সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) সকাল ৯টায় গুলশানে বাসভবনে তার মৃত্যু হয় জানিয়েছেন তার শ্যালক আশফাক কাদেরী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি সকাল ৯টায় বাসায় মারা যান। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা চিকিৎসক ফজলে রাব্বি খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে এ টি এম শামসুল হুদাকে আমাদের হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।’
নবম সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেয়া শামসুল হুদা স্ত্রী ও মেয়ে রেখে গেছেন। তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর জানাজা ও দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আশফাক কাদেরী। তিনি জানান, শামসুল হুদার মৃতদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক আমলা এটিএম শামসুল হুদা সিইসির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি কাজ করেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী হন মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন।
ভোটের আগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় ওই কমিশনের সময়েই। সংলাপ করে নির্বাচনী আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন করে শামসুল হুদার কমিশন। ৮৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসন পায়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে। সংবিধানে যোগ হয় ৫ সদস্যের ইসির গঠনের নিয়ম।
এ টি এম শামসুল হুদা ১৯৪২ সালে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় জন্ম নেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস থেকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি বাগেরহাট মহকুমার প্রশাসক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও ব্যাংকিং বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন।
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) সকাল ৯টায় গুলশানে বাসভবনে তার মৃত্যু হয় জানিয়েছেন তার শ্যালক আশফাক কাদেরী। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভগ্নিপতি সকাল ৯টায় বাসায় মারা যান। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ইউনাইটেড হাসপাতালের কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা চিকিৎসক ফজলে রাব্বি খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে এ টি এম শামসুল হুদাকে আমাদের হাসপাতালে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।’
নবম সংসদ নির্বাচনে নেতৃত্ব দেয়া শামসুল হুদা স্ত্রী ও মেয়ে রেখে গেছেন। তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর জানাজা ও দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আশফাক কাদেরী। তিনি জানান, শামসুল হুদার মৃতদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সাবেক আমলা এটিএম শামসুল হুদা সিইসির দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। তিনি কাজ করেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। কমিশনার হিসেবে তার সঙ্গী হন মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেন।
ভোটের আগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন হয় ওই কমিশনের সময়েই। সংলাপ করে নির্বাচনী আইন সংস্কার করা হয়। চালু হয় রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নিয়ম ও ইভিএম।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন করে শামসুল হুদার কমিশন। ৮৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৩০, বিএনপি ৩০ ও জাতীয় পার্টি ২৭ আসন পায়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে। সংবিধানে যোগ হয় ৫ সদস্যের ইসির গঠনের নিয়ম।
এ টি এম শামসুল হুদা ১৯৪২ সালে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় জন্ম নেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস থেকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। তিনি বাগেরহাট মহকুমার প্রশাসক, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও ব্যাংকিং বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন।
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।