সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে আজকের মধ্যে প্রত্যাহারের যে দাবি জানিয়েছেন, সে দাবিতে এখনও অনড় আছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, আরিফুল হক কেন হঠাৎ এই দাবি জানিয়েছেন তা তিনি জানেন না।
গত বুধবার সকালে সিলেট নগরের আদালত চত্বরে সমাবেশ করে ডিসি মুরাদকে প্রশাসনিকভাবে ‘অদক্ষ ও ব্যর্থ’ আখ্যা দিয়ে করে তার প্রত্যাহার দাবি করেন আরিফ। ওই সমাবেশে পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া, স্টোন ক্রাশার মিলের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ, জালালাবাদ চক্ষু
হাসপাতালের মার্কেট ভাঙা বন্ধসহ আরিফ বিভিন্ন দাবি জানালেও নিজের বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশজুড়ে আরিফ মূলত জেলা প্রশাসকের প্রতি বিষোদগার করেন। এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘কালকের (গত বুধবারের) সমাবেশের পর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে আমি ‘যেটা কইছি, কইছিই’ (যা বলছি, বলছিই)। এই ডিসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। তার কারণে সিলেটের সব মানুষ অতিষ্ঠ।’’ এদিকে আরিফুল হক চৌধুরীর গত বুধবারের সমাবেশের বক্তব্য প্রসঙ্গে ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, তিনি কেন এমনটি বলেছেন তা আমি জানি না। এ ব্যাপারে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ডিসি বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। সরকারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতেই পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলন ও অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত আছে। আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সরকারের কাজ নিজের গতিতেই চলবে।’
এর আগে গত বুধবার সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পায়তারা যেটা করছেন, দু’একজন নেতাকে বশ করে আপনি মনে করবেন না পার পেয়ে যাবেন। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। তিনি বলেন, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করার জন্য কাজ করছেন। জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে দাড় করাচ্ছেন। আর না হলে এসব কাজ (স্টোন ক্রাশার মিল ও কিছু স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান) করার আগে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বসতেন।
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে আজকের মধ্যে প্রত্যাহারের যে দাবি জানিয়েছেন, সে দাবিতে এখনও অনড় আছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী।
অন্যদিকে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানিয়েছেন, আরিফুল হক কেন হঠাৎ এই দাবি জানিয়েছেন তা তিনি জানেন না।
গত বুধবার সকালে সিলেট নগরের আদালত চত্বরে সমাবেশ করে ডিসি মুরাদকে প্রশাসনিকভাবে ‘অদক্ষ ও ব্যর্থ’ আখ্যা দিয়ে করে তার প্রত্যাহার দাবি করেন আরিফ। ওই সমাবেশে পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া, স্টোন ক্রাশার মিলের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ, জালালাবাদ চক্ষু
হাসপাতালের মার্কেট ভাঙা বন্ধসহ আরিফ বিভিন্ন দাবি জানালেও নিজের বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশজুড়ে আরিফ মূলত জেলা প্রশাসকের প্রতি বিষোদগার করেন। এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘‘কালকের (গত বুধবারের) সমাবেশের পর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে আমি ‘যেটা কইছি, কইছিই’ (যা বলছি, বলছিই)। এই ডিসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। তার কারণে সিলেটের সব মানুষ অতিষ্ঠ।’’ এদিকে আরিফুল হক চৌধুরীর গত বুধবারের সমাবেশের বক্তব্য প্রসঙ্গে ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, তিনি কেন এমনটি বলেছেন তা আমি জানি না। এ ব্যাপারে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। ডিসি বলেন, ‘আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। সরকারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতেই পাথর ভাঙার যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। পাথর উত্তোলন ও অবৈধ স্টোন ক্রাশার মেশিনের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত আছে। আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সরকারের কাজ নিজের গতিতেই চলবে।’
এর আগে গত বুধবার সমাবেশে ডিসির উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসক, আপনি যদি মনে করেন, আমাদের মধ্যে বিভাজন করার পায়তারা যেটা করছেন, দু’একজন নেতাকে বশ করে আপনি মনে করবেন না পার পেয়ে যাবেন। আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যারা যাবে তারা জেলা প্রশাসকের দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। তিনি বলেন, এই জেলা প্রশাসক বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করার জন্য কাজ করছেন। জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে দাড় করাচ্ছেন। আর না হলে এসব কাজ (স্টোন ক্রাশার মিল ও কিছু স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান) করার আগে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বসতেন।