জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। দলটির আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদের ভাষায়, ‘এনসিপির নেতারা নিজেদের সততার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এনসিপির তাদের অনেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে; যা জুলাই অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষার সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না।’ এই প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার একটি অংশ এনসিপির সঙ্গে নেই বলেও দাবি করেন তিনি। সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) ঢাকার বিজয়নগরে আপ বাংলাদেশের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক রাফে সালমান রিফাত, সদস্য সচিব আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ ও মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা ইরা প্রমুখ।
আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন সরকারপ্রধান (অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা)। কোনো বেসরকারি পর্যায় থেকে এটি কার্যকর করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর চব্বিশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো এত বড় আন্দোলন আর হয়নি। তাই এই আন্দোলনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার। এ জন্য যারাই জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন চান, তারা নিজেরা ঘোষণা না করে সরকার থেকেই তা আদায় করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে আমরা ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে আন্দোলন করবো।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘সরকার কেন নির্ধারিত সময় ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারেনি, সে ব্যাখ্যাও এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসাও নিশ্চিত করেনি।’ তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো ছেলে-মেয়ে ও নাতিপুতি কোটা নয়, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের বাস্তবতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করতে হবে।
* অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে কর্মসূচি*
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে আপ বাংলাদেশ। এর মধ্যে বিভাগভিত্তিক ৪ জুলাই বরিশাল, ৫ জুলাই রংপুর, ১১ জুলাই চট্টগ্রাম ও ১২ জুলাই সিলেট বিভাগে গণসংযোগ করা হবে। ১৫ জুলাই নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ স্মরণ, ১৬ জুলাই দোয়া ও শহীদদের স্মরণ, ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ স্মরণ ও খুলনা বিভাগীয় গণসংযোগ, ১৯ জুলাই রাজশাহী বিভাগীয় গণসংযোগ, ২০ জুলাই মেহেনতি মানুষের প্রতিরোধ স্মরণ, ২৫ জুলাই ময়মনসিংহ বিভাগীয় গণসংযোগ, ২৬ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় গণসংযোগ, ১ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ, ৩ আগস্ট হাসিনা পতনের এক দফা দাবি স্মরণ এবং ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন করা হবে।’
এছাড়াও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সংলাপের আয়োজন ও সারাদেশে সাধারণ সমর্থক বৃদ্ধি কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। দলটির আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদের ভাষায়, ‘এনসিপির নেতারা নিজেদের সততার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এনসিপির তাদের অনেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে; যা জুলাই অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষার সঙ্গে কোনোভাবেই যায় না।’ এই প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার একটি অংশ এনসিপির সঙ্গে নেই বলেও দাবি করেন তিনি। সোমবার,(৩০ জুন ২০২৫) ঢাকার বিজয়নগরে আপ বাংলাদেশের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আপ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক রাফে সালমান রিফাত, সদস্য সচিব আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ ও মুখপাত্র শাহরিন সুলতানা ইরা প্রমুখ।
আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, ‘আগামী ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করার যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন সরকারপ্রধান (অন্তর্বর্তী সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা)। কোনো বেসরকারি পর্যায় থেকে এটি কার্যকর করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর চব্বিশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো এত বড় আন্দোলন আর হয়নি। তাই এই আন্দোলনের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দরকার। এ জন্য যারাই জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন চান, তারা নিজেরা ঘোষণা না করে সরকার থেকেই তা আদায় করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে আমরা ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আবারও রাজপথে আন্দোলন করবো।’
আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক বলেন, ‘সরকার কেন নির্ধারিত সময় ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারেনি, সে ব্যাখ্যাও এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি। গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুচিকিৎসাও নিশ্চিত করেনি।’ তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো ছেলে-মেয়ে ও নাতিপুতি কোটা নয়, জুলাই আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহতদের বাস্তবতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করতে হবে।
* অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে কর্মসূচি*
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে আপ বাংলাদেশ। এর মধ্যে বিভাগভিত্তিক ৪ জুলাই বরিশাল, ৫ জুলাই রংপুর, ১১ জুলাই চট্টগ্রাম ও ১২ জুলাই সিলেট বিভাগে গণসংযোগ করা হবে। ১৫ জুলাই নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ স্মরণ, ১৬ জুলাই দোয়া ও শহীদদের স্মরণ, ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ স্মরণ ও খুলনা বিভাগীয় গণসংযোগ, ১৯ জুলাই রাজশাহী বিভাগীয় গণসংযোগ, ২০ জুলাই মেহেনতি মানুষের প্রতিরোধ স্মরণ, ২৫ জুলাই ময়মনসিংহ বিভাগীয় গণসংযোগ, ২৬ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় গণসংযোগ, ১ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিক্ষোভ, ৩ আগস্ট হাসিনা পতনের এক দফা দাবি স্মরণ এবং ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশ দিবস উদ্যাপন করা হবে।’
এছাড়াও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সংলাপের আয়োজন ও সারাদেশে সাধারণ সমর্থক বৃদ্ধি কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।