প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বাজারে। সরু, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম বাড়ার তথ্য পাওয়া যায় সরকারি সংস্থা টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবার,(৪ জুলাই ২০২৫) বাজারদরের তালিকায়। তালিকা অনুযায়ী, দাম বেড়েছে খোলা ময়দা, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, রসুন, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও ডিমেরও। তবে কমেছে খোলা পাম ও সুপার পামওয়েল, ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে অনেক পণ্যের দামই অপরিবর্তিত দেখা যায় তালিকায়।
কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ছে চাল
সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা
আমদানি না হলে দাম আরও বাড়বে, আশঙ্কা তাদের
সেই সঙ্গে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেল, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব সবজির দামই বেড়ে গেছে।
বোরোর মৌসুম মাত্র শেষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফসল ভালো হয়েছে, আবার ফসল নষ্টও হয়নি। তারপরও বাড়লো চালের দাম। কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বৃদ্ধি। তাদের ধারণা, বড় বড় কোম্পানি ধান মজুত করছে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে দাম আরও বাড়বে!
ঈদের পর থেকে বাড়ছে চালের দাম। প্রথমে শুধু সরু চালের দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে বেড়েছে মোটা ও মাঝারি চালের দাম। টিসিবির হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মাঝারি মানের ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ আর সরু চাল ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। টিসিবির তালিকায় আরও দেখা যায়, একমাস আগে সরু চাল বিক্রি হয়েছিল কেজি ৭২ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় ভালো মানের মিনিকেট চাল বাজার ও মানভেদে ৮৫ থেকে কেজি ৯০ টাকা, বিআর আটাশ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা আর মোটা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারিতে চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের কৃষি ভা-ারের স্বত্বাধিকারী আনিসুর সংবাদকে বলেন, ‘পাইকারিতে ২৫ কেজি ওজনের ১ বস্তা মোজাম্মেল ও ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ২১৫০ টাকা। কেজি ৮৬ টাকা। আর মনজুর মিনিকেটের বস্তা ১৯৫০ টাকা। কেজি ৭৮ টাকা। বিআর আটাশ কেজি ৫৮ টাকা, মোটা গুটি স্বর্ণ ৫৬ টাকা আর পাইজাম ৫৯ টাকা।
‘২৫ কেজির মিনিকেট চালের বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ (কেজিতে ৮ থেকে ১০.৫০) টাকা দাম বাড়ছে,’ জানান তিনি।
দাম বৃদ্ধির প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘সব সিন্ডিকেট। সরকার লোন দিছে আর বড় বড় ব্যবসায়ী ধান রিজার্ভ (মজুত) করে ফেলছে।’
ওই বাজারের খুচরায় চাল বিক্রেতা হাজী মো. মকবুল হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘কোনো কোনো চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ছে। চালের দাম আরও বাড়বো। তবে, যদি ইন্ডিয়া থেকে চাল আসে তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবো। তা না হলে চালের দাম ১০০ টাকা হইবো। গতবার তো ৯৫ টাকা পর্যন্ত গেছিলো।’
এর আগে ৯ জুন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দেশে এবার বোরো ধান ১৫ লাখ টন বেশি হয়েছে। আগামীতে চাল আমদানি করার প্রয়োজন নাও লাগতে পারে।’
সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় আর গোল বেগুন ১২০ টাকায়। এছাড়া উসতা-করোলা কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল-ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, জাতভেদে পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকায়। তবে আলু বিক্রি হচ্ছে কম দামে, কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মানভেদে টমেটো ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। গাজর
বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
শ্যামলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মামুন সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশে যত সাংবাদিক আছে যত মিডিয়া আছে সবাইরে একত্রে কইরা জিগামু এত তথ্য নিয়ে লাভ হয় কী? এতে জনগণের উপকার হইছে না ক্ষতি হইছে? এতে ক্ষতি হয়, উপকার হয় না। আগে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে । এর পরে আর কোনো কথা নাই। বড় বড় নেতারাই তো সিন্ডিকেট।’ ‘নেতা আরও বাড়ছে,’ বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রাহাত সংবাদকে জানান, ‘দুই-তিন ধরে সবজির দামটা বাড়ছে।’
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বাজারে। সরু, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম বাড়ার তথ্য পাওয়া যায় সরকারি সংস্থা টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবার,(৪ জুলাই ২০২৫) বাজারদরের তালিকায়। তালিকা অনুযায়ী, দাম বেড়েছে খোলা ময়দা, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, রসুন, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও ডিমেরও। তবে কমেছে খোলা পাম ও সুপার পামওয়েল, ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে অনেক পণ্যের দামই অপরিবর্তিত দেখা যায় তালিকায়।
কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ছে চাল
সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা
আমদানি না হলে দাম আরও বাড়বে, আশঙ্কা তাদের
সেই সঙ্গে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা গেল, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব সবজির দামই বেড়ে গেছে।
বোরোর মৌসুম মাত্র শেষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফসল ভালো হয়েছে, আবার ফসল নষ্টও হয়নি। তারপরও বাড়লো চালের দাম। কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূলত সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বৃদ্ধি। তাদের ধারণা, বড় বড় কোম্পানি ধান মজুত করছে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি না হলে দাম আরও বাড়বে!
