মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সেলগুলোর কাছে অর্থ পাঠাত বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশপ্রধান মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল।
শুক্রবার,(৪ জুলাই ২০২৫) কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে এই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে। তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন।’
খালিদ ইসমাইল জানান, এই গ্রুপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ প্রচার করছিল এবং অন্যান্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ করছিল।
তদন্তে জানা গেছে, ‘গেরাকান মিলিটান রাডিকাল বাংলাদেশ’ বা জিএমআরবি নামে পরিচিত এই সংগঠন সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক ৫০০ রিংগিত ফি আদায় করত। সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ ও আইএসের পক্ষে উগ্র প্রচারণা চালানোই ছিল তাদের কাজ।
এই গ্রুপটি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে আইএস সেলগুলোকে অর্থ পাঠাত বলে জানিয়েছেন খালিদ। যদিও মোট কত অর্থ পাঠানো হয়েছে, তা এখনও তদন্তাধীন।
গ্রুপটির হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম চ্যাটে ১০০ থেকে ১৫০ জন সদস্য ছিল বলে ধারণা করছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
এ ঘটনায় আটক ৩৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনও পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
খালিদ বলেন, ‘যাদের সম্পৃক্ততা কম, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর যাদের সম্পৃক্ততা বেশি, তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল বলেন, এই গ্রুপটি শুধু আইএস মতাদর্শ ছড়াতেই নয়, বরং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং বৈধ সরকার উৎখাতের পরিকল্পনাও করছিল।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, এই ঘটনায় মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই এ ধরনের অপরাধে জড়িত থাকে, তাহলে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘এ ধরনের নেতিবাচক ঘটনা বিদেশে ভিসা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে সেই প্রভাব কমিয়ে আনতে পারি।’
আটকদের বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় কী, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের করণীয় হচ্ছে যে দেখা, এ ধরনের বিশেষ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কিনা; যদি জড়িত হয়, তাদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটার চেষ্টা করা।’
রয়টার্স লিখেছে, মুসলিম-অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ২০১৬ সালে আইএসের এক হামলার পর থেকে শত শত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর এ ধরনের গ্রেপ্তারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
শিল্প, খামার ও নির্মাণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়া ব্যাপকভাবে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে পাড়ি জমান।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশি সিরিয়া ও বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সেলগুলোর কাছে অর্থ পাঠাত বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশপ্রধান মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল।
শুক্রবার,(৪ জুলাই ২০২৫) কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের এপ্রিল থেকে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানে এই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে। তারা মূলত কারখানা, নির্মাণ ও সেবা খাতে কর্মরত ছিলেন।’
খালিদ ইসমাইল জানান, এই গ্রুপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে ‘উগ্রবাদী মতাদর্শ’ প্রচার করছিল এবং অন্যান্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ করছিল।
তদন্তে জানা গেছে, ‘গেরাকান মিলিটান রাডিকাল বাংলাদেশ’ বা জিএমআরবি নামে পরিচিত এই সংগঠন সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক ৫০০ রিংগিত ফি আদায় করত। সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ ও আইএসের পক্ষে উগ্র প্রচারণা চালানোই ছিল তাদের কাজ।
এই গ্রুপটি আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার সার্ভিস ও ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে আইএস সেলগুলোকে অর্থ পাঠাত বলে জানিয়েছেন খালিদ। যদিও মোট কত অর্থ পাঠানো হয়েছে, তা এখনও তদন্তাধীন।
গ্রুপটির হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম চ্যাটে ১০০ থেকে ১৫০ জন সদস্য ছিল বলে ধারণা করছে মালয়েশিয়া পুলিশ।
এ ঘটনায় আটক ৩৬ জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনও পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
খালিদ বলেন, ‘যাদের সম্পৃক্ততা কম, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর যাদের সম্পৃক্ততা বেশি, তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল বলেন, এই গ্রুপটি শুধু আইএস মতাদর্শ ছড়াতেই নয়, বরং তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং বৈধ সরকার উৎখাতের পরিকল্পনাও করছিল।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, এই ঘটনায় মালয়েশিয়া সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি তারা সত্যিই এ ধরনের অপরাধে জড়িত থাকে, তাহলে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘এ ধরনের নেতিবাচক ঘটনা বিদেশে ভিসা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে সেই প্রভাব কমিয়ে আনতে পারি।’
আটকদের বিষয়ে বাংলাদেশের করণীয় কী, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের করণীয় হচ্ছে যে দেখা, এ ধরনের বিশেষ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কিনা; যদি জড়িত হয়, তাদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সেটার চেষ্টা করা।’
রয়টার্স লিখেছে, মুসলিম-অধ্যুষিত মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ২০১৬ সালে আইএসের এক হামলার পর থেকে শত শত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক অভিযান জোরদার হওয়ার পর এ ধরনের গ্রেপ্তারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
শিল্প, খামার ও নির্মাণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়া ব্যাপকভাবে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে পাড়ি জমান।