খিরসাপাত ২৪শ’-২৮শ’ টাকা মণ, ল্যাংড়া ১৮শ’-২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজার -সংবাদ
জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে শুরু হয়েছে আষাঢ়। এ মৌসুম জুড়ে অন্যতম আকর্ষণ ফলের রাজা আম। আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে সুমিষ্ট পরিপক্ক আম ল্যাংড়া ও খিরসাপাতসহ অন্যান্য জাতের পাওয়া যাচ্ছে এবং দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজার এখন পাকা আমের সুগন্ধে ভরে উঠেছে। আমের সুগন্ধে বাজার মুখরিত এবং ক্রেতারাও ভিড় করছেন নতুন পাকা আম কিনতে। বিক্রেতারা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে দেরীতে আম পাকায় বাজারে আসতে সময় লেগেছে। তবে তারা বলছেন, এ জেলার আম দেশ জুড়ে সুখ্যাতি থাকায় ক্রেতাদের মাঝে আগ্রহ থাকে বেশী। তহাবাজারে অবস্থিত আমবাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা খিরসাপাতসহ নানান জাতের আম বাজারে নামিয়েছেন। তবে গোপালভোগ আম শেষ হয়ে গেছে। আম বিক্রেতারা আম বিক্রির জন্য অস্থায়ীভাবে টিন সেড ঘর নির্মাণ করে আমের ক্যারেট আর ডালিতে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন।
আব্দুর রাকিব ও জহির নামে ২ আম ব্যবসায়ী বলেন, এ জেলার সুমিষ্ট আমের চাহিদা থাকায় ক্রেতাদের আগমন ঘটছে। মাঝে ঈদের ছুটি থাকায় আম বিক্রি কম ছিল। তবে, এ বছর আবহাওয়া প্রতিকুল থাকায় গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম বাজারে দেরীতে নেমেছে। এবার আমের ফলনও ভাল হয়েছে। আমের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। তারা আরো জানান, জেলার সুমিষ্ট আম কিনতে দেশের বিভিন্ন্ প্রান্ত থেকে বেশ কিছু পাইকার আম ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আমের চাহিদা পাঠানোর পর সেসব স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে আম প্রেরণ করা হচ্ছে। ক্যারেট, ঝুড়ি ও কার্টুনে আম প্যাকেটজাত করছে মৌসুমী শ্রমিকরা। আরেক আম ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, আম পরিপক্ক হওয়ার পরেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি বাগান থেকেও আম সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজারে খিরসাপাত, ল্যাংড়া, লক্ষ্মণ আম এসেছে, দাম মোটামুটি ক্রেতাদের ক্রয় সীমার মধ্যেই রয়েছে। তবে ক্রেতারা বেছে বেছে আম নিলে তুলনামুলক দাম বেশী পড়ছে। এবার খিরসাপাত আম ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণ, ল্যাংড়া ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আম যত কমতে থাকবে দিন দিন তার দাম বাড়বে। অনেক ক্রেতা বাজারে এসে পরখ করার পর আম ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম সহনীয় পর্যায়ে।
খিরসাপাত ২৪শ’-২৮শ’ টাকা মণ, ল্যাংড়া ১৮শ’-২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজার -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে শুরু হয়েছে আষাঢ়। এ মৌসুম জুড়ে অন্যতম আকর্ষণ ফলের রাজা আম। আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজারে সুমিষ্ট পরিপক্ক আম ল্যাংড়া ও খিরসাপাতসহ অন্যান্য জাতের পাওয়া যাচ্ছে এবং দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাজার এখন পাকা আমের সুগন্ধে ভরে উঠেছে। আমের সুগন্ধে বাজার মুখরিত এবং ক্রেতারাও ভিড় করছেন নতুন পাকা আম কিনতে। বিক্রেতারা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে দেরীতে আম পাকায় বাজারে আসতে সময় লেগেছে। তবে তারা বলছেন, এ জেলার আম দেশ জুড়ে সুখ্যাতি থাকায় ক্রেতাদের মাঝে আগ্রহ থাকে বেশী। তহাবাজারে অবস্থিত আমবাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা খিরসাপাতসহ নানান জাতের আম বাজারে নামিয়েছেন। তবে গোপালভোগ আম শেষ হয়ে গেছে। আম বিক্রেতারা আম বিক্রির জন্য অস্থায়ীভাবে টিন সেড ঘর নির্মাণ করে আমের ক্যারেট আর ডালিতে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন।
আব্দুর রাকিব ও জহির নামে ২ আম ব্যবসায়ী বলেন, এ জেলার সুমিষ্ট আমের চাহিদা থাকায় ক্রেতাদের আগমন ঘটছে। মাঝে ঈদের ছুটি থাকায় আম বিক্রি কম ছিল। তবে, এ বছর আবহাওয়া প্রতিকুল থাকায় গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম বাজারে দেরীতে নেমেছে। এবার আমের ফলনও ভাল হয়েছে। আমের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়েছে। তারা আরো জানান, জেলার সুমিষ্ট আম কিনতে দেশের বিভিন্ন্ প্রান্ত থেকে বেশ কিছু পাইকার আম ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে আমের চাহিদা পাঠানোর পর সেসব স্থানে কুরিয়ারের মাধ্যমে আম প্রেরণ করা হচ্ছে। ক্যারেট, ঝুড়ি ও কার্টুনে আম প্যাকেটজাত করছে মৌসুমী শ্রমিকরা। আরেক আম ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, আম পরিপক্ক হওয়ার পরেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। এমনকি বাগান থেকেও আম সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজারে খিরসাপাত, ল্যাংড়া, লক্ষ্মণ আম এসেছে, দাম মোটামুটি ক্রেতাদের ক্রয় সীমার মধ্যেই রয়েছে। তবে ক্রেতারা বেছে বেছে আম নিলে তুলনামুলক দাম বেশী পড়ছে। এবার খিরসাপাত আম ২৪০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণ, ল্যাংড়া ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আম যত কমতে থাকবে দিন দিন তার দাম বাড়বে। অনেক ক্রেতা বাজারে এসে পরখ করার পর আম ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার আমের দাম সহনীয় পর্যায়ে।