ঈদের পর থেকে বাড়ছে চালের দাম। প্রথমে শুধু সরু চালের দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে বেড়েছে মোটা ও মাঝারি চালের দাম। টিসিবির হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মাঝারি মানের ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ আর সরু চাল ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। টিসিবির তালিকায় আরও দেখা যায়, একমাস আগে সরু চাল বিক্রি হয়েছিল কেজি ৭২ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি চাল ৫৩ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় ভালো মানের মিনিকেট চাল বাজার ও মানভেদে ৮৫ থেকে কেজি ৯০ টাকা, বিআর আটাশ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা আর মোটা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারিতে চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের কৃষি ভা-ারের স্বত্বাধিকারী আনিসুর সংবাদকে বলেন, ‘পাইকারিতে ২৫ কেজি ওজনের ১ বস্তা মোজাম্মেল ও ডায়মন্ড ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ২১৫০ টাকা। কেজি ৮৬ টাকা। আর মনজুর মিনিকেটের বস্তা ১৯৫০ টাকা। কেজি ৭৮ টাকা। বিআর আটাশ কেজি ৫৮ টাকা, মোটা গুটি স্বর্ণ ৫৬ টাকা আর পাইজাম ৫৯ টাকা।
‘২৫ কেজির মিনিকেট চালের বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ (কেজিতে ৮ থেকে ১০.৫০) টাকা দাম বাড়ছে,’ জানান তিনি।
দাম বৃদ্ধির প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘সব সিন্ডিকেট। সরকার লোন দিছে আর বড় বড় ব্যবসায়ী ধান রিজার্ভ (মজুত) করে ফেলছে।’
ওই বাজারের খুচরায় চাল বিক্রেতা হাজী মো. মকবুল হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘কোনো কোনো চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ছে। চালের দাম আরও বাড়বো। তবে, যদি ইন্ডিয়া থেকে চাল আসে তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবো। তা না হলে চালের দাম ১০০ টাকা হইবো। গতবার তো ৯৫ টাকা পর্যন্ত গেছিলো।’
এর আগে ৯ জুন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দেশে এবার বোরো ধান ১৫ লাখ টন বেশি হয়েছে। আগামীতে চাল আমদানি করার প্রয়োজন নাও লাগতে পারে।’
সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় আর গোল বেগুন ১২০ টাকায়। এছাড়া উসতা-করোলা কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল-ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, জাতভেদে পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকায়। তবে আলু বিক্রি হচ্ছে কম দামে, কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। মানভেদে টমেটো ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। গাজর
বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।
শ্যামলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মামুন সংবাদকে বলেন, ‘বাংলাদেশে যত সাংবাদিক আছে যত মিডিয়া আছে সবাইরে একত্রে কইরা জিগামু এত তথ্য নিয়ে লাভ হয় কী? এতে জনগণের উপকার হইছে না ক্ষতি হইছে? এতে ক্ষতি হয়, উপকার হয় না। আগে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে । এর পরে আর কোনো কথা নাই। বড় বড় নেতারাই তো সিন্ডিকেট।’ ‘নেতা আরও বাড়ছে,’ বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা রাহাত সংবাদকে জানান, ‘দুই-তিন ধরে সবজির দামটা বাড়ছে।’
বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা আর দেশি মুরগি ৬০০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়।