ইরানে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা ওয়ালিদ ইসলাম। তার ফেইসবুক থেকে নেওয়া ছবি।
ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইরানের রাজধানী তেহরানে গুঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বাসভবন। হামলার সময় বাসায় না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম।
তেহরানের তৃতীয় জেলার জর্ডান এলাকায় অবস্থিত ছিল ওয়ালিদ ইসলামের বাসা। এই এলাকায় ইরানের একটি নৌঘাঁটি, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অবস্থিত। সোমবার সেখানেই চালানো ইসরায়েলি হামলায় বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ওয়ালিদ ইসলাম নিজেই নিশ্চিত করেছেন তার বাসা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের আশপাশে এখন আর কিছুই নাই, কেবল কূটনীতিকদের কয়েকটি বাড়ি টিকে আছে।”
হামলার আগে ইসরায়েল ওই এলাকায় আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছিল এবং বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল। এ কারণে প্রাণহানি কম হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার দুপুরে তেহরানের তিন নম্বর জেলায় হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর, বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দূতাবাস কর্মীরা তেহরানের অন্য এলাকায় সরে যান।
তবে হামলার তীব্রতা বাড়তে থাকায় এখন তেহরান ছাড়িয়ে বাংলাদেশিদের শহরের বাইরের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঢাকায় মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানান, “ইরানে থাকা প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ৪০০ জন তেহরানে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।”
ইসরায়েলি হামলা ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। শুক্রবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও কমান্ডারদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল আক্রমণ শুরু করে। পাল্টা হামলায় যুক্ত হচ্ছে ইরানও। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক তেহরানবাসী শহর ছাড়ছেন। শহরের রাস্তাগুলোতে প্রচণ্ড যানজট এবং জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।
তেহরান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন অনেকেই।
“অনেকেই ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছেন,” বলেন ওয়ালিদ ইসলাম, “বলছেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি ভালো না ভাই, আমাদের বাঁচান।’”
শুধু রাজধানী নয়, ইরানের অন্য শহরগুলো থেকেও দূতাবাসে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ আসছে।
কিন্তু এই উদ্ধার কার্যক্রম সহজ হচ্ছে না। নিরাপত্তা ঝুঁকি, বিমান চলাচল বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। “যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো কিছু এত সহজে হয় না,” বলেন পররাষ্ট্র সচিব।
বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে ইরানে থাকা নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য হটলাইন চালু করেছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তেহরানে দূতাবাসের মাধ্যমে এই জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং পরবর্তী ধাপে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
ইরানে বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তা ওয়ালিদ ইসলাম। তার ফেইসবুক থেকে নেওয়া ছবি।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইরানের রাজধানী তেহরানে গুঁড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার বাসভবন। হামলার সময় বাসায় না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম।
তেহরানের তৃতীয় জেলার জর্ডান এলাকায় অবস্থিত ছিল ওয়ালিদ ইসলামের বাসা। এই এলাকায় ইরানের একটি নৌঘাঁটি, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অবস্থিত। সোমবার সেখানেই চালানো ইসরায়েলি হামলায় বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ওয়ালিদ ইসলাম নিজেই নিশ্চিত করেছেন তার বাসা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, “আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের আশপাশে এখন আর কিছুই নাই, কেবল কূটনীতিকদের কয়েকটি বাড়ি টিকে আছে।”
হামলার আগে ইসরায়েল ওই এলাকায় আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছিল এবং বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছিল। এ কারণে প্রাণহানি কম হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী সোমবার দুপুরে তেহরানের তিন নম্বর জেলায় হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর, বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর দূতাবাস কর্মীরা তেহরানের অন্য এলাকায় সরে যান।
তবে হামলার তীব্রতা বাড়তে থাকায় এখন তেহরান ছাড়িয়ে বাংলাদেশিদের শহরের বাইরের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঢাকায় মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক জানান, “ইরানে থাকা প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশির মধ্যে ৪০০ জন তেহরানে রয়েছেন। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।”
ইসরায়েলি হামলা ষষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে। শুক্রবার ভোরে ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও কমান্ডারদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল আক্রমণ শুরু করে। পাল্টা হামলায় যুক্ত হচ্ছে ইরানও। যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে অনেক তেহরানবাসী শহর ছাড়ছেন। শহরের রাস্তাগুলোতে প্রচণ্ড যানজট এবং জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে।
তেহরান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নিতে দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন অনেকেই।
“অনেকেই ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করছেন,” বলেন ওয়ালিদ ইসলাম, “বলছেন, ‘এখানকার পরিস্থিতি ভালো না ভাই, আমাদের বাঁচান।’”
শুধু রাজধানী নয়, ইরানের অন্য শহরগুলো থেকেও দূতাবাসে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ আসছে।
কিন্তু এই উদ্ধার কার্যক্রম সহজ হচ্ছে না। নিরাপত্তা ঝুঁকি, বিমান চলাচল বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। “যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কোনো কিছু এত সহজে হয় না,” বলেন পররাষ্ট্র সচিব।
বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে ইরানে থাকা নাগরিকদের সহযোগিতার জন্য হটলাইন চালু করেছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তেহরানে দূতাবাসের মাধ্যমে এই জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হচ্ছে এবং পরবর্তী ধাপে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে।