প্রেস সচিবকে স্ত্রীর সতর্কবাণী
সরকারি পদ ছাড়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ‘নিজেকে একা দেখতে পাবেন’ বলে সতর্ক করেছেন তার স্ত্রী। শনিবার,(১৭ মে ২০২৫) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রেস সচিবের ভাষ্য, একা হয়ে গেলেও তার আপত্তি নেই। কারণ এই পদ থেকে পদত্যাগ করার পর তার আশা, তিনি গর্বের সঙ্গে পেছনে ফিরে তাকাতে পারবেন। তার দাবি, এই পদে থেকে তিনি ন্যায্যতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছেন এবং তার দ্বারা অন্য কারও ক্ষতি হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘অনেক বছর আগে, শেখ হাসিনা স্বৈরশাসনের সময়, আমি প্রায়শ’ই বিরোধী নেতাদের সম্পর্কে লিখতাম, যারা তার শাসনকে অমান্য করেছিলেন। আমাদের জাতির জন্য আশার আলো হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রায়শ’ই সেই পোস্টগুলো শেয়ার করতেন এবং মাঝে মাঝে তারা আমাকে বার্তা পাঠাতেন। আমার লেখা এবং সাংবাদিকতার প্রশংসা করতেন।’শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘এখন, অন্তর্বর্তী সরকারে একটি সংবেদনশীল ভূমিকা গ্রহণ করার পর, আমি লক্ষ্য করেছি এই ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে আনফ্রেন্ড করেছেন। আমি আর আগের মতো সেই ব্যক্তি নই। কারও কারও কাছে, আমি অহংকারী হয়ে উঠেছি, ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণু এক কর্মকর্তা।’
প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘এই অবস্থায় আমি ভয় পাচ্ছি যে, আমি আমার সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার জুড়ে তৈরি হওয়া অনেক ফেইসবুক বন্ধুকে হারাতে পারি। আমার অনেক আত্মীয় ইতোমধ্যেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। কারণ আমি তাদের অনুগ্রহ করি না। আমার স্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যখন আমি এই পদ ছেড়ে দেব, তখন আমি নিজেকে একা দেখতে পাব।’
তিনি লিখেনে, ‘কিন্তু আমার আপত্তি নেই। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সহিংস কিছু ঘটনা নথিভুক্ত করার সময় আমি একেবারে একা ছিলাম। বিহারিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার সময় এবং তাদের সহ্য করা অবিচার তুলে ধরার সময় আমি মূলত একা ছিলাম। আমার জন্য, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচারের সঙ্গে কাজ করছি কিনা তা নিশ্চিত করা। আমি কি আমার নিয়োগকর্তাদের কার্যকরভাবে এবং ভালোভাবে রক্ষা করছি? এবং দ্বিতীয়ত, আমি কি এই প্রক্রিয়ায় কারও ক্ষতি করছি?’
প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, ‘ক্ষমতা এমনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত করে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেন না বা উপলব্ধি করতে পারেন না। আব্বাসীয় আমলে সুফিরা সরকারি পদ এড়িয়ে চলতেন, অনিশ্চিত থাকতেন যে, তারা অক্ষত থাকতে পারবেন কিনা। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিশ্চিত করা যে, তারা অন্যদের ক্ষতি করবেন না।’
পোস্টের শেষাংশে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। কয়েক মাস পরে, যখন আমি পদত্যাগ করব, তখন আমি গর্বের সঙ্গে পিছনে ফিরে তাকাতে পারব বলে আশা করি, কারণ আমি জানি এই দুটি লক্ষ্য অর্জন করেছি।’
প্রেস সচিবকে স্ত্রীর সতর্কবাণী
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সরকারি পদ ছাড়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ‘নিজেকে একা দেখতে পাবেন’ বলে সতর্ক করেছেন তার স্ত্রী। শনিবার,(১৭ মে ২০২৫) নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রেস সচিবের ভাষ্য, একা হয়ে গেলেও তার আপত্তি নেই। কারণ এই পদ থেকে পদত্যাগ করার পর তার আশা, তিনি গর্বের সঙ্গে পেছনে ফিরে তাকাতে পারবেন। তার দাবি, এই পদে থেকে তিনি ন্যায্যতার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছেন এবং তার দ্বারা অন্য কারও ক্ষতি হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘অনেক বছর আগে, শেখ হাসিনা স্বৈরশাসনের সময়, আমি প্রায়শ’ই বিরোধী নেতাদের সম্পর্কে লিখতাম, যারা তার শাসনকে অমান্য করেছিলেন। আমাদের জাতির জন্য আশার আলো হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রায়শ’ই সেই পোস্টগুলো শেয়ার করতেন এবং মাঝে মাঝে তারা আমাকে বার্তা পাঠাতেন। আমার লেখা এবং সাংবাদিকতার প্রশংসা করতেন।’শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘এখন, অন্তর্বর্তী সরকারে একটি সংবেদনশীল ভূমিকা গ্রহণ করার পর, আমি লক্ষ্য করেছি এই ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে আনফ্রেন্ড করেছেন। আমি আর আগের মতো সেই ব্যক্তি নই। কারও কারও কাছে, আমি অহংকারী হয়ে উঠেছি, ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণু এক কর্মকর্তা।’
প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘এই অবস্থায় আমি ভয় পাচ্ছি যে, আমি আমার সাংবাদিকতা ক্যারিয়ার জুড়ে তৈরি হওয়া অনেক ফেইসবুক বন্ধুকে হারাতে পারি। আমার অনেক আত্মীয় ইতোমধ্যেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। কারণ আমি তাদের অনুগ্রহ করি না। আমার স্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যখন আমি এই পদ ছেড়ে দেব, তখন আমি নিজেকে একা দেখতে পাব।’
তিনি লিখেনে, ‘কিন্তু আমার আপত্তি নেই। আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে সহিংস কিছু ঘটনা নথিভুক্ত করার সময় আমি একেবারে একা ছিলাম। বিহারিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলার সময় এবং তাদের সহ্য করা অবিচার তুলে ধরার সময় আমি মূলত একা ছিলাম। আমার জন্য, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচারের সঙ্গে কাজ করছি কিনা তা নিশ্চিত করা। আমি কি আমার নিয়োগকর্তাদের কার্যকরভাবে এবং ভালোভাবে রক্ষা করছি? এবং দ্বিতীয়ত, আমি কি এই প্রক্রিয়ায় কারও ক্ষতি করছি?’
প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, ‘ক্ষমতা এমনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত করে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেন না বা উপলব্ধি করতে পারেন না। আব্বাসীয় আমলে সুফিরা সরকারি পদ এড়িয়ে চলতেন, অনিশ্চিত থাকতেন যে, তারা অক্ষত থাকতে পারবেন কিনা। ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিশ্চিত করা যে, তারা অন্যদের ক্ষতি করবেন না।’
পোস্টের শেষাংশে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘এখন পর্যন্ত, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা। কয়েক মাস পরে, যখন আমি পদত্যাগ করব, তখন আমি গর্বের সঙ্গে পিছনে ফিরে তাকাতে পারব বলে আশা করি, কারণ আমি জানি এই দুটি লক্ষ্য অর্জন করেছি।’