গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। এই সংখ্যা ১৩৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মঙ্গলবার,(১৭ জুন ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬,৪৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলছে।
চলতি বছরে মোট আক্রান্ত ৬,৪৬৬,
মৃত্যু ৩০
বরিশালে গত সপ্তাহেই মারা গেছেন ৫ জন
গত তিন দিনে বরিশাল সরকারি হাসপাতালে ৩৫৫ ডেঙ্গু রোগী
২৪ ঘন্টায় আক্রান্তদের মধ্যে চট্রগ্রাম বিভাগে ১৯ জন, ঢাকা বিভাগে ২৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৩২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ১৬০ ও নারী শিশু ৮৪ জন।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি আছে। এই ভাবে ঢাকার ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ১৫২ জন ভর্তি আছে। আর ঢাকার বাইরে বরগুনা জেলায় ভর্তি ২৩৩ জন।
কীটতত্ত্ববিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০০ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে। সম্প্রতি বছর গুলোতে এর প্রকোপ আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১৯ সাল ও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু ভয়াভহ রূপ নেয় এবং মৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। বর্তমানে ডেঙ্গুর সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থাও চাপে পড়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। যেমন-ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানির জমানো স্থান।
বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য অত্যান্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরী করছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ধরন বা সেরোটাইপ রয়েছে। একবার একটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে ওঠে। ওই একই সেরোটাইপ দিয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলেও অন্য সেরোটাইপে ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ভাইরাস খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।
বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তিত হলে সংক্রমণ আরও মারাত্বক হতে পারে। এতে ডেঙ্গু হেমোরোজিক ফিভারের ঝুঁকি বাড়ায়। একবার একটি ধরন আক্রান্ত হওয়ার পর যদি অন্য ধরন দ্বারা সংক্রমিত হয়, তাহলে এণ্টিবডি-ডিপেন্ডেট এনহান্সমেন্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ আরও গুরুতর হতে পারে। এই প্রক্রিয়াতে ইমিউন সিষ্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং রোগী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে
ফেলে। পরিবর্তিত পরিবেশে ভাইরাস খুব দ্রুত অভিযোচিত হয়। ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের ফলে এটি আরও সংক্রমক হতে পারে এবং ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা পদ্ধতিও কম কার্যকর হয়ে যেতে পারে।
বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
রোগীর চাপ
প্রাণঘাতি ডেঙ্গুতে বরিশালে গত ৩ দিনে আক্রান্ত আরও ৩৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের প্রাণ গেছে। এ নিয়ে এবারের ডেঙ্গুর ঢেউএ বরিশালে মৃত্যুর তালিকায় ৮ জনের নাম যুক্ত হল। যারমধ্যে গত সপ্তাহেই মারা গেছেন ৫ জন।
গতকাল সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে আরও ১১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি খবর জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, গত ৩ দিনে দক্ষিণের ছোট জেলা বরগুনাতেই প্রায় ২শ’ ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালের পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে ৩০৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও আরও ৩৫৫ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি করার পরে মোট চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় ৪শ’। একই সময়ে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুনকরে ৬৩ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪৯ জনকে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন আরও শতাধিক ডেঙ্গু রোগী।
গত শনিবার রাতে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মির্জাগঞ্জের মোসাম্মাত লাইলী বেগম নামে ৪০ বছরের এক নারীর মৃত্যু ঘটে। এ নিয়ে হাসপাতালটিতে ৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হল। সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোতে আরও ৬ জন ছাড়াও পটুয়াখালীতে ১৯ জন, ঝালকাঠীতে ২ জন, ভোলায় ৩ জন ও পিরোজপুর হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে যে প্রায় ৩ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন তারমধ্যে বরগুনাতেই ১ হাজার ৮২৪, শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ৩৮৬, পটুয়াখালীতে সাড়ে ৩শ, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোতে আরও ১৮৯, ভোলাতে ৩৯, পিরোজপুরে ১১৯ এবং ঝালকাঠীতে ৩০ জন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, সরকারি হাসপাতালসমুহে ভর্তিকৃত প্রায় ৩ হাজার ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৫৪২ জনকে ছাড়পত্র দেয়ার পরেও গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন ছিলেন আরও ৩৮৭ জন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের অন্তত ১০ গুন বাইরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল থেকে বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বারবারই এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেয়া হলেও পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে বরিশাল মহানগরীতে ডেঙ্গুর সংক্রমন সম্পর্কে সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারনা শুরু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। এই সংখ্যা ১৩৮ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মঙ্গলবার,(১৭ জুন ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬,৪৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলছে।
চলতি বছরে মোট আক্রান্ত ৬,৪৬৬,
