‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি ভেবে থাকেন আন্দোলন থেমে গেছে, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না।’
ঈদ সামনে তাই আজ কর্মসূচি রাখা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এই আইন বাতিল না করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে শুধু কর্মবিরতি নয়, অবস্থান কর্মসূচিও দিতে পারি। দরকার হলে সারাদেশে ডিসি অফিস, বিভাগীয়সহ সমগ্র বাংলাদেশে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেব।’ আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ‘ভালো সংবাদ’ না পেলে ‘কঠোর কর্মসূচি’ দেয়া হবে জানান নুরুল ইসলাম।
তারা মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বরাবর স্মারকলিপি দেন। এর আগে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা সচিবালয়ের বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এই সমাবেশে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সংগঠন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা বক্তব্য দেন।
ঐক্য ফোরামের আরেক কো চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) যেহেতু অনেকেই বাড়ি যাবেন, সে কারণে আগামীকাল কোনো কর্মসূচি থাকবে না। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসেও কর্মসূচি থাকবে না।’
তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘১৬ জুন আপনারা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। কেউ যেন কর্মস্থলে না থাকেন, সবাই বেলা ১১টায় এখানে (সচিবালয়ের বাদামতলা) একত্র হয়ে উচ্চারণ করব, অবৈধ কালো আইন বাতিল কর, করতে হবে। মানি না মানব না।’
সরকারের উদ্দেশে বাদীউল কবীর বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ যত দিন ছিল না তাতে কর্মপরিবেশের কী ক্ষতি হয়েছে? আর এটি প্রবর্তন হওয়ার ফলে কী লাভ হয়েছে?’
এই আইন করার ফলে ‘সবার কণ্ঠ রোধ’ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।’
সমাবেশের পর কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে অবস্থান নেন।
অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়ে গত দুই দিনে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেন কর্মচারীরা। এই পাঁচজন উপদেষ্টা হলেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। পরদিন ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠন সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি ভেবে থাকেন আন্দোলন থেমে গেছে, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমরা এমন কর্মসূচি দেব, আপনারা কল্পনা করতে পারবেন না।’
ঈদ সামনে তাই আজ কর্মসূচি রাখা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি এই আইন বাতিল না করা হয়, তাহলে প্রয়োজনে শুধু কর্মবিরতি নয়, অবস্থান কর্মসূচিও দিতে পারি। দরকার হলে সারাদেশে ডিসি অফিস, বিভাগীয়সহ সমগ্র বাংলাদেশে এই কর্মসূচি ছড়িয়ে দেব।’ আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ‘ভালো সংবাদ’ না পেলে ‘কঠোর কর্মসূচি’ দেয়া হবে জানান নুরুল ইসলাম।
তারা মঙ্গলবার (৩ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বরাবর স্মারকলিপি দেন। এর আগে আন্দোলনকারী কর্মচারীরা সচিবালয়ের বাদামতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এই সমাবেশে আন্দোলনকারী কর্মচারীদের সংগঠন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা বক্তব্য দেন।
ঐক্য ফোরামের আরেক কো চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর বলেন, ‘আগামীকাল (আজ) যেহেতু অনেকেই বাড়ি যাবেন, সে কারণে আগামীকাল কোনো কর্মসূচি থাকবে না। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসেও কর্মসূচি থাকবে না।’
তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘১৬ জুন আপনারা সবাই প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। কেউ যেন কর্মস্থলে না থাকেন, সবাই বেলা ১১টায় এখানে (সচিবালয়ের বাদামতলা) একত্র হয়ে উচ্চারণ করব, অবৈধ কালো আইন বাতিল কর, করতে হবে। মানি না মানব না।’
সরকারের উদ্দেশে বাদীউল কবীর বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ যত দিন ছিল না তাতে কর্মপরিবেশের কী ক্ষতি হয়েছে? আর এটি প্রবর্তন হওয়ার ফলে কী লাভ হয়েছে?’
এই আইন করার ফলে ‘সবার কণ্ঠ রোধ’ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই কালো আইন বাতিল করতে হবে।’
সমাবেশের পর কর্মচারীরা বিক্ষোভ করে মন্ত্রিপরিষদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে অবস্থান নেন।
অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়ে গত দুই দিনে সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেন কর্মচারীরা। এই পাঁচজন উপদেষ্টা হলেন খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
চার ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে- এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। পরদিন ২৪ মে থেকেই আইনটি প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব সংগঠন সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা এই অধ্যাদেশটিকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালো আইন’ হিসেবে অভিহিত করছেন।