যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা খুবই ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। এমনও হতে পারে, বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে বেশিও সুবিধা পেতে পারে।
৯০ দিনের শুল্কারোপ স্থগিতের মেয়াদ শেষ
হবে ৯ জুলাই
বাংলাদেশকে এলডিসি হিসেবে ভাবতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, এমন ইঙ্গিত এসেছে
এটা হলে বাংলাদেশের ওপর কোনো শুল্কারোপই হবে না
৯ জুলাই হবে চূড়ান্ত আলোচনা
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে। গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা অর্থাৎ বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ। শুল্ক আরোপের কার্যকরের তারিখ ছিল গত ৯ এপ্রিল। তবে ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্কহারের ঘোষণাও তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে। স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে ৯ জুলাই। তবে আলোচনার মধ্যে ইতিবাচক কিছু পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এই আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য একাধিক ইতিবাচক সাড়া আছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘তারা আমাদের দুটি ইতিবাচক সুবিধা দেয়ার কথা ভাবছে। এর একটি হলো তারা বাংলাদেশকে এলডিসি হিসেবে ভাবছে। যদি এটা হয়, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রতি শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা বা বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা অব্যাহত রাখার পক্ষেই ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা হলে এমনও হতে পারে আমাদের রিসিপোরক্যাল শুল্ক চুক্তি করা নাও লাগতে পারে।’
আরেকটা ইতিবাচক দিক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, মিটিং হবে ৯ তারিখ। আর এর মধ্যে যদি আমরা অ্যানেক্সচারগুলো হাতে না পাই এবং তার ফিডব্যাক দিতে না পারি তাহলে তো শুল্কারোপ হয়ে যেতে পারে। তখন তারা বলেছে, আমরা তেমনটা আশা করি না। অর্থাৎ আমাদের সিদ্ধান্ত একটু দেরিতে হলেও সমস্যা হবে না। আলোচনা খুব ইতিবাচক হিসেবেই এগোচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে যখন তারা আমাদের লিখিত চুক্তির খসড়া পাঠাতে বলল তখন আমরা তা পাঠালাম। এরপর তাদের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। আমার সঙ্গে আলোচনা হলো ১৭ জুন এবং আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হলো ২৬ জুন। এরপর গত তিন তারিখে আবার মিটিং হলো নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে। এই মিটিংয়ে তারা কিছু অ্যানেক্সচার (সংযুক্তি) দিলো। আসলে এই অ্যানেক্সচারগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলোর মধ্যেই বলা থাকে শুল্ক সুবিধা কতটুকু দিব? কোন জায়গায় কতটুকু ছাড় দিবো, এরপর আমাদের ভ্যালু এডিশান কতটুকু হবে ইত্যাদি। তাদের প্রথম দিকে দেয়া অ্যানেক্সচারগুলো এখনও আমরা হাতে পাইনি। তারা বলেছে, আগামী ৯ তারিখের মিটিংয়ে সেগুলো হ্যান্ডওভার করবে।’
তাদের সেই সংযুক্তিগুলো নিয়ে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকালই আমার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল মিটিংয়ে অংশ নেয়ার জন্য। কিন্তু তারা যে সংযুক্তিগুলো দিবে সেগুলো নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন, আমরা কোনটায় কতটুকু ছাড় দিবো ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার এনবিআর এর সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। কারণ তারা ছাড় দিতে না পারলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে কথা দিতে পারবো না। যদি তারা ৯ বা ১০ তারিখে তা হ্যান্ডওভার করে তাহলে সেগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাবো।’
শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই প্রথম দফায় বিশ্বের ১২টি দেশের জন্য নতুন শুল্ক হার নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
কোন কোন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, জানা যাবে আজ। এই চিঠিতে যত পরিমাণ শুল্ক ধরা হয়েছে, সেটিই মানতে হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এটি গ্রহণ করা নয়তো ছেড়ে দেয়া প্রস্তাব।’
রয়টার্স এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) নিউজার্সিতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বিমানে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন। তখন ট্রাম্প জানান, ১২টি দেশের জন্য শুল্ক নির্ধারণ হয়ে গেছে। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, গতকাল শুক্রবার শুল্কসংক্রান্ত চিঠিগুলো প্রকাশ করা হবে। তবে এখন এই তারিখ থেকে পিছিয়ে এসেছে মার্কিন সরকার।
চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অনেক দেশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। এ কারণে এসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে পারস্পরিক শুল্ক দিতে হবে।
সব দেশের পণ্যের জন্য সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ এবং কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার এমন সিদ্ধান্তে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে পড়ে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সব দেশের জন্য শুল্ক সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ রেখে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। যেটি আগামী ৯ জুলাই শেষ হয়ে যাবে। ট্রাম্প সতর্কতা দিয়েছেন, এবার কিছু দেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ৭০ শতাংশও হতে পারে। যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে ১২টি দেশের শুল্ক চিঠিতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন সেগুলোর জন্য আলাদা আলাদা শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ কিছু দেশের ওপর বেশি, কারও ওপর কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক নিয়ে সব দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের সঙ্গে আলোচনায় ধাক্কা খেয়েছে।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা খুবই ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। এমনও হতে পারে, বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়ে বেশিও সুবিধা পেতে পারে।
