পঞ্চগড় সদর উপজেলার দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী- বিএসএফ। এর মধ্যে পাঁচজন শিশু, পাঁচ নারী এবং পাঁচজন পুরুষ।
শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) ভোরে উপজেলার অমরখানা এবং সিংরোড সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি তাদের আটক করে বলে জানান পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান।
বিজিবি জানায়, ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন চাকলাহাট ইউনিয়নের সিংরোড বিওপি সীমান্তের খুনিয়াপাড়ায় ১০ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। একই সময় অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা বিওপির সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও পাঁচজনকে পুশ ইন করা হয়। সকালে বোর্ডবাজার এবং খুনিয়াপাড়া থেকে তাদের আটক করে বিজিবির টহল দল।
অন্যদিকে অমরখানা বিওপির এলাকা দিয়ে ভারতের বালাচান ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেন। পরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ ইন’ হওয়া ১৫ জনকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি কি-না তা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নিউপাল্লাথল এলাকার বাতামোড়াল সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয়
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি জানান, শনিবার (৫ জুলাই) সকালে সীমান্তে ঘোরাঘুরির সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়ন গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, সকালে বড়লেখা উপজেলার বাতামোড়াল সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা ১০ জন অপরিচিত ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। পরে তাদের আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়। আটকদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী।
গত এক থেকে ছয় মাস আগে সিলেট ও কুমিল্লার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলো জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা জানিয়েছে।
দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থানের পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের বড়লেখা উপজেলার বাতামোড়াল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।
আটকৃতরা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা বলে বিজিবি কর্মকর্তারা গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
* ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আবারো ৬ জনকে বিএসএফের ‘পুশ ইন’
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে আবারো ৬ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ৪২ ব্যটেলিয়নের সদস্যরা।
শনিবার (৫ জুলাই) ভোর রাত আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা সীমান্তে পুশইন এর এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানায়, শনিবার ভোর রাতে জলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ৩৩৬/৬-এস সীমানা পিলার বরাবর ভারতের অভ্যন্তর হতে ছয় জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করে বিএসএফ। এসময় দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের (৪২ বিজিবি) টহল দল তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা প্রায় বছর খানেক আগে দালালের সহায়তায় কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। আট থেকে দশ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে এবং গত চার জুলাই সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর রাতে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ ইন করে।
আটককৃতদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানায় ৪২ বিজিবি। ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ-এর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
পঞ্চগড় সদর উপজেলার দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী- বিএসএফ। এর মধ্যে পাঁচজন শিশু, পাঁচ নারী এবং পাঁচজন পুরুষ।
শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) ভোরে উপজেলার অমরখানা এবং সিংরোড সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি তাদের আটক করে বলে জানান পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান।
বিজিবি জানায়, ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন চাকলাহাট ইউনিয়নের সিংরোড বিওপি সীমান্তের খুনিয়াপাড়ায় ১০ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। একই সময় অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা বিওপির সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও পাঁচজনকে পুশ ইন করা হয়। সকালে বোর্ডবাজার এবং খুনিয়াপাড়া থেকে তাদের আটক করে বিজিবির টহল দল।
অন্যদিকে অমরখানা বিওপির এলাকা দিয়ে ভারতের বালাচান ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেন। পরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, সীমান্ত দিয়ে ‘পুশ ইন’ হওয়া ১৫ জনকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি কি-না তা পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নিউপাল্লাথল এলাকার বাতামোড়াল সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে ভারতীয়
সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি জানান, শনিবার (৫ জুলাই) সকালে সীমান্তে ঘোরাঘুরির সময় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়ন গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, সকালে বড়লেখা উপজেলার বাতামোড়াল সীমান্তের পাহাড়ি এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা ১০ জন অপরিচিত ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। পরে তাদের আটক করে হেফাজতে নেয়া হয়। আটকদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী।
গত এক থেকে ছয় মাস আগে সিলেট ও কুমিল্লার সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলো জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা জানিয়েছে।
দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থানের পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের বড়লেখা উপজেলার বাতামোড়াল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে।
আটকৃতরা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরিশাল জেলার বাসিন্দা বলে বিজিবি কর্মকর্তারা গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
* ঠাকুরগাঁও সীমান্তে আবারো ৬ জনকে বিএসএফের ‘পুশ ইন’
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে আবারো ৬ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)র ৪২ ব্যটেলিয়নের সদস্যরা।
শনিবার (৫ জুলাই) ভোর রাত আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা সীমান্তে পুশইন এর এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানায়, শনিবার ভোর রাতে জলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ৩৩৬/৬-এস সীমানা পিলার বরাবর ভারতের অভ্যন্তর হতে ছয় জনকে বাংলাদেশে পুশ ইন করে বিএসএফ। এসময় দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের (৪২ বিজিবি) টহল দল তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা প্রায় বছর খানেক আগে দালালের সহায়তায় কাজের সন্ধানে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তারা বসবাস করছিলেন। আট থেকে দশ দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাদের আটক করে এবং গত চার জুলাই সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর রাতে বিএসএফ তাদের বাংলাদেশে পুশ ইন করে।
আটককৃতদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানায় ৪২ বিজিবি। ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজিবি ও বিএসএফ-এর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।