গেল বছর জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা, বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেয়াসহ নানা অভিযোগে ১৯ চিকিৎসককে চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। গত ৩১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডেকেটে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাকরিচ্যুতির তালিকায় সাবেক প্রক্টর ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, ডা. ফারুক হোসেন, ডা. আহসান হাবিব, ডা. নাজির মোল্লা, ডা. সুভাস কান্তিদেসহ ১৯ জন রয়েছেন।

প্রক্টর অফিস থেকে জানা গেছে, গেল বছর বিএমইউ’তে হামলা ও তা-বের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ প্রথমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি তাদের প্রতিবেদন শৃঙ্খলা কমিটিতে পাঠায়। পরে ওই শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট বৈঠকে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত হয়। সাবেক একজন প্রো-ভিসিকে ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বিএমইউর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সংবাদকে জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৯ জন ডাক্তারকে চাকরিচ্যুত করার জন্য সিন্ডিকেট অনুমোদন দিয়েছে। ঘটনায় আরও মাস্টারমাইড রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে। আরও কয়েকজন চিকিৎসকের বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগেও ভার্সিটির সিন্ডিকেট সভা চলাকালে হৈ চৈ ও হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ ডাক্তার ও এক কর্মকর্তাকে লঘুদ- (তিরস্কার ও সতর্কীকরণ) দেয়া হয়েছে।

চাকরির বয়স ৬২ বছর করা হচ্ছে

এ দিকে, ভার্সিটির চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা সিন্ডিকেটের ১৫ কার্যবিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ভার্সিটির রেজিস্ট্রার, প্রো-ভিসিকে পাওয়া যায়নি।