‘জুলাই গ্যাং কালচার’ শিরোনামে একটি পুরনো ভারতীয় ভিডিও ভাইরাল করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে প্রধান উপদেষ্টার (সিএ) প্রেস উইং। গতকাল রোববার রাতে সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস- এর ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দু’টি কিশোর দলের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে দিয়ে এটিকে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে মিথ্যা দাবি করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এটি ভারতের কেরালায় ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের মারামারির দৃশ্য, বাংলাদেশের নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ডিবিসি হিন্দি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। শিরোনাম ছিল, ‘কেরালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ভাইরাল’। একই ভিডিও প্রকাশ করে ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাউ’-এর প্রতিবেদনেও ঘটনাটি কেরালার রাস্তায় ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একে (ভিডিওটি) ইন্টারনেটে এমন ভুয়াভাবে ছড়ানো হচ্ছে যেন এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র সহিংসতার উদাহরণ। এর সঙ্গে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা।’
হিন্দু বৃদ্ধকে অপমান
বাংলাদেশের উগ্র ইসলামপন্থিরা এক হিন্দু বৃদ্ধকে জুতার মালা পরিয়ে প্রকাশ্যে অপমান করেছে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিও মিথ্যা বলে দাবি করেছে হয়েছে সিএ প্রেস উইং। গতকাল রোববার রাতে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’-এর ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভিডিওর সঙ্গে ছড়ানো ক্যাপশনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি একজন হিন্দু স্কুলশিক্ষক, যিনি ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন। দাবি করা হয়, ইসলামপন্থিরা তাকে লাঞ্ছিত করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই দাবি একেবারেই ভুল ও ভিত্তিহীন।’ প্রেস উইং জানায়, ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ ও কী-ওয়ার্ড’ যাচাইয়ের মাধ্যমে দেশের মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হয়। এসব প্রতিবেদনে ঘটনার প্রকৃত প্রেক্ষাপট স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়,
‘ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনো হিন্দু শিক্ষক নন। তার নাম আহমদ আলী। তিনি একজন মুসলিম এবং রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার টেকাটী গ্রামের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভিডিওটি সত্য হলেও এর সঙ্গে তৈরি করা কাহিনী পুরোপুরি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। এটি কোনো ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপর নিপীড়নের ঘটনা নয়, বরং ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ঘিরে একটি স্থানীয় উত্তেজনা, যেটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার রূপ দেয়া হয়েছে।’
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
‘জুলাই গ্যাং কালচার’ শিরোনামে একটি পুরনো ভারতীয় ভিডিও ভাইরাল করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে প্রধান উপদেষ্টার (সিএ) প্রেস উইং। গতকাল রোববার রাতে সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস- এর ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দু’টি কিশোর দলের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের একটি ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে দিয়ে এটিকে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ বলে মিথ্যা দাবি করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এটি ভারতের কেরালায় ছাত্রদের দু’টি গ্রুপের মারামারির দৃশ্য, বাংলাদেশের নয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অনুসন্ধানে জানা গেছে, ‘ডিবিসি হিন্দি’ নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। শিরোনাম ছিল, ‘কেরালার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ভাইরাল’। একই ভিডিও প্রকাশ করে ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস নাউ’-এর প্রতিবেদনেও ঘটনাটি কেরালার রাস্তায় ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একে (ভিডিওটি) ইন্টারনেটে এমন ভুয়াভাবে ছড়ানো হচ্ছে যেন এটি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র সহিংসতার উদাহরণ। এর সঙ্গে ‘জুলাই গ্যাং কালচার’ নাম জুড়ে দেয়া হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা।’
হিন্দু বৃদ্ধকে অপমান
বাংলাদেশের উগ্র ইসলামপন্থিরা এক হিন্দু বৃদ্ধকে জুতার মালা পরিয়ে প্রকাশ্যে অপমান করেছে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিও মিথ্যা বলে দাবি করেছে হয়েছে সিএ প্রেস উইং। গতকাল রোববার রাতে ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’-এর ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভিডিওর সঙ্গে ছড়ানো ক্যাপশনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি একজন হিন্দু স্কুলশিক্ষক, যিনি ৪০ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন। দাবি করা হয়, ইসলামপন্থিরা তাকে লাঞ্ছিত করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে তদন্তে উঠে এসেছে, এই দাবি একেবারেই ভুল ও ভিত্তিহীন।’ প্রেস উইং জানায়, ‘রিভার্স ইমেজ সার্চ ও কী-ওয়ার্ড’ যাচাইয়ের মাধ্যমে দেশের মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হয়। এসব প্রতিবেদনে ঘটনার প্রকৃত প্রেক্ষাপট স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। বিবৃতিতে বলা হয়,
‘ভিডিওতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কোনো হিন্দু শিক্ষক নন। তার নাম আহমদ আলী। তিনি একজন মুসলিম এবং রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার টেকাটী গ্রামের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভিডিওটি সত্য হলেও এর সঙ্গে তৈরি করা কাহিনী পুরোপুরি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর। এটি কোনো ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপর নিপীড়নের ঘটনা নয়, বরং ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ঘিরে একটি স্থানীয় উত্তেজনা, যেটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার রূপ দেয়া হয়েছে।’