গ্রীষ্মের শেষভাগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইতে থাকা মৃদু তাপপ্রবাহ আগামীকাল (বুধবার) থেকে কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বাতাসে উচ্চমাত্রার আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, “দেশের চারটি বিভাগ এবং ছয়টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত এটি তীব্র থাকবে, তবে আগামীকাল থেকে এর বিস্তার কমে আসবে।”
“তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারণে গরম অনুভূত হবে বেশি,” বলেন তিনি।
আবহাওয়াবিদ ফারুকের মতে, জুনের মাঝামাঝি—প্রায় ১৬ বা ১৭ তারিখ নাগাদ—এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।
সামান্য বৃষ্টিপাত, স্বস্তি নয়
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে, তবে তা হবে স্বল্পমাত্রার ও অস্থায়ীভাবে।
আগামীকাল (বুধবার) থেকে বৃষ্টিপাত একটু বাড়বে, কিন্তু সেটাও হবে অল্প সময়ের জন্য। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি হয়ে আবার বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে অস্বস্তিকর আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না,” জানান আবহাওয়াবিদ ফারুক।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিন অনুযায়ী, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে, যা বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে সীমিত রাখছে।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
কোথায় তাপপ্রবাহ?
ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালীসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি হলে তা মাঝারি, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি হলে তীব্র, আর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে সেটিকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে—৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাঙামাটিতে, ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই সময়ের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ায়—২৪ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৮ মিলিমিটার এবং শ্রীমঙ্গলে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
---
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
গ্রীষ্মের শেষভাগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বইতে থাকা মৃদু তাপপ্রবাহ আগামীকাল (বুধবার) থেকে কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বাতাসে উচ্চমাত্রার আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গরম থেকে স্বস্তি মিলবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, “দেশের চারটি বিভাগ এবং ছয়টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত এটি তীব্র থাকবে, তবে আগামীকাল থেকে এর বিস্তার কমে আসবে।”
“তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও বাতাসে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারণে গরম অনুভূত হবে বেশি,” বলেন তিনি।
আবহাওয়াবিদ ফারুকের মতে, জুনের মাঝামাঝি—প্রায় ১৬ বা ১৭ তারিখ নাগাদ—এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে কিছুটা মুক্তি মিলতে পারে।
সামান্য বৃষ্টিপাত, স্বস্তি নয়
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে, তবে তা হবে স্বল্পমাত্রার ও অস্থায়ীভাবে।
আগামীকাল (বুধবার) থেকে বৃষ্টিপাত একটু বাড়বে, কিন্তু সেটাও হবে অল্প সময়ের জন্য। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে বৃষ্টি হয়ে আবার বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে অস্বস্তিকর আবহাওয়ার খুব একটা পরিবর্তন হবে না,” জানান আবহাওয়াবিদ ফারুক।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিন অনুযায়ী, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে, যা বৃষ্টিপাতের পরিমাণকে সীমিত রাখছে।
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
কোথায় তাপপ্রবাহ?
ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ফেনী ও পটুয়াখালীসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ হিসেবে চিহ্নিত হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি হলে তা মাঝারি, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি হলে তীব্র, আর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে সেটিকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে—৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাঙামাটিতে, ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই সময়ের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ায়—২৪ মিলিমিটার। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৮ মিলিমিটার এবং শ্রীমঙ্গলে ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
---