পাঁচ মাস পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও বিএডিসি হিমাগারও পরিদর্শন করেন।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই — বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে অনেকে অনেক কথা বলেন। সেটা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি তাদের কথার উত্তর দেব না। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।”
রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে না। আমি আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু এখনো পাঁচ-ছয় মাসের মতো সময় আছে, আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।”
এর আগে কোরবানির ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। পরে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই সময় এগিয়ে আনা হয়। সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কার ও বিচারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগেও ভোট হতে পারে।
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা, নির্বাচন কমিশন এবং অংশগ্রহণকারী সবাই মিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রস্তুতি দরকার যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদের। আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই।”
‘মবের নামে সন্ত্রাস’ বিষয়ে তিনি বলেন, “মব কিছুটা কমে এসেছিল। তবে দুই-তিন দিন আগে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লালমনিরহাট ও ফরিদপুরে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মবের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা অন্যায় করে তারা এলাকায় থাকে না, পালিয়ে যায়। খুঁজে বের করতে একটু সময় লাগবে।”
লালমনিরহাটে দুটি থানায় হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, “সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।”
শিল্প পুলিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত জুলাই-অগাস্টের সমস্যাগুলো এখন কেটে গেছে। তবে শিল্পের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শিল্প পুলিশে জনবল ও সরঞ্জামও বাড়াতে হবে।”
রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫
পাঁচ মাস পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ধরে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা ও শিল্পাঞ্চল পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো ভিলেজ ও বিএডিসি হিমাগারও পরিদর্শন করেন।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই — বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে অনেকে অনেক কথা বলেন। সেটা তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি তাদের কথার উত্তর দেব না। আমাদের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।”
রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাদের সঙ্গে না। আমি আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু এখনো পাঁচ-ছয় মাসের মতো সময় আছে, আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।”
এর আগে কোরবানির ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। পরে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই সময় এগিয়ে আনা হয়। সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কার ও বিচারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হলে ফেব্রুয়ারিতে রোজা শুরুর আগেও ভোট হতে পারে।
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা, নির্বাচন কমিশন এবং অংশগ্রহণকারী সবাই মিলেই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সবচেয়ে বেশি প্রস্তুতি দরকার যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদের। আমাদের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই।”
‘মবের নামে সন্ত্রাস’ বিষয়ে তিনি বলেন, “মব কিছুটা কমে এসেছিল। তবে দুই-তিন দিন আগে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, লালমনিরহাট ও ফরিদপুরে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে সে জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মবের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার না করার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “যারা অন্যায় করে তারা এলাকায় থাকে না, পালিয়ে যায়। খুঁজে বের করতে একটু সময় লাগবে।”
লালমনিরহাটে দুটি থানায় হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, “সেখানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।”
শিল্প পুলিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গত জুলাই-অগাস্টের সমস্যাগুলো এখন কেটে গেছে। তবে শিল্পের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শিল্প পুলিশে জনবল ও সরঞ্জামও বাড়াতে হবে।”