ঢাকার সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ইতোমধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট -ফাইল ছবি
ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য একটি সময়ভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় (বিদ্যুৎ বিভাগ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (স্রেডা) ছয় মাসের মধ্যে আদেশ মেনে পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) জনস্বার্থে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে এর মধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রুলে বলা হয়, ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে স্থাপিত বিদ্যমান সৌর প্যানেলগুলো কার্যকরভাবে চালু রাখার ব্যর্থতা সংবিধান এবং প্রচলিত আইন, পরিকল্পনা ও নীতিমালার পরিপন্থী। এ কারণে কেন সেটি অসাংবিধানিক, আইন বহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
এছাড়াও সব বিদ্যমান সৌর প্যানেল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করাসহ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
কনভেনশন, চুক্তি ও জাতীয় মহাপরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে বেলা’র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌর শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের ও কার্যকরভাবে সচল রাখার বিকল্প নেই।
বেলা জানায়, ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোতে সৌর প্যানেল স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার মাধ্যমে ঢাকার বিদ্যুৎ চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব, যা কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাবে এবং ভোক্তাদের বিদ্যুৎখাতের ব্যয় কমাবে।
বেলা আরও জানায়, সৌর প্যানেল স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব ভবনে সৌর প্যানেল স্থাপিত হয়েছে যথাযথ নজরদারির অভাবে সেগুলো অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোতে পর্যাপ্ত সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ইতোমধ্যে স্থাপিত নিষক্রিয় সৌর প্যানেলগুলো সক্রিয়করণের জন্য বেলা জনস্বার্থে মামলাটি দায়ের করেছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টা শুধু সরকারি স্থাপনাগুলোর ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের আজকের এ নির্দেশ ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলেও বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকার সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে ইতোমধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট -ফাইল ছবি
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপনের জন্য একটি সময়ভিত্তিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় (বিদ্যুৎ বিভাগ), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (স্রেডা) ছয় মাসের মধ্যে আদেশ মেনে পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) জনস্বার্থে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী এবং বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে এর মধ্যে স্থাপিত সৌর প্যানেলগুলো সচল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রুলে বলা হয়, ঢাকা শহরের আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে স্থাপিত বিদ্যমান সৌর প্যানেলগুলো কার্যকরভাবে চালু রাখার ব্যর্থতা সংবিধান এবং প্রচলিত আইন, পরিকল্পনা ও নীতিমালার পরিপন্থী। এ কারণে কেন সেটি অসাংবিধানিক, আইন বহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
এছাড়াও সব বিদ্যমান সৌর প্যানেল সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করাসহ ঢাকা শহরের প্রতিটি ভবনের ছাদে পর্যাপ্ত ও কার্যকর সৌর প্যানেল স্থাপন করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
কনভেনশন, চুক্তি ও জাতীয় মহাপরিকল্পনায় প্রতিশ্রুত গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে বেলা’র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়নের জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌর শক্তি জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপনের ও কার্যকরভাবে সচল রাখার বিকল্প নেই।
বেলা জানায়, ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোতে সৌর প্যানেল স্থাপন করে শক্তি উৎপাদনকারী প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার মাধ্যমে ঢাকার বিদ্যুৎ চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ করা সম্ভব, যা কেন্দ্রীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাবে এবং ভোক্তাদের বিদ্যুৎখাতের ব্যয় কমাবে।
বেলা আরও জানায়, সৌর প্যানেল স্থাপনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তা স্থাপনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর মধ্যে যেসব ভবনে সৌর প্যানেল স্থাপিত হয়েছে যথাযথ নজরদারির অভাবে সেগুলো অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সীমিত করে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ঢাকা শহরের অব্যবহৃত ছাদগুলোতে পর্যাপ্ত সোলার প্যানেল স্থাপন এবং ইতোমধ্যে স্থাপিত নিষক্রিয় সৌর প্যানেলগুলো সক্রিয়করণের জন্য বেলা জনস্বার্থে মামলাটি দায়ের করেছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টা শুধু সরকারি স্থাপনাগুলোর ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের আজকের এ নির্দেশ ঢাকা শহরের সব আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য প্রযোজ্য হবে বলেও বেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।