৯০ দিনের শুল্কারোপ স্থগিতের মেয়াদ শেষ
হবে ৯ জুলাই
বাংলাদেশকে এলডিসি হিসেবে ভাবতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, এমন ইঙ্গিত এসেছে
এটা হলে বাংলাদেশের ওপর কোনো শুল্কারোপই হবে না
৯ জুলাই হবে চূড়ান্ত আলোচনা
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করে গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে। গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ ট্রাম্প প্রশাসন পাল্টা অর্থাৎ বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়। এতে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ। শুল্ক আরোপের কার্যকরের তারিখ ছিল গত ৯ এপ্রিল। তবে ওই দিনই যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের মতো বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা নতুন শুল্কহারের ঘোষণাও তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখে। স্থগিতের মেয়াদ শেষ হবে ৯ জুলাই। তবে আলোচনার মধ্যে ইতিবাচক কিছু পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এই আলোচনায় বাংলাদেশের জন্য একাধিক ইতিবাচক সাড়া আছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘তারা আমাদের দুটি ইতিবাচক সুবিধা দেয়ার কথা ভাবছে। এর একটি হলো তারা বাংলাদেশকে এলডিসি হিসেবে ভাবছে। যদি এটা হয়, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রতি শুল্কমুক্ত বাণিজ্যসুবিধা বা বিশেষ অর্থনৈতিক সুবিধা অব্যাহত রাখার পক্ষেই ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা হলে এমনও হতে পারে আমাদের রিসিপোরক্যাল শুল্ক চুক্তি করা নাও লাগতে পারে।’
আরেকটা ইতিবাচক দিক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, মিটিং হবে ৯ তারিখ। আর এর মধ্যে যদি আমরা অ্যানেক্সচারগুলো হাতে না পাই এবং তার ফিডব্যাক দিতে না পারি তাহলে তো শুল্কারোপ হয়ে যেতে পারে। তখন তারা বলেছে, আমরা তেমনটা আশা করি না। অর্থাৎ আমাদের সিদ্ধান্ত একটু দেরিতে হলেও সমস্যা হবে না। আলোচনা খুব ইতিবাচক হিসেবেই এগোচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে যখন তারা আমাদের লিখিত চুক্তির খসড়া পাঠাতে বলল তখন আমরা তা পাঠালাম। এরপর তাদের সঙ্গে আমাদের কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। আমার সঙ্গে আলোচনা হলো ১৭ জুন এবং আমাদের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হলো ২৬ জুন। এরপর গত তিন তারিখে আবার মিটিং হলো নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে। এই মিটিংয়ে তারা কিছু অ্যানেক্সচার (সংযুক্তি) দিলো। আসলে এই অ্যানেক্সচারগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলোর মধ্যেই বলা থাকে শুল্ক সুবিধা কতটুকু দিব? কোন জায়গায় কতটুকু ছাড় দিবো, এরপর আমাদের ভ্যালু এডিশান কতটুকু হবে ইত্যাদি। তাদের প্রথম দিকে দেয়া অ্যানেক্সচারগুলো এখনও আমরা হাতে পাইনি। তারা বলেছে, আগামী ৯ তারিখের মিটিংয়ে সেগুলো হ্যান্ডওভার করবে।’
তাদের সেই সংযুক্তিগুলো নিয়ে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আগামীকালই আমার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল মিটিংয়ে অংশ নেয়ার জন্য। কিন্তু তারা যে সংযুক্তিগুলো দিবে সেগুলো নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন, আমরা কোনটায় কতটুকু ছাড় দিবো ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার এনবিআর এর সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। কারণ তারা ছাড় দিতে না পারলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে কথা দিতে পারবো না। যদি তারা ৯ বা ১০ তারিখে তা হ্যান্ডওভার করে তাহলে সেগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাবো।’
শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যেই প্রথম দফায় বিশ্বের ১২টি দেশের জন্য নতুন শুল্ক হার নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
কোন কোন দেশের পণ্যে নতুন শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, জানা যাবে আজ। এই চিঠিতে যত পরিমাণ শুল্ক ধরা হয়েছে, সেটিই মানতে হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘এটি গ্রহণ করা নয়তো ছেড়ে দেয়া প্রস্তাব।’
রয়টার্স এর প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) নিউজার্সিতে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা বিমানে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন। তখন ট্রাম্প জানান, ১২টি দেশের জন্য শুল্ক নির্ধারণ হয়ে গেছে। এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, গতকাল শুক্রবার শুল্কসংক্রান্ত চিঠিগুলো প্রকাশ করা হবে। তবে এখন এই তারিখ থেকে পিছিয়ে এসেছে মার্কিন সরকার।
চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর অনেক দেশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করে রেখেছে। এ কারণে এসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে পারস্পরিক শুল্ক দিতে হবে।
সব দেশের পণ্যের জন্য সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ এবং কিছু কিছু দেশের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার এমন সিদ্ধান্তে বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে পড়ে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সব দেশের জন্য শুল্ক সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ রেখে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন ট্রাম্প। যেটি আগামী ৯ জুলাই শেষ হয়ে যাবে। ট্রাম্প সতর্কতা দিয়েছেন, এবার কিছু দেশের ক্ষেত্রে শুল্ক ৭০ শতাংশও হতে পারে। যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে ১২টি দেশের শুল্ক চিঠিতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন সেগুলোর জন্য আলাদা আলাদা শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ কিছু দেশের ওপর বেশি, কারও ওপর কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক নিয়ে সব দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানের সঙ্গে আলোচনায় ধাক্কা খেয়েছে।