চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। রেললাইনে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন আরশীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সোনাপাহাড় এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে আরাফাত (১৮), আবু তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান (১৮) ও জিয়াউর রহমানের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ( ১৮)। রাতের তাদের দাফন নিজগ্রামে সম্পন্ন হয়।
রেলওয়ে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বন্ধু রেললাইনের ওপর বসেছিলেন। এ সময় হঠাৎ ট্রেন এসে পড়লে দু’জন নিরাপদে সরে যেতে পারলেও তিনজন মেঘনা ট্রেনের কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এরপর স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চিনকি আস্তানা স্টেশনের গোলাম সারওয়ার জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের বসে থাকা ৩ যুবক মেঘনা ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যায়। পরে শুনেছি তারা মারা গেছে। মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত
ডা. এরশাদ উল্লাহ বলেন, স্থানীয় লোকজন তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা মৃত ঘোষণা করি। তিনি আরও বলেন, নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও আমরা নিশ্চিত নই ট্রেনের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে কিনা। তারা কীভাবে নিহত হয়েছেন সেটি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে প্রায় শতাধিক লোকজন এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজন মরদেহ নিয়ে গেছেন। তারা ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বে নিহতদের মৃতদেহ স্বজনরা নিয়ে যায়। আমিও জেনেছি তারা অমনোযোগী হয়ে রেললাইনে বসে হেডফোনে গান শুনছিল। আর তাই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
চিরিরবন্দরে দোলনচাঁপা ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চিরিরবন্দর রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম পাশে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আনজুমান আরা (৫৯) চিরিরবন্দর উপজেলা অমরপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসনের স্ত্রী। আনজুমানের জামাতা নুরুজ্জামান জানান, তিনি মানসিক রোগী ছিলেন।
স্থানীরা জানান, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ের জামাতার বাসায় আসার পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় দোলনচাঁপা ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে পশ্চিম সাইতাঁড়া গ্রামের গফুর শাহপাড়ার এন্তাজুল হকের ছেলে জিয়াবুর রহমান (৪০)। স্টেশনে বাংলাবান্ধাগামী ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ট্রেন স্টেশনে প্রবেশের সময় জিয়াবুর রহমান ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
চিরিরবন্দর স্টেশন মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ঘটনাস্থলে আছে। জিআরপি পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে, তারা এলে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। রেললাইনে বসে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শোনার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন আরশীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সোনাপাহাড় এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে আরাফাত (১৮), আবু তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান (১৮) ও জিয়াউর রহমানের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন ( ১৮)। রাতের তাদের দাফন নিজগ্রামে সম্পন্ন হয়।
রেলওয়ে ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বন্ধু রেললাইনের ওপর বসেছিলেন। এ সময় হঠাৎ ট্রেন এসে পড়লে দু’জন নিরাপদে সরে যেতে পারলেও তিনজন মেঘনা ট্রেনের কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এরপর স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে মস্তাননগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
চিনকি আস্তানা স্টেশনের গোলাম সারওয়ার জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রেললাইনের বসে থাকা ৩ যুবক মেঘনা ট্রেনের ধাক্কায় পড়ে যায়। পরে শুনেছি তারা মারা গেছে। মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত
ডা. এরশাদ উল্লাহ বলেন, স্থানীয় লোকজন তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা মৃত ঘোষণা করি। তিনি আরও বলেন, নিহতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও আমরা নিশ্চিত নই ট্রেনের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে কিনা। তারা কীভাবে নিহত হয়েছেন সেটি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে প্রায় শতাধিক লোকজন এসেছিলেন। স্থানীয় লোকজন মরদেহ নিয়ে গেছেন। তারা ডেথ সার্টিফিকেটও নেননি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পৌঁছার পূর্বে নিহতদের মৃতদেহ স্বজনরা নিয়ে যায়। আমিও জেনেছি তারা অমনোযোগী হয়ে রেললাইনে বসে হেডফোনে গান শুনছিল। আর তাই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু
চিরিরবন্দরে দোলনচাঁপা ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় চিরিরবন্দর রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম পাশে রেললাইন পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত আনজুমান আরা (৫৯) চিরিরবন্দর উপজেলা অমরপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের আফজাল হোসনের স্ত্রী। আনজুমানের জামাতা নুরুজ্জামান জানান, তিনি মানসিক রোগী ছিলেন।
স্থানীরা জানান, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে মেয়ের জামাতার বাসায় আসার পথে রেললাইন পার হওয়ার সময় দোলনচাঁপা ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে পশ্চিম সাইতাঁড়া গ্রামের গফুর শাহপাড়ার এন্তাজুল হকের ছেলে জিয়াবুর রহমান (৪০)। স্টেশনে বাংলাবান্ধাগামী ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস’ ট্রেন স্টেশনে প্রবেশের সময় জিয়াবুর রহমান ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। ফলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
চিরিরবন্দর স্টেশন মাস্টার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ ঘটনাস্থলে আছে। জিআরপি পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে, তারা এলে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।