১০ মহররম, আশুরার দিনে কারবালার শোক স্মরণে রাজধানী ঢাকায় তাজিয়া মিছিল করছে শিয়া মুসলমানরা। রোববার সকালে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক হোসাইনী দালান থেকে শুরু হয় প্রধান মিছিলটি, যাতে অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ।
সকাল ১০টায় ইমামবাড়া প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হোসাইনী দালান রোড, বকশীবাজার, আজিমপুর, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত হয়ে ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে প্রতীকী ‘কারবালা’ প্রান্তে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শোকের প্রতীক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের পরনে ছিল কালো পোশাক, মাথায় কালো ফেট্টি এবং হাতে লাল-কালো-সোনালি রঙের ঝালর দেওয়া পতাকা। মিছিলে ছিল ইমাম হোসেনের (রা.) প্রতীকী কফিন ও প্রতীকী ঘোড়া।
২০১৫ সালে হোসাইনী দালানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। এবারও মিছিলে লাঠি, ছুরি, বল্লম, তলোয়ার বা ধারালো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ছিল। পুরো মিছিলজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছিল কঠোর নজরদারি।
১০ মহররম মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে কারবালায় শহীদ হন। শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা দিনটি শোক ও ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করে থাকেন।
৪৯ বছর ধরে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিচ্ছেন হাজারীবাগের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, “আমার বয়স যখন ১৪ দিন, তখন থেকেই মা-বাবার সঙ্গে এই মিছিলে আসছি। যত বিপদ-আপদই হোক, একবারও বাদ দিইনি।”
সেতারা বেগম, যিনি বলেন, “আমার পয়দা হইছে দালানে। ছোট থেকে আশুরায় এখানে থাকি। বিয়ের পরও সপ্তাহে একবার না হয় পনের দিনে একবার আসি। মাওলা আমাদের সব।”
তাজিয়া মিছিলে শুধু শিয়া মুসলমানরাই নয়, অংশ নেন সনাতন ধর্মের মানুষও। যতীন্দ্র দাশ, যিনি ৫০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে মিছিলে আসেন, বলেন, “আমাদের মানত ছিল, তাই আসি। বাবা-মা আমাকে নিয়ে আসতেন, এখন আমি মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে আসি।”
শুধু হোসাইনী দালান নয়, বরং বড় কাটরা, বিবিকা রওজা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আশুরার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা।
কোভিড মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সাল থেকে পুনরায় তাজিয়া মিছিলে অনুমতি দেয় সরকার। এবারও ছিল ঐতিহ্য, শোক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মিশ্র সমারোহ।
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
১০ মহররম, আশুরার দিনে কারবালার শোক স্মরণে রাজধানী ঢাকায় তাজিয়া মিছিল করছে শিয়া মুসলমানরা। রোববার সকালে পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক হোসাইনী দালান থেকে শুরু হয় প্রধান মিছিলটি, যাতে অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ।
সকাল ১০টায় ইমামবাড়া প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে হোসাইনী দালান রোড, বকশীবাজার, আজিমপুর, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত হয়ে ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে প্রতীকী ‘কারবালা’ প্রান্তে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
শোকের প্রতীক হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের পরনে ছিল কালো পোশাক, মাথায় কালো ফেট্টি এবং হাতে লাল-কালো-সোনালি রঙের ঝালর দেওয়া পতাকা। মিছিলে ছিল ইমাম হোসেনের (রা.) প্রতীকী কফিন ও প্রতীকী ঘোড়া।
২০১৫ সালে হোসাইনী দালানে জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকে আশুরা উপলক্ষে নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। এবারও মিছিলে লাঠি, ছুরি, বল্লম, তলোয়ার বা ধারালো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ছিল। পুরো মিছিলজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছিল কঠোর নজরদারি।
১০ মহররম মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক। হিজরি ৬১ সনের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে কারবালায় শহীদ হন। শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা দিনটি শোক ও ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করে থাকেন।
৪৯ বছর ধরে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিচ্ছেন হাজারীবাগের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, “আমার বয়স যখন ১৪ দিন, তখন থেকেই মা-বাবার সঙ্গে এই মিছিলে আসছি। যত বিপদ-আপদই হোক, একবারও বাদ দিইনি।”
সেতারা বেগম, যিনি বলেন, “আমার পয়দা হইছে দালানে। ছোট থেকে আশুরায় এখানে থাকি। বিয়ের পরও সপ্তাহে একবার না হয় পনের দিনে একবার আসি। মাওলা আমাদের সব।”
তাজিয়া মিছিলে শুধু শিয়া মুসলমানরাই নয়, অংশ নেন সনাতন ধর্মের মানুষও। যতীন্দ্র দাশ, যিনি ৫০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে মিছিলে আসেন, বলেন, “আমাদের মানত ছিল, তাই আসি। বাবা-মা আমাকে নিয়ে আসতেন, এখন আমি মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে আসি।”
শুধু হোসাইনী দালান নয়, বরং বড় কাটরা, বিবিকা রওজা, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আশুরার আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা।
কোভিড মহামারির কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সাল থেকে পুনরায় তাজিয়া মিছিলে অনুমতি দেয় সরকার। এবারও ছিল ঐতিহ্য, শোক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মিশ্র সমারোহ।