মৃত্যু ৩০
বরিশালে গত সপ্তাহেই মারা গেছেন ৫ জন
গত তিন দিনে বরিশাল সরকারি হাসপাতালে ৩৫৫ ডেঙ্গু রোগী
২৪ ঘন্টায় আক্রান্তদের মধ্যে চট্রগ্রাম বিভাগে ১৯ জন, ঢাকা বিভাগে ২৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৩২ জন, ময়মনসিংহে ১ জন, রাজশাহীতে ২৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ১৬০ ও নারী শিশু ৮৪ জন।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫১জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৪ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন, মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি আছে। এই ভাবে ঢাকার ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ১৫২ জন ভর্তি আছে। আর ঢাকার বাইরে বরগুনা জেলায় ভর্তি ২৩৩ জন।
কীটতত্ত্ববিশেষজ্ঞদের মতে, ২০০০ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে। সম্প্রতি বছর গুলোতে এর প্রকোপ আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১৯ সাল ও ২০২৩ সালে ডেঙ্গু ভয়াভহ রূপ নেয় এবং মৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। বর্তমানে ডেঙ্গুর সংক্রমণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসা ব্যবস্থাও চাপে পড়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার ও জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। যেমন-ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের পাত্র, ফ্রিজের ট্রে, এসির পানির জমানো স্থান।
বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য অত্যান্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরী করছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ধরন বা সেরোটাইপ রয়েছে। একবার একটি সেরোটাইপের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে ওঠে। ওই একই সেরোটাইপ দিয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলেও অন্য সেরোটাইপে ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ভাইরাস খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।
বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তিত হলে সংক্রমণ আরও মারাত্বক হতে পারে। এতে ডেঙ্গু হেমোরোজিক ফিভারের ঝুঁকি বাড়ায়। একবার একটি ধরন আক্রান্ত হওয়ার পর যদি অন্য ধরন দ্বারা সংক্রমিত হয়, তাহলে এণ্টিবডি-ডিপেন্ডেট এনহান্সমেন্ট একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ আরও গুরুতর হতে পারে। এই প্রক্রিয়াতে ইমিউন সিষ্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং রোগী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে
ফেলে। পরিবর্তিত পরিবেশে ভাইরাস খুব দ্রুত অভিযোচিত হয়। ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তনের ফলে এটি আরও সংক্রমক হতে পারে এবং ভ্যাকসিন বা চিকিৎসা পদ্ধতিও কম কার্যকর হয়ে যেতে পারে।
বরিশালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত
রোগীর চাপ
প্রাণঘাতি ডেঙ্গুতে বরিশালে গত ৩ দিনে আক্রান্ত আরও ৩৫৫ জন হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের প্রাণ গেছে। এ নিয়ে এবারের ডেঙ্গুর ঢেউএ বরিশালে মৃত্যুর তালিকায় ৮ জনের নাম যুক্ত হল। যারমধ্যে গত সপ্তাহেই মারা গেছেন ৫ জন।
গতকাল সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলোতে আরও ১১৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি খবর জানিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর বলছে, গত ৩ দিনে দক্ষিণের ছোট জেলা বরগুনাতেই প্রায় ২শ’ ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালের পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে ৩০৪ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও আরও ৩৫৫ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি করার পরে মোট চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় ৪শ’। একই সময়ে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুনকরে ৬৩ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হলেও ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪৯ জনকে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন আরও শতাধিক ডেঙ্গু রোগী।
গত শনিবার রাতে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মির্জাগঞ্জের মোসাম্মাত লাইলী বেগম নামে ৪০ বছরের এক নারীর মৃত্যু ঘটে। এ নিয়ে হাসপাতালটিতে ৩ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হল। সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের জেনারেল হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোতে আরও ৬ জন ছাড়াও পটুয়াখালীতে ১৯ জন, ঝালকাঠীতে ২ জন, ভোলায় ৩ জন ও পিরোজপুর হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে যে প্রায় ৩ হাজার ডেঙ্গু রোগী সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন তারমধ্যে বরগুনাতেই ১ হাজার ৮২৪, শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ৩৮৬, পটুয়াখালীতে সাড়ে ৩শ, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালসহ অন্য হাসপাতালগুলোতে আরও ১৮৯, ভোলাতে ৩৯, পিরোজপুরে ১১৯ এবং ঝালকাঠীতে ৩০ জন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের মতে, সরকারি হাসপাতালসমুহে ভর্তিকৃত প্রায় ৩ হাজার ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ইতোমধ্যে ২ হাজার ৫৪২ জনকে ছাড়পত্র দেয়ার পরেও গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন ছিলেন আরও ৩৮৭ জন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে সরকারি হাসপাতালে ভর্তিকৃত ডেঙ্গু রোগীদের অন্তত ১০ গুন বাইরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল মহল থেকে বারবারই বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং বিভিন্ন পৌরসভাসহ সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বারবারই এডিস মশা নিধনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেয়া হলেও পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে বরিশাল মহানগরীতে ডেঙ্গুর সংক্রমন সম্পর্কে সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচারনা শুরু করা হয়েছে।