মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪২৯ জন
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২৯ জন। এ নিয়ে জুন মাসের গত ৩০ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫,৯৫১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৯ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০,২৯৬ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪২ জন মারা গেছেন। এভাবে প্রতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ৬৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৫ জন, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২৫ জন ভর্তি আছে। ঢাকার মোট ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ২৪৩ জন ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু গবেষক ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিদবেদনে বলেছেন, এডিস মশা জমে থাকা স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এবং জীবন চক্র সম্পন্ন করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে,
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্দেশক ব্রেটো ইনডেক্স-২০ এর ওপরে।
তার মতে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী কোনো এলাকায় যদি এই সূচক ২০-এ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সেই এলাকায় ডেঙ্গুর মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা অত্যান্ত বেশি। বর্তমানে বরিশাল বিভাগের বরগুনা ও বরিশাল জেলার অবস্থা স্বতন্ত্র বিপজ্জনক।
গবেষণায় বলা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর ও মাদারীপুর জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে যে হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলছে, তা এখন মৌসুমি রোগ হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই। বরং এটি একটি জটিল ও বহুমাত্রিক জনস্বাস্থ’্য সংকটে রূপ নিয়েছে। ডেঙ্গু বিস্তারের পেছনে একাধিক কারণ আছে।
তার মধ্যে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন। অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজের ফলে তৈরি হচ্ছে মশার প্রজননের আদর্শ পরিবেশ। পানি সংকটের কারণে অনেকে এলাকায় বৃষ্টির পানি ড্রাম, বালতিসহ অন্যান্য পাত্রে ধরে রাখার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে মশার বাসস্থান।
মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়িয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪২৯ জন
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪২৯ জন। এ নিয়ে জুন মাসের গত ৩০ দিনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫,৯৫১ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৯ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১০,২৯৬ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪২ জন মারা গেছেন। এভাবে প্রতি মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সি ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও ভর্তি আছে ৬৯ জন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ২২ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে ৫ জন, শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৯ জন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জন, মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২৫ জন ভর্তি আছে। ঢাকার মোট ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ২৪৩ জন ভর্তি আছে।
ডেঙ্গু গবেষক ও কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিদবেদনে বলেছেন, এডিস মশা জমে থাকা স্বচ্ছ ও পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এবং জীবন চক্র সম্পন্ন করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে,
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব নির্দেশক ব্রেটো ইনডেক্স-২০ এর ওপরে।
তার মতে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী কোনো এলাকায় যদি এই সূচক ২০-এ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে সেই এলাকায় ডেঙ্গুর মতো রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা অত্যান্ত বেশি। বর্তমানে বরিশাল বিভাগের বরগুনা ও বরিশাল জেলার অবস্থা স্বতন্ত্র বিপজ্জনক।
গবেষণায় বলা যায়, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে বরগুনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, গাজীপুর, পিরোজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁদপুর ও মাদারীপুর জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে যে হারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলছে, তা এখন মৌসুমি রোগ হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই। বরং এটি একটি জটিল ও বহুমাত্রিক জনস্বাস্থ’্য সংকটে রূপ নিয়েছে। ডেঙ্গু বিস্তারের পেছনে একাধিক কারণ আছে।
তার মধ্যে অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলবায়ু পরিবর্তন, জনসংখ্যার ঘনত্ব ও নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন। অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণকাজের ফলে তৈরি হচ্ছে মশার প্রজননের আদর্শ পরিবেশ। পানি সংকটের কারণে অনেকে এলাকায় বৃষ্টির পানি ড্রাম, বালতিসহ অন্যান্য পাত্রে ধরে রাখার কারণে সৃষ্টি হচ্ছে মশার বাসস্থান।