‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের তাগিদ
দেশের সব সরকারি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন।
ড. ইউনূস বলেন, “সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর কাজটি বেসরকারি অংশীদারিত্বে করা যায় কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া হোক। যারা বসাবে, তারাই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সরকারের কাজ হবে ছাদ বরাদ্দ দেওয়া।”
তিনি বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রুফটপ সোলার স্থাপন করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে সেসব সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।”
বৈঠকে জানানো হয়, এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি হাসপাতালের ছাদেও সোলার প্যানেল বসানো হবে। এসব প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিল দিতে হবে না, বরং সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য ছাদের ভাড়াও পাবে।
বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ভারতের ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৭.১৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ৩৯.৭ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এলেও বাংলাদেশে তা মাত্র ৫.৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিশ্চিত করতে চায়।
সভায় জানানো হয়, এরই মধ্যে ৫২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থলভিত্তিক ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বাস্তবায়নের তাগিদ
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
দেশের সব সরকারি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় রুফটপ সোলার কর্মসূচি’ বিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন।
ড. ইউনূস বলেন, “সরকারি ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর কাজটি বেসরকারি অংশীদারিত্বে করা যায় কি না, তা বিবেচনায় নেওয়া হোক। যারা বসাবে, তারাই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সরকারের কাজ হবে ছাদ বরাদ্দ দেওয়া।”
তিনি বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে রুফটপ সোলার স্থাপন করেছে, তাদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে সেসব সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।”
বৈঠকে জানানো হয়, এই কর্মসূচির আওতায় সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি হাসপাতালের ছাদেও সোলার প্যানেল বসানো হবে। এসব প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিল দিতে হবে না, বরং সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য ছাদের ভাড়াও পাবে।
বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে। ভারতের ২৪ শতাংশ, পাকিস্তানের ১৭.১৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ৩৯.৭ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এলেও বাংলাদেশে তা মাত্র ৫.৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিশ্চিত করতে চায়।
সভায় জানানো হয়, এরই মধ্যে ৫২৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার স্থলভিত্তিক ৫৫টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।