন (প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা) ততটুকুর বিল দেন।
বাকী ৩৫ লাখের ৪২ হাজার গ্রাহকের কোনো মিটার নেই। তাদের চুলায় পাইপলাইন থেকে সরাসরি গ্যাস যায়। গ্যাস যে পরিমানই ব্যবহার হোক না কেন বিল নির্দিষ্ট। এক চুলায় (সিঙ্গেল বর্নার) মাসে ব্যবহার ধরা হয় ৫৫ ইউনিট (ঘনমিটার); বিল ৯৯০ টাকা (প্রতি ঘনমিটার ১৮ টাকা)। দুই চুলায় (ডাবল বার্নার) মাসে ব্যবহার ধরা হয় ৬০ ইউনিট; বিল ১০৮০ টাকা।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের দাবি, আবাসিকে মিটারবিহীন এসব গ্রাহকরা বেশি গ্যাস ব্যবহার করে বিল কম দিচ্ছেন। এতে তাদের সিস্টেম লস বাড়ছে।
ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় তিতাসের মোট আবাসিক গ্রাহক ২৮ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৪ লাখ ২০ হাজারের মতো গ্রাহক প্রিপেইড মিটার পেয়েছেন।
মিটারবিহীন গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির (তিতাস গ্যাস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ পারভেজ সংবাদকে বলেন, ‘মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহক অনেক বেশি গ্যাস ব্যবহার করেন। এক চুলা ৫৫ ঘনমিটারের বিল এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটারের বিল আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে মিটার ছাড়া আবাসিক গ্রাহকদের ১০০ ঘনমিটার পর্যন্ত গ্যাস ব্যবহারের রেকর্ড রয়েছে। বেশি ব্যবহার করলেও মিটারবিহীন আবাসিক গ্রাহকের বিল নির্ধারিত। অপচয় রোধে দাম বাড়ানো উচিত।’
রাষ্ট্রীয় ছয়টি গ্যাস বিতরন কোম্পানির মধ্যে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ৫ লাখ ৯৮ হাজারের মতো। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক প্রায় ২ লাখ ৩৭ হাজার, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের গ্রাহক ২ লাখ ২০ হাজার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক ১ লাখ ২৮ হাজারের কিছু বেশি এবং সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আবাসিক গ্রাহক সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৬টি।
এসব কোম্পানির সিংহভাগ গ্রাহকই মিটারবিহীন গ্যাস ব্যবহার করছেন।
বিইআরসি সর্বশেষ গ্যাসের দাম
বৃদ্ধির আদেশ দেয় ২০২২ সালের ৫ জুন। ওই আদেশের পূর্বে গণশুনানি করা হয়। তখন বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গড়ে এক চুলা ৪০ এবং দুই চুলা সর্বোচ্চ ৫০ ঘনমিটার ব্যবহার করছে। প্রিপেইড গ্রাহকের ব্যবহারের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে তখন মিটারবিহীন গ্রাহকের এক চুলায় ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলায় ৭৭.৪১ ঘনমিটার ব্যবহার থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ৫৫ ও ৬০ ঘনমিটার নির্ধারণ করা হয়।
তবে তিতাস গ্যাস কোম্পানির দাবি হচ্ছে, মিটারবিহীন গ্রাহকের ক্ষেত্রে তারা কোথাও কোথাও ৯০ থেকে ১০০ ঘনমিটার ব্যবহারের তথ্য পেয়েছেন। সে কারণে এক চুলা ৫৫ ঘনমিটার (৯৯০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৭৬.৬৫ ঘনমিটার এবং দুই চুলা ৬০ ঘনমিটার (১০৮০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে ৮৮.৪৪ ঘনমিটার করার আবেদন তারা দিয়েছেন বিইআরসির কাছে।
তিতাস গ্যাসের পাশাপাশি সম্প্রতি শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে চট্টগ্রাম সিটিতে গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং কুমিল্লা, চাঁদপুর এলাকায় গ্যাস বিতরণের দায়িত্বে থাকা বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ঘুরিয়ে আবাসিকের বিল বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
তারা বলেছে, সব মিটারবিহীন গ্রাহকের আঙ্গিনায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পূর্ব পর্যন্ত গ্যাস বিপণন নিয়মাবলী-২০১৪ অনুযায়ী একক ও দুই চুলার গ্যাস ভোগ নির্ধারণ করা হলে তা প্রকৃত গ্যাস ব্যবহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।
গ্যাস বিপণন নিয়মাবলীতে এক চুলা ৭৩.৪১ ঘনমিটার ও দুই চুলা ৭৭.৪১ ঘনমিটার বিলের কথা বলা হয়েছে।
এই প্রস্তাব কার্যকর হলে মিটারবিহীন গ্রাহকদের এক চুলার বিল ৯৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩২১ টাকা এবং দুই চুলা ১৩৯৩ টাকা হবে।
পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, দেশের সব মিটারবিহীন আবাসিক গ্যাস গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিতাস গ্যাসের জন্য ১১ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও তিতাস গ্যাস এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করবে। এছাড়া, অন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর সব গ্রাহককে আবাসিক গ্রাহককে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হবে।