বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগে নেয়া হবে, প্রাথমিকভাবে ধুলা কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ
নতুন ২৫০টি বাস কেনার অনুমোদন
নির্গমন মান বজায় রাখতে বিআরটিএ ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে
সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) সচিবালয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। বৈঠকে জাতীয় নির্গমন ইনভেন্টরি ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়, যা দেশের বায়ুদূষণের উৎস চিহ্নিত করে বিজ্ঞানভিত্তিক টার্গেটেড হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দূষণ রোধে পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করব।’ নতুন ২৫০টি বাস কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে, নির্গমন মান বজায় রাখতে বিআরটিএ ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথ কাজের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সহযোগিতা বাংলাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।’ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে নো ব্রিক ফিল্ড জোন ঘোষণা করা হবে। ধুলাদূষণ কমানোর মাধ্যমে এ বছর নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করব। বায়ুদূষণ কমাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা করতে হবে। শীতকালের আগে (অক্টোবরের মধ্যে) ভাঙাচুরা রাস্তা সংস্কার হবে। চীনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বায়ুর মান উন্নয়নে কাজ করবে সরকার।’
মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালা বাস্তবায়নের কথা বলছেন বাসমালিকরা। তারা বলছেন, পুরনো গাড়ি ২০-৩০ বছর হলে সেগুলোর জন্য স্ক্র্যাপিং নীতিমালা জরুরি। এসব ক্ষেত্রে যেসব বাসের মেয়াদ খুব বেশি বা বেশি পুরনো সেগুলো আগে বন্ধ করে পর্যায়ক্রমে পরেরগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিলে বাস্তবায়নে সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম সংবাদকে বলেন, একটা বাস যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে বাতিল করবে বা ধ্বংস করবে সেটার জন্য নীতিমালাটা জরুরি। যেমন ঢাকা মহানগরে যেসব জিএনজি সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তারা সেটা জমা দিয়ে এতটা দাম ধরে পুরনোটা নিয়ে বাজেয়াপ্ত করে পরবর্তীতে স্ক্র্যাপিং করে ফেলে। এক্ষেত্রে, পুরনো বাস স্ক্র্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ওই মালিকের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানকে বলে দেয় যাতে ওই মালিক সহজ শর্তে লোন পায়। স্ক্র্যাপিং নীতিমালার ক্ষেত্রে সরকার নীতিগতভাবে একমত কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো সার্কুলার ব্যাংকে দেয়া হয়নি বা আমাদের জানানো হয়নি।
তবে, নীতিমালা হলে সহায়ক হবে, বাসমালিকরাও উৎসাহিত হবে আর পুরনো গাড়িও কমে যাবে, বলে তার মত। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম; অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল ইসলাম; নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনুষদের নির্বাহী ডিন অধ্যাপক ইউ ঝাও; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানজিং-হেলসিঙ্কি ইনস্টিটিউটের উপ-ডিন অধ্যাপক হাইকুন ওয়াং এবং বায়ুম-লীয় বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক টেংইউ লিউ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বায়ুদূষণ মো. জিয়াউল হকসহ অনেকে।
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগে নেয়া হবে, প্রাথমিকভাবে ধুলা কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ
নতুন ২৫০টি বাস কেনার অনুমোদন
নির্গমন মান বজায় রাখতে বিআরটিএ ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে
সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) সচিবালয়ে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চীনের বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। বৈঠকে জাতীয় নির্গমন ইনভেন্টরি ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়, যা দেশের বায়ুদূষণের উৎস চিহ্নিত করে বিজ্ঞানভিত্তিক টার্গেটেড হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে এজন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দূষণ রোধে পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি পর্যায়ক্রমে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে কাজ করব।’ নতুন ২৫০টি বাস কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে, নির্গমন মান বজায় রাখতে বিআরটিএ ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে। দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথ কাজের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সহযোগিতা বাংলাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।’ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে নো ব্রিক ফিল্ড জোন ঘোষণা করা হবে। ধুলাদূষণ কমানোর মাধ্যমে এ বছর নগরবাসীকে স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করব। বায়ুদূষণ কমাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা করতে হবে। শীতকালের আগে (অক্টোবরের মধ্যে) ভাঙাচুরা রাস্তা সংস্কার হবে। চীনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বায়ুর মান উন্নয়নে কাজ করবে সরকার।’
মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালা বাস্তবায়নের কথা বলছেন বাসমালিকরা। তারা বলছেন, পুরনো গাড়ি ২০-৩০ বছর হলে সেগুলোর জন্য স্ক্র্যাপিং নীতিমালা জরুরি। এসব ক্ষেত্রে যেসব বাসের মেয়াদ খুব বেশি বা বেশি পুরনো সেগুলো আগে বন্ধ করে পর্যায়ক্রমে পরেরগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নিলে বাস্তবায়নে সুবিধা হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম সংবাদকে বলেন, একটা বাস যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে বাতিল করবে বা ধ্বংস করবে সেটার জন্য নীতিমালাটা জরুরি। যেমন ঢাকা মহানগরে যেসব জিএনজি সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তারা সেটা জমা দিয়ে এতটা দাম ধরে পুরনোটা নিয়ে বাজেয়াপ্ত করে পরবর্তীতে স্ক্র্যাপিং করে ফেলে। এক্ষেত্রে, পুরনো বাস স্ক্র্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ওই মালিকের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানকে বলে দেয় যাতে ওই মালিক সহজ শর্তে লোন পায়। স্ক্র্যাপিং নীতিমালার ক্ষেত্রে সরকার নীতিগতভাবে একমত কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনো সার্কুলার ব্যাংকে দেয়া হয়নি বা আমাদের জানানো হয়নি।
তবে, নীতিমালা হলে সহায়ক হবে, বাসমালিকরাও উৎসাহিত হবে আর পুরনো গাড়িও কমে যাবে, বলে তার মত। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম; অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল ইসলাম; নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনুষদের নির্বাহী ডিন অধ্যাপক ইউ ঝাও; একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানজিং-হেলসিঙ্কি ইনস্টিটিউটের উপ-ডিন অধ্যাপক হাইকুন ওয়াং এবং বায়ুম-লীয় বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক টেংইউ লিউ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বায়ুদূষণ মো. জিয়াউল হকসহ অনেকে।