রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে কাটা গাছ। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে আপাতত স্থগিত হয় প্রশাসনের গাছ কাটার উদ্যোগ-সংবাদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ফলন্ত দুটি কাঁঠাল গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে হল প্রশাসন। শুক্রবার,(৪ জুলাই ২০২৫) সকালে গাছ দুটি কাটার কাজ শুরু হলে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হলের সামনের দুটি কাঁঠাল গাছের মধ্যে একটির অর্ধেক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি অংশ কাটার প্রক্রিয়া শুরু হলে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দেন। ফলে গাছটি অর্ধ-কাটা অবস্থায় থাকে। এছাড়া অন্য গাছটিরও কিছু ডালপালা কাটা অবস্থায় দেখা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাবি গ্রীন ভয়েসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব জানান, আমি পাশের আমীর আলী হলে থাকি। সকালে বিকট শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখতে পায় হলের ফল ধরা কাঁঠাল গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে, যেখানে অনেক পাখির বাসাও ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান গাছগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর হেলে পড়েছে এবং যেকোনো সময় ছিঁড়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর করা একটি অনুমতিপত্রও দেখান। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, বিদ্যুতের তার গাছগুলো থেকে যথেষ্ট দূরে অবস্থিত। এখন বর্ষার শেষ দিকে, ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ার তেমন কোনো আশঙ্কাও নেই।’ পরিবেশের জন্য গাছের গুরুত্ব তুলে ধরে গ্রীন ভয়েসের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘গরমের তীব্রতা কমাতে এই গাছগুলো আমাদের জন্য কতটা জরুরি, তা আমরা এখানকার ছাত্ররা জানি। এই গাছগুলো কেটে ফেলা হলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, যা আমাদের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলবে। ঝড়ের অজুহাতে গাছ কাটা হচ্ছে, কিন্তু তার আগেই হয়তো আমরা অক্সিজেনের অভাবে মারা যাব।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. আতাউল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি এক ঝড়ে হলের একটি কাঁঠাল গাছের ডাল বিদ্যুতের তারের ওপর ভেঙে পড়েছিল, যা ছাত্রদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিদ্যুৎ অফিসের পরামর্শ এবং বর্ষা মৌসুমে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গাছগুলো কাটার জন্য আবেদন করি এবং অনুমতি সাপেক্ষেই কাজ শুরু হয়।’ তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আপাতত গাছ কাটার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আতাউল্লাহ। তিনি বলেন, একটি গাছের হেলে পড়া অংশ পর কিছু ছাত্র বাকি গাছ না কাটার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আপাতত গাছ কাটার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে কাটা গাছ। পরে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে আপাতত স্থগিত হয় প্রশাসনের গাছ কাটার উদ্যোগ-সংবাদ
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ফলন্ত দুটি কাঁঠাল গাছ কাটার উদ্যোগ নিয়েছে হল প্রশাসন। শুক্রবার,(৪ জুলাই ২০২৫) সকালে গাছ দুটি কাটার কাজ শুরু হলে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হলের সামনের দুটি কাঁঠাল গাছের মধ্যে একটির অর্ধেক অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। বাকি অংশ কাটার প্রক্রিয়া শুরু হলে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাধা দেন। ফলে গাছটি অর্ধ-কাটা অবস্থায় থাকে। এছাড়া অন্য গাছটিরও কিছু ডালপালা কাটা অবস্থায় দেখা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাবি গ্রীন ভয়েসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফোকলোর বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব জানান, আমি পাশের আমীর আলী হলে থাকি। সকালে বিকট শব্দে আমার ঘুম ভাঙে। বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখতে পায় হলের ফল ধরা কাঁঠাল গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে, যেখানে অনেক পাখির বাসাও ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে কর্মরত ব্যক্তিরা জানান গাছগুলো বিদ্যুতের তারের ওপর হেলে পড়েছে এবং যেকোনো সময় ছিঁড়ে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তারা প্রাধ্যক্ষের স্বাক্ষর করা একটি অনুমতিপত্রও দেখান। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, বিদ্যুতের তার গাছগুলো থেকে যথেষ্ট দূরে অবস্থিত। এখন বর্ষার শেষ দিকে, ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ার তেমন কোনো আশঙ্কাও নেই।’ পরিবেশের জন্য গাছের গুরুত্ব তুলে ধরে গ্রীন ভয়েসের এই সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘গরমের তীব্রতা কমাতে এই গাছগুলো আমাদের জন্য কতটা জরুরি, তা আমরা এখানকার ছাত্ররা জানি। এই গাছগুলো কেটে ফেলা হলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে, যা আমাদের জীবনযাত্রাকে অসহনীয় করে তুলবে। ঝড়ের অজুহাতে গাছ কাটা হচ্ছে, কিন্তু তার আগেই হয়তো আমরা অক্সিজেনের অভাবে মারা যাব।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ মো. আতাউল্লাহ বলেন, ‘সম্প্রতি এক ঝড়ে হলের একটি কাঁঠাল গাছের ডাল বিদ্যুতের তারের ওপর ভেঙে পড়েছিল, যা ছাত্রদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে বেশ বেগ পেতে হয়। বিদ্যুৎ অফিসের পরামর্শ এবং বর্ষা মৌসুমে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গাছগুলো কাটার জন্য আবেদন করি এবং অনুমতি সাপেক্ষেই কাজ শুরু হয়।’ তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আপাতত গাছ কাটার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আতাউল্লাহ। তিনি বলেন, একটি গাছের হেলে পড়া অংশ পর কিছু ছাত্র বাকি গাছ না কাটার জন্য আমাকে অনুরোধ করে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আপাতত গাছ কাটার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’